নগরজীবন বিদ্যা বলতে পৌর এলাকা, যেমন শহর ও ছোট শহরে বসবাসকারী অধিবাসীরা কীভাবে নগরের নির্মিত পরিবেশের সাথে আন্তঃক্রিয়া সম্পাদন করে, তার অধ্যয়ন ও গবেষণাকে বোঝায়। নগরজীবন বিদ্যার সাথে নগর/পৌর পরিকল্পনা, নগর/পৌর নকশাকরণ, পৌর ব্যবস্থাপনা, পৌর সমাজবিজ্ঞান ও পৌর ভূগোলসহ পৌর এলাকায় যাপিত জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন শাস্ত্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক আছে।[১][২]
অনেক স্থপতি, নগর/পৌর পরিকল্পনাবিদ, পৌর ভূগোলবিদ ও পৌর সমাজবিজ্ঞানীরা ঘনবসতিপূর্ণ পৌর এলাকাতে কীভাবে মানুষ জীবনযাপন করে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে থাকেন। নগরজীবন বিদ্যাতে বহুসংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান।[৩]
স্পেনীয় পুরপ্রকৌশলী ইলদেফোন্স সেরদা ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে নগরজীবন বিদ্যা ধারণাটির প্রচলন করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নগরের স্থানিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে একটি স্বশাসিত কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করা।[৪] ২০শ শতাব্দীর শুরুর দিকে নগরজীবন বিদ্যার উত্থানের সাথে নগরে কেন্দ্রীভূত কারখানাভিত্তিক শিল্পোৎপাদন, মিশ্র-ব্যবহার এলাকা, সামাজিক সংগঠন ও জালিকাব্যবস্থা, এবং "রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নাগরিকতার একীভবনের" সাথে সম্পর্ক আছে।[৫]