নন্দুরবার জেলা

নান্দুরবার জেলা
জেলা
যশবন্ত
যশবন্ত
মহারাষ্ট্রের মধ্যে নান্দুরবারের অবস্থান
মহারাষ্ট্রের মধ্যে নান্দুরবারের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২১°২৩′ উত্তর ৭৪°২২′ পূর্ব / ২১.৩৮৩° উত্তর ৭৪.৩৬৭° পূর্ব / 21.383; 74.367
দেশ ভারত
রাজ্যমহারাষ্ট্র
নামকরণের কারণগুজরানা
সদর শহরনান্দুরবার
তালুকা1.শাহাদা
2.নান্দুরবার

3.নবপুর
4.তালোদা
5.আক্কালকুয়াল

6.ধাড়গাঁও
আয়তন
 • মোট৫,০৩৫ বর্গকিমি (১,৯৪৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৬,৪৮,২৯৫
 • জনঘনত্ব২৬০/বর্গকিমি (৭০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • দাপ্তরিকমারাঠি
সময় অঞ্চলভারতীয় স্থানীয় সময় (ইউটিসি+5:30)
Telephone code91-2564
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN-MH-NB
যানবাহন নিবন্ধনএম এইচ-৩৯[]
লিঙ্গানুপাত৯৭৫/
ওয়েবসাইটnandurbar.gov.in

নন্দুরবার জেলা ভারতেমহারাষ্ট্র রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক জেলা। ১ জুলাই ১৯৯৯ এ ধুলে জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে ধুলে এবং নন্দুরবার জেলার জন্ম। জেলার সদর শহর নন্দুরবার। জেলাটির আয়তন ৫০৩৫ বর্গকিলোমিটার।২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যা হল ১,৬৪৮,২৯৫ জন এবং এর মধ্যে ১৬.৭১% শহরে বসবাস করেন[]। নান্দুরবার জেলা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ধুলে জেলা দ্বারা, পশ্চিমে এবং উত্তরে গুজরাত রাজ্য দ্বারা, উত্তর এবং উত্তর-পূর্বে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য দ্বারা আবদ্ধ আর জেলার উত্তর সীমানা সংজ্ঞায়িত করা হয় মহান নর্মদা নদী প্রবাহ দ্বারা।

প্রশাসনিক বিভাগ

[সম্পাদনা]

জেলাটি ছয়টি তালুক বা সাবডিভিশন নিয়ে গঠিত। এই তালুকগুলি হ নান্দুরবার, নবাবপুর, শাহাদা, তালোদা, আক্কালকুয়া এবং আকরানী মহল (যাকে ধড়গাঁও বলা হয়)। জেলায় একটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে যা তপশিলী উপজাতি ভুক্ত প্রার্থীদের জন্যে সংরক্ষিত- লোকসভা কেন্দ্রটির নাম নন্দুরবার লোকসভা কেন্দ্র। আক্কালকুয়া (এসটি), শাহাদা (এসটি), নন্দুরবার (এসটি), নওয়াপুর (এসটি) নামে চারটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে জেলাটিতে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

জেলাটি ১৯৯৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ধুলেজলগাঁওয়ের সাথে খান্দেশ জেলার অন্তর্গত ছিল। কারও কারও মতে, খন্দেশ মানে ভগবান কৃষ্ণের দেশ। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম রসিকা, এছাড়া নন্দুরবারকে তার রাজা নন্দরাজের নাম অনুসারে নন্দনগরীও বলা হত।.[] জেলাটি রামায়ণের পৌরাণিক বিবরণে সমৃদ্ধ, যেখানে এই অঞ্চলটিকে "কৃষিক" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চালুক্য, বর্তক এবং যাদবসহ তৎকালীন বিভিন্ন রাজবংশের অধীনস্থ ছিল। মুঘল যুগের আগে, খন্দেশ তুঘলক সাম্রাজ্যের দক্ষিণ সীমানা নির্দেশ করত। গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশের প্রান্তে কৌশলগত অবস্থানের কারণে, নন্দুরবারের শাসনভার বিভিন্ন শক্তির মধ্যে হাতবদল হয়েছে বারবার। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পরে মারাঠারা খন্দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরবর্তীকালে ১৮১৮ সালের ৩ জুন মারাঠা পেশোয়া খন্দেশকে ব্রিটিশ শাসনের কাছে সমর্পণ করে।

জনমিতি

[সম্পাদনা]
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.±%
১৯০১১,৯১,২৩৮—    
১৯১১২,৩৮,৬১২+২৪.৮%
১৯২১২,৫৩,৩৯৯+৬.২%
১৯৩১৩,০৪,৯১৮+২০.৩%
১৯৪১৩,৬০,৬৮৫+১৮.৩%
১৯৫১৪,৫২,১৬৬+২৫.৪%
১৯৬১৫,৬৫,৯৫৮+২৫.২%
১৯৭১৬,৯২,৪৬৭+২২.৪%
১৯৮১৮,৪৮,০১০+২২.৫%
১৯৯১১০,৬২,৫৪৫+২৫.৩%
২০০১১৩,১১,৭০৯+২৩.৪%
২০১১১৬,৪৮,২৯৫+২৫.৭%

