ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ | |
---|---|
ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′৩৫″ উত্তর ৯০°২২′২৬″ পূর্ব / ২৩.৭৪৩১° উত্তর ৯০.৩৭৩৮° পূর্ব | |
অবস্থান | ঢাকা |
প্রতিষ্ঠিত | ১৬৪০ খ্রিষ্টাব্দ |
প্রশাসন | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ |
মালিকানা | সরকারি |
স্থাপত্য তথ্য | |
ধরন | মুঘল স্থাপত্য, ইসলামিক স্থাপত্য |
দৈর্ঘ্য | ১৪৫ |
প্রস্থ | ১৩৭ |
ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহ ঢাকার ধানমন্ডি থানায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ১৬৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুবাদার সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার প্রধান অমাত্য মীর আবুল কাসেম ধানমন্ডির শাহী ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য নিদর্শনসমূহের অন্যতম এই ঈদগাহ। ঈদগাহটি বর্তমানেও ঈদের (২০১৯ নাগাদ) নামাযের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ১৯৮১ সাল থেকে ঈদগাহটি সংরক্ষণ করছে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।[১][২][৩]
তৎকালীন সময়ে ধানমন্ডি শাহী ঈদগাহটি মুল শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ছিল। মূল শহর, অর্থাৎ পুরনো ঢাকায় বেশ কয়েকটি সুলতানি ঈদগাহ থাকলেও বড় আকারে কোন ঈদগাহ ছিল না। তাই মীর আবুল কাসেম ঈদগাহের জন্য জায়গা খুজতে থাকে। অবশেষ তিনি ধানমন্ডি এলাকা বেছে নেন। কাজেই মূল নগর থেকে কিছুটা দূরে খোলা জায়গায় এবং সাত মসজিদের কাছে হওয়ায় ধানমন্ডি এলাকাতে ঈদগাহটি নির্মিত হয়। সেসময় সাত মসজিদে জল ও স্থলপথ - দুইভাবেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল। সেসময় এই ঈদগাহের পাশ দিয়ে পান্ডু নদীর একটা শাখা প্রবাহিত হত, যা বর্তমান সাত মসজিদের কাছে বুড়িগঙ্গার সাথে মিলিত হত। প্রথমদিকে এখানে শুধু সুবেদার, নায়েবে নাজিম ও অভিজাত মুঘল কর্মকর্তা এবং তাদের স্বজন-বান্ধবরাই নামাজ পড়তে পারতেন, সাধারণ নগরবাসীরা এতে প্রবেশ করার তেমন একটা সুযোগ পেতেন না। পরে ঈদগাহটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ফলশ্রুতিতে,ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা আসতেন।[১][৪]
ধানমন্ডি ঈদগাহের দৈর্ঘ্যে ১৪৫ ফিট ও প্রস্থে ১৩৭ ফিট। ৪ ফিট উচু করে ভূমির উপরে এটি নির্মিত হয় যাতে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর চারকোণে অষ্টাভূজাকৃতির বুরুজ রয়েছে। তিন ধাপের মিম্বর ঈদগাহের উত্তর পাশে রয়েছে, এখানে দাঁড়িয়ে ইমামরা নামায পড়ান। ঈদগাহটি চারদিকে ১৫ ফিট উচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে,বর্তমানে কেবল পশ্চিম দিকের প্রাচীরটিই মোঘল আমলের। পশ্চিম প্রাচীরের মাঝ বরাবর প্রধান মেহরাব। প্রধান মেহরাবের দুই দিকে আছে বহু খাঁজবিশিষ্ট নকশা করা প্যানেল। এছাড়া ছোট আকারের দুইটি মেহরাব আছে এর দুই পাশে। মেহরাবগুলো দেয়ালের আয়তাকার ফ্রেমের ভেতরে অবস্থিত।[৪]