লেখক | নিয়ামত ইমাম |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | সামাজিক অবক্ষয়, রাজনৈতিক কল্পকাহিনী, সমাজবিদ্যা-বিষয়ক কল্পকাহিনী |
প্রকাশিত | ২২ মে ২০১৩ হ্যামিশ হ্যামিলটন/ পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়া |
মিডিয়া ধরন | মূদ্রণ (হার্ডব্যাক) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২৫৬ পৃষ্ঠা |
আইএসবিএন | ৯৭৮০৬৭০০৮৬৬৫৮ |
দ্য ব্ল্যাক কোট (বাংলা: কালো কোট) হল বাংলাদেশী-কানাডীয় লেখক নিয়ামত ইমাম কর্তৃক ২০১৩ সালে রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। প্রকাশনীর বর্ণনানুসারে, উপন্যাসটি হল ক্ষমতা ও লোভের সম্পর্ক এবং রাজনীতির স্বার্থে মানুষের জীবন বিসর্জনের গল্প।"[১] দ্য সানডে গার্জিয়ান পত্রিকা মন্তব্য করেছে যে, এটি "অদুর ভবিষ্যতের একটি সাহিত্যিক আদর্শ হতে চলেছে" এবং "যে সকল বই দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বা ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক গড়তে চায়, তাদের জন্য একটি সোনালী মানদণ্ড।[২]
২০১৩ সালে ভারতের হ্যামিশ হ্যামিলটনের মুদ্রণে পেঙ্গুইন বুকস কর্তৃক প্রকাশিত এ বইটিতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনাধীন বাংলাদেশের একটি অন্ধকার ও দুঃখদুর্দশাগ্রস্থ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।[৩] শেখ মুজিব সাধারণত বাঙালি জাতির পিতা ও বাংলাদেশের সর্বকালের মহানায়ক হিসেবে বিবেচিত, কিন্তু এই উপন্যাসে ইমাম তাকে একজন একনায়কতান্ত্রিক শাসক হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন, যে সত্য প্রত্যাখ্যান করে এবং তার স্বৈরশাসনকে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষকে নিপীড়ণ করে।[৪]
"ব্ল্যাক কোটকে ব্ল্যককমেইল?" শিরোনামের একটি বাংলাদেশী পত্রিকার নিবন্ধে ইমামকে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সম্মানকে সবার কাছে ছোট করে দেখানোের প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।[৫] এই বিশ্লেষণে বলা হয়, এই বইয়ের মাধ্যমে ইমাম শেখ মুজিবকে আবারো হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছিলেন। এতে আশঙ্কা করা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতির যে সকল উপাদান দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, তারা এই বইকে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্তের জন্য ব্যবহার করতে পারে, যারা দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, তারা বইটি পড়বে শুধুমাত্র এটা বোঝার জন্য যে, একজন বাঙালী লেখক তার জাতির প্রতি কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে। নিবন্ধটির উপসংহারে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও অগণিত মুক্তিযোদ্ধার প্রতি ইমামের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।
আরেকটি বাংলাদেশী পত্রিকার নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়, ইমাম শেখ মুজিবের সকল পূর্ববর্তী দেশী বিদেশী সমালোচককে এক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছেন যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দোসরদের পরখ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত ট্রাইবুনালের সমালোচনা করে দেশের ইসলামী মৌলবাদীদের সঙ্গে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।[৬]