নন্দা | |
---|---|
জন্ম | নন্দা কর্ণাটকী ৮ জানুয়ারি ১৯৩৯ |
মৃত্যু | ২৫ মার্চ ২০১৪ | (বয়স ৭৫)
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪৮-১৯৮৩ ১৯৯১-১৯৯৫ |
পুরস্কার | ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্র আঁচল এর জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার |
নন্দা কর্ণাটকী (৮ জানুয়ারী ১৯৩৯-২৫ মার্চ ২০১৪)[১] একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন যিনি হিন্দি এবং মারাঠি চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। তিনি ছোটি ব্যাহেন, ঢুল কা ফুল, ভাবী, কালা বাজার, কানুন, হাম দোনো, জাব জাব ফুল খিলে, গুমনাম, ইত্তেফাক, দ্যা ট্রেন এবং প্রেম রগ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।[২][৩]
নন্দার জন্ম হয়েছিলো মহারাষ্ট্রীয় একটি পরিবারে, তার বাবা বিনায়ক দমোদর কর্ণাটকী মারাঠি চলচ্চিত্রের অভিনেতা ছিলেন। ১৯৪৭ সালে ৪১ বছর বয়সে নন্দার বাবা মারা যান, নন্দার বয়স তখন আট।[৪] নন্দা শৈশব কালেই চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন, ১৯৪৮ সালের চলচ্চিত্র মন্দির এ তার অভিনয় অভিষেক হয়।
বেবী নন্দা নামে তিনি চলচ্চিত্র জগতে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নন্দা মন্দির, জাজ্ঞু, আঙ্গারে এবং জাগৃতি চলচ্চিত্রে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন।[৫] চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে তার পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছিলো, তার জন্য বাসায় একজন শিক্ষক ঠিক করে দেওয়া হয়, গোকুলদাস ভি মাখি যিনি একজন নামকরা শিক্ষক ছিলেন এবং বম্বে স্কাউটের কমিশনার ছিলেন নন্দাকে বাসায় পড়াতেন। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নন্দা তার ছয় ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।[৬] নন্দার ভাই জয়প্রকাশ কর্ণাটকী মারাঠি চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন এবং জয়শ্রী তালপাড়ে (মারাঠি অভিনেত্রী) নন্দার বৌদি।[৭]
১৯৪৮ সালের চলচ্চিত্র মন্দির ছিলো নন্দার প্রথম চলচ্চিত্র। তাকে বড় পর্দায় 'বেবী নন্দা' হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। মন্দির, জাজ্ঞু এবং আঙ্গারে চলচ্চিত্রে নন্দা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৫] নন্দার কাকা ভি শান্তারাম ১৯৫৬ সালের চলচ্চিত্র তুফান অর দিয়াতে নন্দাকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রটি ছিলো এতিম ভাই-বোনের কাহিনী নিয়ে। ১৯৫৭ সালের চলচ্চিত্র ভাবীর জন্য নন্দা সর্বপ্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন।[৮] মহানায়ক দেব আনন্দ অভিনীত চলচ্চিত্র কালা বাজারএ নন্দা সহ-ভূমিকায় ছিলেন[৯], এবং ঢুল কা ফুল চলচ্চিত্রে দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে ছিলেন।
নন্দা ১৯৫৯ সালের চলচ্চিত্র ছোটি ব্যাহেনএ অভিনয় করে অনেক জনপ্রিয়তা পান, চলচ্চিত্রটি তার তারকা হওয়ার পথ ত্বরান্বিত করেছিলো।[১০] চলচ্চিত্রটিতে নন্দা একজন অন্ধ তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেন যাকে তার দুই ভ্রাতা দেখাশোনা করে।[১১] এরপরে তিনি সরাসরি নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান, দেব আনন্দর চলচ্চিত্র হাম দোনো (১৯৬১) এবং তিন দেবিয়াঁ চলচ্চিত্রে নন্দা মুখ্য নায়িকা ছিলেন, দুটি চলচ্চিত্রই নন্দার জীবনে মাইলফলক ছিলো। বি আর চোপড়ার কানুন (১৯৬০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন নন্দা, এই চলচ্চিত্রে কোনো গান ছিলোনা।
১৯৬০ সালের চলচ্চিত্র আঁচল এর জন্য নন্দা শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ১৯৬২ সালের চলচ্চিত্র আশিক এ তিনি রাজ কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেন এবং রাজেন্দ্র কুমারের সঙ্গে তিনটি চলচ্চিত্রে (তুফান অর দিয়া, ঢুল কা ফুল এবং কানুন) অভিনয় করেন। শাম্মী কাপুরের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব নন্দা বারবার ফিরিয়ে দিতেন তাকে অপছন্দ করার অজুহাতে, যদিও অনেক পরে ১৯৮২ সালের চলচ্চিত্র প্রেম রোগ এ তিনি শাম্মীর সঙ্গে কাজ করতে রাজী হন।[১২]
শশী কাপুরকে নন্দার দেখেই পছন্দ হয়ে যায় এবং তিনি তার সঙ্গে আটটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, চার দিওয়ারি (১৯৬১) এবং মেহেন্দি লাগি মেরে হাথ (১৯৬২) এ নন্দা শশীর সঙ্গে ছিলেন যদিও চলচ্চিত্র দুটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিলো। তবে ১৯৬৫ সালের জাব জাব ফুল খিলে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলো এবং অনেক ব্যবসাসফল একটি চলচ্চিত্র ছিলো।[১৩]
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |