ধোঁকাবাজি বা ধাপ্পাবাজি হলো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড, যেখানে চালাকি করে বহুসংখ্যক মানুষের কাছে মিথ্যা তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিছু ধাপ্পাবাজ তাদের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে শেষ পর্যন্ত তাদের শিকারদের বোকা প্রমাণ করার চেষ্টা করে; লাভের আশায় অন্য ধাপ্পাবাজরা অবিরামভাবে মিথ্যা তথ্য বজায় রাখার চেষ্টা করে । তাই শুধুমাত্র যখন সন্দেহবশত তাদের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য কেউ এগিয়ে আসে এবং মিথ্যাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখনই ধাপ্পাবাজরা ধরা পড়ে।
জাং ইংয়ু রচিত দ্য বুক অফ সুইন্ডলস (প্রায় ১৬১৭ সালে প্রকাশিত) মিং রাজবংশের শেষের দিকে প্রকাশিত চীনের প্রথম প্রতারণা, ঠকবাজি, ধোঁকাবাজি এবং অন্যান্য ধরণের প্রতারণার গল্পের সংকলন হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] যদিও হাস্যরসাত্মক প্রহসন হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে, পশ্চিমা ইতিহাসে ১৬৬১ সালের টেডওয়ার্থের ঢোল বাজানোর ঘটনাটিই প্রথম নথিভুক্ত প্রতারণার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।[২] প্রতারণামূলক ঘটনা প্রচারের কাজটি যেকোনো উপায়ে করা যেতে পারে, যেভাবে একটি কল্পকাহিনি প্রচারিত হয়: ব্যক্তিগতভাবে, মুখে মুখে, কাগজে মুদ্রিত শব্দের মাধ্যমে ইত্যাদি। যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, প্রতারণা ছড়ানোর গতি বৃদ্ধি পেয়েছে: মুখে মুখে ছড়ানো একটি ভৌতিক ঢোলবাদকের গুজব প্রথমে একটি তুলনামূলকভাবে ছোট এলাকায় প্রভাব ফেলবে, তারপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।
ইংরেজ ভাষাতত্ত্ববিদ রবার্ট নারেস (১৭৫৩–১৮২৯) বলেছেন যে, হোক্স শব্দটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে হোকাস ক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ "প্রতারণা" বা "চাপিয়ে দেওয়া"[৩] অথবা (মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান অনুযায়ী), এর অর্থ হলো "মাদক মিশ্রিত মদ দ্বারা প্রায়ই বিভ্রান্ত করা।[৪] হোকাস শব্দটি হলো হোকাস পোকাস নামক এক জাদুমন্ত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ।[৪] এই মন্ত্রের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত রয়েছে।[ভাল উৎস প্রয়োজন]
ধোঁকাবাজি সংবাদ (আরও পরিচিত ভুয়া সংবাদ নামে[৫][৬]) হলো এমন ধরনের সংবাদ যেখানে তথ্যগুলো ভুল বা মিথ্যা হওয়া সত্ত্বেও সত্য হিসেবে উপস্থাপিত হয়।[৭]