ধেমাজি জেলা ধেমাজি জিলা | |
---|---|
আসামের জেলা | |
![]() | |
![]() আসামে ধেমাজি জেলার অবস্থান | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | আসাম |
সদর | ধেমাজি |
আয়তন | |
• মোট | ৩,২৩৭ বর্গকিমি (১,২৫০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ৬,৮৮,০৭৭ |
• জনঘনত্ব | ২১০/বর্গকিমি (৫৫০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় মান সময় (ইউটিসি+05:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-AS-DM |
ওয়েবসাইট | www.dhemaji.gov.in |
ধেমাজি (উচ্চারণ:deɪˈmɑ:ʤi or di:ˈmɑ:ʤi) ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত ভারতের আসাম রাজ্যের একটি জেলা।[১] জেলাটির উত্তরে এবং পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ, দক্ষিণে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদী এবং পশ্চিমে লখিমপুর জেলা। ধেমাজি জেলার মোট আয়তন হচ্ছে ৩২৩৭ বৰ্গ কি:মি:। জেলাটিকে দুটা মহকুমাতে ভাগ করা হয়েছে: ধেমাজি এবং জোনাই। ধেমাজি নগর ধেমাজি জেলার সদর।
২০০১ সনের লোকগণনা মতে, জেলাটির মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ৫.৭১ লাখ, যার ২.৯৫ লক্ষ পুরুষ এবং ২.৭৬ লক্ষ মহিলা। এখানকার সাক্ষরতার হার ৬৬%। সমুদ্ৰপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ১০৪ মিটার। জনবসতির ঘনত্ব প্ৰতি বৰ্গ কিলোমিটারে ১৭৬ জন।[১]
বহুল প্ৰচলিত পৌরাণিক জনবিশ্বাস মতে, 'ধেমাজি' নামটির উৎপত্তি - একসময়ে সেইস্থানে একটি নদীতে সঘনাই নিজের সূঁতি সেলাই করছিল তথা বানপানীর তাণ্ডবলীলা চালায়, সেইসময়ের লোকেরা একে কোনো অশুভ শক্তি দ্বারা প্ৰভাবিত বুলি ভেবেছিল । এইদরে সঘনাই বানপানী এবং সূঁতি সলোবা বাবে লোকসকলে বানপানিকে বলত "ঢাল" এবং সূঁতি সলোবা বলে "ধেমালি" বুলিছিল (যিহেতু ঠাইখন বানপানিৰ খেলপথাৰত পৰিণত হয়েছিল)। কালক্ৰমে মূখবাগৰি অঞ্চলটোৰ নাম "ঢাল-ধেমালি" হয় । পয্যায়ক্ৰমে "ঢাল" শব্দটি বিলুপ্ত হৈ "ধেমালি" শব্দটি প্ৰচলিত হয়েছে। এবং এই "ধেমালি" শব্দটিই আজকের "ধেমাজি"।
আনুমানিক ১২৪০ খ্ৰীষ্টাব্দে আশেপাশে আহোম রাজবংশর প্ৰতিষ্ঠাতা স্বৰ্গদেউ চ্যুকাফাই বৰ্তমানের ধেমাজি জেলার, তেতিয়ার হাবুং নামের কোনো অঞ্চলে রাজধানী স্থাপন করে বলে বলা হয়। সঘনাই হোবা বানরের প্ৰকোপে অতিষ্ঠ হয়ে স্বৰ্গদেউ জনাই রাজধানী হাবুংর পারে স্থানান্তর করে। এর আগে এবং পাছে (১২২৩-১৫২৩ খ্ৰীষ্টাব্দ) এই অঞ্চল চুতীয়া সকলর অধীনে আছিল। ১৫২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে আহোম রাজা চুহুংমুঙর আক্ৰমণে চুতীয়া রাজা নাতিপাল নিহত হবার পরে এই অঞ্চল পুনরায় আহোম রাজ্যের অন্তৰ্ভূক্ত হয়।[২]
খ্ৰীষ্টীয় ১৯৮৯ সনের ১৪ আগস্ট ধেমাজি জেলার গঠন আসাম সরকারে ঘোষণা কৰে।[৩]
ধেমাজি জিলা জোনাই বিধানসভা সমষ্টি এবং ধেমাজি বিধানসভা সমষ্টির অন্তৰ্গত।[৪] এই দুইটা সমষ্টি অনুসূচীত জনজাতির প্ৰাৰ্থীর জন্য সংরক্ষিত।[৪][৫]
২০০১ সনের জনগণনা অনুসারে ধেমাজি জেলার মোট জনসংখ্যা ৫,৭১,৯৪৪ জন (পুরুষ ২,৯৪,৬৪৩ এবং মহিলা ২,৭৭,৩০১)।[৬] লিংগ অনুপাতে প্ৰতি হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯৩৬ জন মহিলা। জনবসতির ঘনত্ব প্ৰতি বৰ্গ কিলো মিটারে ১৭৬ জন।[৬][৭]
ধেমাজি একটি গ্ৰাম্য প্ৰধান জেলা। এখানে হিন্দু ধৰ্ম প্ৰধান ধৰ্ম। সীমিতভাবে খ্ৰীষ্টান এবং ইসলাম ধর্মের প্ৰচলন আছে। এই জেলায় সাম্প্ৰদায়িক হিংসার তথ্য প্ৰায় নাই বলেই চলে।[৬]
অসমীয়া হলো প্ৰধান এবং সাধারণ ভাবে ব্যবহৃত ভাষা । এর বাইরেও ধেমাজি জেলাতে মিচিং, বড়ো এবং বাংলা ভাষা ঘরোয়াভাবে ব্যবহার হয়।
জেলায় সাক্ষরতার হার ৪১.৬৯%। মহিলা সাক্ষরতার হার ১৩.৬%।