দ্য হাউজহোল্ডার | |
---|---|
![]() ডিভিডি প্রচ্ছদ | |
পরিচালক | জেমস আইভরি |
প্রযোজক | ইসমাইল মার্চেন্ট |
চিত্রনাট্যকার | রুথ প্রাওয়ার জাবভালা জেমস আইভরি |
উৎস | রুথ প্রাওয়ার জাবভালা কর্তৃক দ্য হাউজহোল্ডার (উপন্যাস) |
শ্রেষ্ঠাংশে | শশী কাপুর লীলা নায়ডু দুর্গা খোটে |
সুরকার | আলী আকবর খাঁ |
চিত্রগ্রাহক | সুব্রত মিত্র |
সম্পাদক | রাজা রাম খেটলে |
পরিবেশক | রয়্যাল ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০১ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংলিশ হিন্দি |
দ্য হাউজহোল্ডার হচ্ছে ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র। জেমস আইভরির পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে শশী কাপুর, লীলা নায়ডু এবং দুর্গা খোটে অভিনয় করেছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। চলচ্চিত্রটি ছিলো ইংলিশ-হিন্দি দ্বিভাষী, এবং এটির হিন্দি সংস্করণের নাম ছিলো 'ঘরবার', চলচ্চিত্রটির কাহিনী রুথ প্রাওয়ার জাবভালার লেখা একই নামের একটি উপন্যাস থেকে নেওয়া ছিলো, উপন্যাসটি ছিলো ১৯৬০ সালে প্রকাশিত।
জেমস আইভরি ছিলেন একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা, এই চলচ্চিতটি তার এবং প্রযোজক ইসমাইল মার্চেন্টের মধ্যকার প্রথম কাজ ছিলো। ইসমাইল মার্চেন্টের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর জেমস আইভরি মিলে অনেক চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন যেগুলোতে আবার কোনো কোনোটাতে রুথ প্রাওয়ার জাবভালা চিত্রনাট্য লিখে দিতেন, সেগুলো ভারতীয় চলচ্চিত্র ছিলো না।
প্রেম সাগর নামের একজন ব্যক্তি দিল্লি শহরে একটি কলেজে পড়ান, তার বিয়ে হয়েছে অভিভাবক দ্বারা ইন্দু নামের এক তরুণীর সঙ্গে। প্রেম ইন্দুর সঙ্গে যৌনমিলন করতে লজ্জা পান, কিন্তু ইন্দু সবসময়ই প্রেম সাগরের সামনে নগ্ন হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রেমের মা ওদের বাসায় হঠাৎ চলে আসে আর ইন্দুর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করে বিভিন্ন কারণে, ইন্দু পরে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। প্রেম সাগর একসময় ইন্দুর নগ্ন শরীর স্বপ্নে দেখতে পায় এবং তার স্বপ্নদোষ হয়, প্রেম তারপর এক হিন্দু গুরুর কাছ থেকে উপদেশ নিয়ে অনেক কষ্টে ইন্দুকে তার বাবার বাড়ি থেকে ফেরত নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, এবং পরে যৌনমিলন করে।[১]
আইভরি 'দ্য দিল্লি ওয়ে' নামের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন এবং তিনি এটা নিউ ইয়র্কে সম্পাদনা করছিলেন এই সময়কালে তিনি নৃতত্ত্ববিদ গিটেল স্টিডের সাক্ষাৎ লাভ করেন, এই নারীটি তার লেখা একটি চিত্রনাট্য অনুযায়ী একটি প্রকল্পের উন্নয়নে কাজ করছিলেন, চিত্রনাট্যটির শিরোনাম ছিলো 'দেবগড়' যা গুজরাটের একটি গ্রাম নিয়ে ছিলো। ইসমাইল মার্চেন্ট ছবিটি প্রযোজনা করছিলেন এবং চলচ্চিত্রটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন। সিডনি মায়ার্স ছিলেন পরিচালক, আর আইভরি ছবিটির শ্যুটিংয়ে রাজি হয়েছিলেন, যার অভিনেতা ছিলেন শশী কাপুর, দুর্গা খোটে এবং লীলা নাইডু। চলচ্চিত্রটি যখন অর্থায়নের অভাবে পড়েছিলো তখন মার্চেন্ট দ্য হাউসহেল্ডারের ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন এবং একই অভিনয়শিল্পীদের ব্যবহার করা হয়েছিলো। আইভরি তার বাবার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এমন কিছু অর্থের সাহায্যে চলচ্চিত্রটির খরচ ১,২৫,০০০ ডলার (মার্কিন) হয়েছিলো। এটি হিন্দি এবং ইংরেজি দুটি সংস্করণে তৈরি করা হয়েছিলো, ইংরেজি সংস্করণটি কলাম্বিয়া পিকচার্স দ্বারা যুক্তরাজ্যে প্রদর্শিত হয়েছিলো।[২]
ছবির শুটিং ১৯৬১ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৩ সালে শেষ হয়েছিল।[৩] শুটিং হয়েছিলো দিল্লি, মেহরুলী এবং গাজিয়াবাদে।[৪] সত্যজিৎ রায় আইভরি এবং মার্চেন্ট উভয়ের পাশাপাশি এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিলেন। একটি অনির্ধারিত সহায়তায় তিনি চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত প্রযোজনা তদারকি করেছিলেন এবং মার্চেন্ট এবং আইভরির জন্য চলচ্চিত্রটি পুনরায় কাটাছাটা করেছিলেন। তিনি তাঁর ক্যামেরাম্যান, সুব্রত মিত্রকে ফটোগ্রাফির পরিচালক হিসেবে ধার দিয়েছিলেন।[৪][৫]