দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান | |
---|---|
নির্মাতা | নিউমেরো ইউনো ইন্টারন্যাশনাল |
লেখক | ভগবান গিদওয়ানি |
পরিচালক | সঞ্জয় খান ও আকবর খান |
অভিনয়ে | সঞ্জয় খান মালবিকা তিওয়ারি মায়া আলাঘ দীপিকা চিখালিয়া অনন্ত মহাদেবান মুকেশ ঋষি শাহবাজ খান |
সুরকার | নওশাদ |
মূল দেশ | ভারত |
পর্বের সংখ্যা | ৬০ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | সঞ্জয় খান |
নির্মাণের স্থান | প্রিমিয়ার স্টুডিও, মহীশূর |
চিত্রগ্রাহক | বশীর আলী |
ব্যাপ্তিকাল | প্রায় ৪৫ মিনিট |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | ডিডি ন্যাশনাল (১৯৯০-১৯৯১) |
মূল মুক্তির তারিখ | ১৯৯০ – ১৯৯১ |
দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান (ইংরেজি: The Sword of Tipu Sultan) হল একটি ভারতীয় ঐতিহাসিক নাটক যা ১৯৯০ সালে ডিডি ন্যাশনালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। ভগবান গিদওয়ানির একই নামের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই নাটকটিতে মহীশুরের শাসক টিপু সুলতানের জীবন ও সময়কে চিত্রায়িত করা হয়েছে।
ধারাবাহিকটি বহু বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয় যার অন্যতম হল ১৯৯০ সালে নাটকটির সেটে সংঘটিত একটি দুর্ঘটনাজনিত বিরাট অগ্নিকাণ্ড; মহীশুরের নির্মিত প্রিমিয়ার স্টুডিও নামক নাটকের সেটের ওই অগ্নিকাণ্ড স্টুডিওর বড় অংশ জ্বালিয়ে দেয় এবং ৬২ জন ব্যক্তির প্রাণনাশ করে।[১]
ধারাবাহিকটি এর অভিনয় ও জাঁকজমকের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।[২] এছাড়াও এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল এর কাহিনী, যা উপন্যাসের নামে লিখিত হলেও তার অধিকাংশই ছিল লেখকের করা ঐতিহাসিক গবেষণানির্ভর, যিনি পেশাজীবনে একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
নাটকটি নিউমেরো ইউনো ইন্টারন্যাশনাল নামক কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত হয় যার মালিক ছিলেন নির্মাতা ও পরিচালক সঞ্জয় খান।[৩] সঞ্জয় খানের ভাই আকবর খান, ১৮ মাসে প্রথম ২০ পর্ব পরিচালনা করেন।[৪] সঙ্গীত পরিচালনা করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ নওশাদ এবং চিত্রধারন করেন বশীর আলী। পরবর্তী পর্বগুলো সঞ্জয় খান নিজে পরিচালনা করেন, এবং এছাড়াও তিনি নিজেই তিপু সুলতানের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। মত ৫২ টি পর্ব ধারণ করা হয়, যার কিছু অংশ ধারণ করা হয়েছিল মহীশুরের প্রিমিয়ার স্টুডিওতে।
নাটকটি মনট্রিল-ভিত্তিক লেখক ভগবান এস গিদওয়ানির লেখা একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়।[৫] উপন্যাসটি একটি অন্যতম বেস্ট-সেলার বই ছিল, যার প্রায় ২০০,০০০ কপি বিক্রি হয়, এর বহু ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয় এবং ৪৪টি সংস্করণের পুনর্মুদ্রণ প্রকাশিত হয়। লেখক হওয়ার পাশাপাশি, গিদওয়ানি ৬০ পর্বের একটি স্ক্রিপ্টও লিখেছিলেন। শেষের অল্প কিছু পর্ব অগ্নি দুর্ঘটনার কয়েক বছর পর ধারণ করা হয়। উক্ত নাটকের জন্য নির্বাচিত অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন সীমা কেলকার, অনন্ত মহাদেভান, মুকেশ রিশি, শাহবাজ খান, পাপ্পু পলিয়েস্টার ও দীপিকা ছিখালিয়া।
১৯৯০ সালে প্রথম দূরদর্শনে হিন্দি ভাষায় ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হয়, ২০০১ সালে স্টার প্লাসেও সিরিজটি সম্প্রচার করা হয়।[৬] ১৯৯০ -এর শুরুর দিকে এর পর্বগুলো বাংলায় অনুবাদ করে বিটিভিতে এবং ২০০৬ সালে তামিল ভাষায় ডিডি পোড়িঘাই চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়।[৭] বিটিভির সম্প্রচারে, বেশ কিছু সংলাপের অংশ কর্তন করা হয়। উপমহাদেশের বাইরে, নাটকটি ১৯৯০ এর সূচনালগ্নে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ৪-এ সম্প্রচারিত হয়। অন্যান্য যে সকল দেশে ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হয় সেগুলো হল ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও মরিশাস। পরবর্তীতে এর ১২টি ডিভিডির একটি অরিজিনাল প্যাকও মুক্তি পায়।[৮]
বর্তমানে নাটকটি মালায়াম ভাষায় মিডিয়া ওয়ান টিভিতে এবং বাংলা ভাষায় মাছরাঙ্গা টিভিতে সম্প্রচারিত হচ্ছে।[৯]
এই নাটকে নিজ অবদানের জন্য, সঞ্জয় খান দ্য জেম অব ইন্ডিয়া পুরস্কার লাভ করেন।[১০]