নন্দিতা বোস | |
---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭২–বর্তমান |
পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৭৩ সালে স্বপ্নম |
নন্দিতা বোস মালয়ালম চলচ্চিত্রের একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি ১৯৭০ -এর দশকে মালয়ালম, তামিল, হিন্দি এবং বাংলা চলচ্চিত্রের একজন বিশিষ্ট প্রধান অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি মালয়ালাম চলচ্চিত্র আচানি (১৯৭৩), পানিতীরথ ভিদু (১৯৭৩) এবং ধর্মযুদ্ধম (১৯৭৩) এ তার অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। বর্তমানে তিনি টিভি ধারাবাহিকের অভিনয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
পারিবারিক ভাবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঙালি।[১] তিনি ডি.পি. বোসকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।[২] বিচ্ছেদের পূর্বে এই দম্পতি এক পুত্রসন্তান ও এক কন্যাসন্তান লাভ করেছিলেন যাদের নাম দেবাশিস বোস[৩] ও দেবারতি বোস।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সত্তরের দশক থেকে তিনি বিভিন্ন মালয়লাম, তামিল, হিন্দি এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন মালয়লাম সিনেমায়। তার প্রথমদিকের কিছু মালয়ালম ছবি হল, পানিতীরথ ভিদু (১৯৭৩), চেন্দা (১৯৭৩), আচানি (১৯৭৩), ধর্মযুধম (১৯৭৩), স্বপ্নম (১৯৭৩), চঞ্চলা (১৯৭৪), পুনথেনারুভি (১৯৭৪), প্রয়াণম (১৯৭৫), কামম ক্রোধম মোহম (১৯৭৫) ইত্যাদি। সত্তরের দশকে তিনি দুটি হিন্দি ছিবিতেও অভিনয় করেছেন। সেগুলি হল, আইসা ভি হোতা হ্যায় (১৯৭১) এবং দিল কা হীরা (১৯৭৯)
আশির দশকের তার উল্লেখনীয় কিছু মালয়ালম ছবির নাম হল, অংগারি(১৯৮০), থাদাভরা (১৯৮১), কেলকথা সবধাম (১৯৮২) ও মঞ্জু(১৯৮৩)।
তিনি কন্নড় সিনেমাতেও দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেগুলি হল,পুনর্দত্ত (১৯৭৬) এবং মা (১৯৮০)।
১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে তিনি কিছু বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন। সেগুলি হল, কান্না (১৯৬২), নিধিরাম সর্দার (১৯৭৬) এবং পক্ষিরাজ(১৯৮২)।
তার অভিনীত উল্লেখনীয় শেষ মালয়ালম ছবি হল অশ্বরুদন (২০০৬)।
১৯৭৩ সালে তিনি মালয়ালম ছবি স্বপ্নমের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।[৪]