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে নন্দুরবার জেলাটির জনসংখ্যা ১,৬৪৮,২৯৫ জন[] যা গিনি-বিসাউ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেআইডাহো রাজ্যের জনসংখ্যার সমান[]।জনসংখ্যার বিচারে এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৩০৪তম। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৭৬ জন (৭১০ জন/বর্গ মাইল)। ২০০১-২০১১ এর দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৫.৫%। নন্দুরবারে প্রতি ১০০০ পুরুষ পিছু ৯৭২ জন মহিলা রয়েছেন; এবং সাক্ষরতার হার ৬৪.৩৮%।

ভাষাভিত্তিক জনমিতি

[সম্পাদনা]

ভারতের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যার ৬০.৮৮% ভিলি ভাষায়, ১৬.০৬% মারাঠি ভাষায়, ৮.৮৪% খন্দেশি ভাষায়, ০.০৫% হিন্দি ভাষায়, ৩.৭৯% উর্দু ভাষায় এবং ২.৩২% গুজরাতি ভাষায় কথা বলেন।[]

পরিবহন ও যোগাযোগ

[সম্পাদনা]
  • মোট রেল লাইনের দৈর্ঘ্য :৯০ কিমি
  • রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত গ্রামের সংখ্যাঃ
    • 12 মাস : ৬৭১
    • অস্থায়ী : ২৬২
  • মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য :৪৩৩৮ কিমি
  • মোট জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য :৪৪ কিমি

শিক্ষা

[সম্পাদনা]
  • নন্দুরবার জেলায় রয়েছে
    • ১৩৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
    • ২৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
    • উচ্চশিক্ষার জন্যে ৩০টি কলেজ
    • সরকারি পলিটেকনিক
    • ৪টি আইটিআই

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]
  • তোরণমল

নদুরবার শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে একটি নিভৃত এবং সুন্দর হিল স্টেশন।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রক নন্দুরবারকে দেশের ২৫০ টি পিছিয়ে পড়া জেলার (মোট ৬৪০ টির মধ্যে) অন্যতম বলে ঘোষণা করে। এটি মহারাষ্ট্রের বারোটি পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে যা বর্তমানে পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল গ্রহণ করছে[]

শিল্প

[সম্পাদনা]

জলবায়ু

[সম্পাদনা]
নন্দুরবার জেলা
জলবায়ু লেখচিত্র
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
২৫
১১
 
 
১.২
 
২৭
১৩
 
 
১.৪
 
৩২
১৮
 
 
১.৮
 
৩৭
২২
 
 
৯.২
 
৩৮
২৫
 
 
১০৯
 
৩৩
২৫
 
 
৩৭৪
 
২৮
২৩
 
 
১৩৫
 
২৭
২২
 
 
১২৩
 
৩০
২১
 
 
৪০
 
৩১
১৯
 
 
১৬
 
২৮
১৫
 
 
৩.৫
 
২৫
১২
সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ এবং সর্বোনিম্ন গড়
মিলিমিটারে বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ
উৎস: []

্নদুরবার জেলার জলবায়ু সাধারণত উষ্ণ এবং শুষ্ক থাকে। জেলাতে মোটামুটি তিনটি আলাদা ঋতু অনুভ করা যায়; গ্রীষ্ম, বর্ষা/বৃষ্টি এবং শীত।

গ্রীষ্মকাল মার্চ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। গ্রীষ্মগুলি সাধারণত গরম এবং শুকনো থাকে। মে মাসে গ্রীষ্ম চূড়ান্ত হয়। গ্রীষ্মের শীর্ষ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে পারে। জুনের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে বর্ষা শুরু হয়। এই মরসুমে আবহাওয়া সাধারণত আর্দ্র এবং গরম থাকে। উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলগুলিতে এই অঞ্চলের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়। জেলার গড় বৃষ্টিপাত ৭৬৭ মিলিমিটার। শীতকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। শীতকালে হালকা ঠান্ডা তবে শুকনো[]


Nandurbar-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Vehicle Registration Number – Useful info for car lover"। Team-BHP। ১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১০ 
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২০ 
  4. "2010 Resident Population Data"। U.S. Census Bureau। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১Idaho 1,567,582 
  5. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  6. Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  7. "The Gazetteers Department – DHULIA"। Maharashtra.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১০ 
  8. "Special Articles – Government of Maharashtra"। Maharashtra.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১০