নবাম টুকি | |
---|---|
অরুণাচল প্রদেশের ৮ম মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১লা নভেম্বর ২০১১ – ২৬শে জানুয়ারি ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | জারবোম গমলিন |
উত্তরসূরী | রাষ্ট্রপতি শাসন |
কাজের মেয়াদ ১৩ই জুলাই ২০১৬ [১] – ১৬ই জুলাই ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | কালিখো পুল |
উত্তরসূরী | পেমা খাণ্ডু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ওমপুলি, আসাম, ভারত (বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশ, ভারত) | ৭ জুলাই ১৯৬৪
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
বাসস্থান | ইটানগর |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
ওয়েবসাইট | www.nabamtuki.org |
নবাম টুকি (জন্ম ৭ই জুলাই ১৯৬৪) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী।[২] তিনি ২০১১ এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে দুবার নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে সমর্থ ছিলেন। [৩] প্রথমবার তার মুখ্যমন্ত্রী পদ ছিল ২০১১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাস অবধি। পরবর্তী দফায় তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে তিনদিনের জন্য। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের একজন সদস্য। টুকি পাপুম পারে জেলার সাগালী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচন প্রতিযোগিতায় লড়াই করেন।
নবাম টুকি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ৭ই জুলাই তারিখে পাপুম পারে জেলার সাগালী মহকুমাতে অরুণাচল প্রদেশের বৃহত্তম জনজাতি নিশি জনজাতির এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পদ গ্রহণকালে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তার সাত সন্তানের মধ্যে পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্র ছিলো৷ [৪]
নবাব টুকি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ অবধি ভারতের জাতীয় ছাত্র সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন৷ ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ অবধি তিনি উত্তর-পূর্বের জনজাতি কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন। [৪] ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ অবধি তিনি অখিল ভারতীয় জাতীয় স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সচিব পদ ও আলোকিত করেন। এরপর ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ অব্দি তিনি অরুণাচল প্রদেশের যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। [৪] অরুণাচল প্রদেশের দ্বিতীয় নং বিধানসভা সাগালী থেকে তিনি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচিত হন এবং গেগোং আপাং মন্ত্রণালয়ে তিনি ডেপুটি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন৷ [৪] ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে পরিবহন এবং পূর্ত দপ্তর সম্বন্ধীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।[৪] ওই একই বিধানসভা থেকে তিনি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে আবার নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং মুকুট মিঠি মন্ত্রকে তাকে ক্যাবিনেট মিনিস্টার এবং পরিবেশ ও বন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৪ এবং ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে পরপর দুবার তিনি আবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন এবং তাকে পি.ডাব্লিউ.ডি. এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। [৪]
জারবোম গমলিনের পরিবর্তে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর থেকে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি অবধি তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন। [৩][৫] রাজনৈতিক চাপানউতোর এর কারণে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে তার সময়-পরবর্তী কালে তিন দিনের জন্য অরুণাচল প্রদেশের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। [৫][৬] ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর বিরোধীপক্ষ তার বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের নিকট আপিল জানায়। পরের বছর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নিকট বিপক্ষ দলের তথ্য সাপেক্ষ দাবিতে আদালত তার ওপর নজরদারি শুরু করে। [২] ১৬ই জুলাই তারিখে তিনি তার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জারবোম গমলিন |
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ১ নভেম্বর ২০১১ - ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ |
উত্তরসূরী রাষ্ট্রপতি শাসন |
পূর্বসূরী কালিখো পুল |
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ১৩ জুলাই ২০১৬ - ১৬ জুলাই ২০১৬ |
উত্তরসূরী পেমা খাণ্ডু |