ধোলাবীরা

ধোলাবীরা
খনন করা স্থানের অংশ
ধোলাবীরা ভারত-এ অবস্থিত
ধোলাবীরা
ভারতে অবস্থান
ধোলাবীরা গুজরাট-এ অবস্থিত
ধোলাবীরা
ভারতে অবস্থান
অবস্থানখাদিরবেত, কচ্ছ জেলা, ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°৫৩′১৮.৯৮″ উত্তর ৭০°১২′৪৯.০৯″ পূর্ব / ২৩.৮৮৮৬০৫৬° উত্তর ৭০.২১৩৬৩৬১° পূর্ব / 23.8886056; 70.2136361
ধরনবসতি
এলাকা৪৭ হেক্টর (১২০ একর)
ইতিহাস
সময়কালহরপ্পা ১ থেকে হরপ্পা ৫
সংস্কৃতিসিন্ধু সভ্যতা
স্থান নোটসমূহ
অবস্থাধ্বংসপ্রাপ্ত
জনসাধারণের প্রবেশাধিকারহ্যাঁ

ধোলাবীরা পশ্চিম ভারতের গুজরাত রাজ্যের কচ্ছ জেলার ভাচাউ তালুকের খাদিরবেটের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যা এর ১ কিলোমিটার (০.৬২ মাইল) দক্ষিণের একটি গ্রাম থেকে নামকরণ করা হয়। এই গ্রামটি রাধনপুর থেকে ১৬৫ কিমি (১০৩ মাইল) দূরে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে কোটাডা টিম্বা নামেও পরিচিত, এই স্থানে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা/হরপ্পান শহরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।[] ধোলাবীরার অবস্থান কর্কটক্রান্তির অঞ্চলে। এটি পাঁচটি বৃহত্তম হরপ্পান স্থানের মধ্যে একটি[] এবং সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত ভারতের সর্বাধিক বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।[] এটিকে সমকালীন সময়ের[] নগরগুলির সর্বাধিক স্বতন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি বৃহৎ কচ্ছের রণের কচ্ছ মরুভূমি বন্যজীবন অভয়ারণ্যের খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। ৪৭ হেক্টর (১২০ একর) আয়তনের চতুর্ভুজ আকৃতির শহরটি দুটি মৌসুমী স্রোতের মধ্যে অবস্থিত, উত্তরে মনসার এবং দক্ষিণে মনহার।[] ধারণা করা হয় যে ২৬৫০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে শুরু হয় এবং ২১০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত এটি টিকে ছিল,[] তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (প্রাক-হরপ্পান) এটি গঠিত হয় এবং ধারাবাহিক ভাবে ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (শেষের হরপ্পান সময়কালের প্রথম দিকের অংশ) অবধি টিকে ছিল।[]

এই স্থানটি ১৯৬৭-৬৮ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের (এএসআই) জে পি পি জোশির দ্বারা আবিষ্কার করা হয় এবং এটি আটটি বড় হরপ্পান স্থানের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম। এটিএসআই দ্বারা ১৯৯০ সাল থেকে এটি খনন কারজের কার্যের অধীনে ছিল, যার অভিমত যে "ধোলাবীরা প্রকৃতপক্ষে সিন্ধু সভ্যতার ব্যক্তিত্বকে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।"[] এখনও অবধি আবিষ্কৃত অন্যান্য বড় বড় হরপ্পান স্থানগুলি হল - হরপ্পা, মহেঞ্জো-দারো, গানেরিওয়ালা, রাখিগড়ি , কালীবঙ্গান, রূপনগর এবং লোথাল

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Ruins on the Tropic of Cancer" 
  2. "Where does history begin?" 
  3. Kenoyer & Heuston, Jonathan Mark & Kimberley (২০০৫)। The Ancient South Asian World। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 9780195222432 
  4. Centre, UNESCO World Heritage। "Dholavira: A Harappan City - UNESCO World Heritage Centre"whc.unesco.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬ 
  5. Possehl, Gregory L.। The Indus Civilization: A Contemporary Perspective (ইংরেজি ভাষায়)। Rowman Altamira। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 9780759101722। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৬ 
  6. Sengupta, Torsa, et al. (2019)."Did the Harappan settlement of Dholavira (India) collapse during the onset of Meghalayan stage drought?" in Journal of Quaternary Science, First published: 26 December 2019.
  7. "Excavations-Dholavira"। Archaeological Survey of India। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]