দ্রৌপদী মুর্মু | |
---|---|
১৫ তম ভারতের রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৫ জুলাই ২০২২ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদী |
উপরাষ্ট্রপতি | ভেঙ্কাইয়া নাইডু জগদীপ ধনখর |
পূর্বসূরী | রামনাথ কোবিন্দ |
৯ম ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল | |
কাজের মেয়াদ ১৮ মে ২০১৫ – ১২ জুলাই ২০২১ | |
মুখ্যমন্ত্রী | রঘুবর দাস হেমন্ত সোরেন |
পূর্বসূরী | সৈয়দ আহমেদ |
উত্তরসূরী | রমেশ বাইশ |
ওড়িশা বিধানসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | লক্ষ্মণ মাঝি |
উত্তরসূরী | শ্যাম চরণ হাঁসদা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বাইদাপোসি, ময়ূরভঞ্জ, ওড়িশা, ভারত | ২০ জুন ১৯৫৮
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | শ্যাম চরণ মুর্মু (মৃত) |
সন্তান | ৩ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রমা দেবী মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা |
|
রাজ্য সরকারের অন্যান্য দায়িত্ব
|
দ্রৌপদী মুর্মু (সাঁওতালি: ᱫᱨᱚᱣᱯᱚᱫᱤ ᱢᱩᱨᱢᱩ; জন্ম: ২০ জুন ১৯৫৮) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি ২০২২ সাল থেকে ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম রাষ্ট্রপতি।[১][২] একই সাথে তিনি প্রথম তফসিলি উপজাতির অন্তর্গত ব্যক্তি, যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে মনোনীত হন।
পূর্বে তিনি ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ৮ তম রাজ্যপাল হিসাবে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ওড়িশা বিধানসভার সদস্য হিসাবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের সেচ ও বিদ্যুৎ বিভাগে কেরানি হিসেবে কাজ করেন এবং তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুরে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডুর কাছে একটি সাঁওতালি উপজাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার বাবা এবং দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার অধীনে গ্রামের প্রধান ছিলেন।[৫]
দ্রৌপদী মুর্মু শ্যাম চরণ মুর্মূকে বিবাহ করেছিলেন। এই দম্পতির দুটি ছেলে ছিল যারা উভয়ই মারা গেছে এবং একটি মেয়ে আছে।[৬]
রাজ্য রাজনীতিতে আসার আগে মুর্মু একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, রায়রঙ্গপুর এর একজন সহকারী অধ্যাপক এবং ওড়িশা সরকারের সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।[৭]
মুর্মু ১৯৯৭ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং রায়রঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন।
ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময়, তিনি ৬ মার্চ, ২০০০ থেকে ৬ আগস্ট, ২০০২ পর্যন্ত বাণিজ্য ও পরিবহণ এবং ৬ আগস্ট, ২০০২ থেকে ১৬ মে ২০০৪ পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[৮] তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ২০০৪ এবং ২০০৪ সালে রায়রঙ্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একজন বিধায়ক।[৯] ২০০৭ সালে ওড়িশা বিধানসভা দ্বারা তিনি সেরা বিধায়কের জন্য নীলকণ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন।
তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল।[১০][১১] তিনি ওড়িশা থেকে প্রথম মহিলা আদিবাসী নেত্রী যিনি ভারতীয় রাজ্যের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০২২ সালের জুনে, বিজেপি জুলাই মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে অনুষ্ঠিত ২০২২ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী হিসাবে মুর্মু - কে মনোনীত করেছিল। তিনি পরবর্তীতে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে উঠে এসেছেন।[১২]
সরকারি দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সৈয়দ আহমেদ |
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল মে ২০১৫ - জুলাই ২০২১ |
উত্তরসূরী রমেশ বাইশ |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী রামনাথ কোবিন্দ |
ভারতের রাষ্ট্রপতি ২০২২–বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |