নয়নতারা সায়গল | |
---|---|
পেশা | লেখক |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
সময়কাল | বিংশ শতাব্দী |
সন্তান | গীতা সায়গল |
আত্মীয় | রনজিত সীতারাম পণ্ডিত (পিতা) বিজয়া লক্ষী পণ্ডিত (মাতা) জওহরলাল নেহরু (মামা) ইন্দিরা গান্ধী (মামাতো বোন) |
নয়নতারা সায়গল (জন্ম ১০ মে ১৯২৭) হলেন একজন ভারতীয় লেখিকা, যিনি ইংরেজি ভাষায় উপন্যাস ও অন্যান্য রচনা লিখেছেন। তিনি নেহরু-গান্ধি পরিবারভুক্ত একজন সদস্য, জওহরলাল নেহরুজির বোন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত-এর তিনজন কন্যাসন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।
নয়নতারা সায়গল ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তার ইংরেজি ভাষায় লেখা উপন্যাস রিচ লাইক আস (১৯৮৫) বইয়ের জন্যে ভারতের জাতীয় সাহিত্য সম্পর্কিত আকাদেমি কর্তৃক প্রদত্ত সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১]
নয়নতারা সায়গলের পিতা রণজিত সীতারাম পণ্ডিত ছিলেন কাথিয়াবাড় শহরের একজন ব্যারিস্টার। এছাড়াও পণ্ডিতজি ছিলেন একজন উচ্চাঙ্গ স্তরের বিদ্বান ব্যক্তি যিনি কলহন লিখিত ঐতিহাসিক মহাকাব্য রাজতরঙ্গিণী সংস্কৃত ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা সমর্থন করার জন্যে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে লখনৌ শহরের জেলে বন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়; মৃত্যুর সময় তিনি রেখে গিয়েছিলেন স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত এবং তাদের তিন কন্যা চন্দ্রলেখা মেহতা, নয়নতারা সায়গল এবং রিতা দার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নয়নতারা সায়গলের মা বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত ছিলেন মতিলাল নেহরুজির কন্যা এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুজির বোন। বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন, যে কারণে তাকে কারাবরণ করতে হয় এবং ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে, তিনি নবগঠিত ভারত গঠনে প্রথম দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, যাঁরা সেময়েই এম সি চাগলা মহাশয়ের সঙ্গে নবগঠিত রাষ্ট্রসংঘ সফর করেছিলেন।[২] ভারত স্বাধীন হওয়ার পর বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত ভারতের গণপরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেন, ভারতের কয়েকটা রাজ্যের রাজ্যপাল হন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন], এবং সোভিয়েভ ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, দ্য কোর্ট অফ সেন্ট জেমস, আয়ার্ল্যান্ড এবং রাষ্ট্রসংঘ এই সমস্ত জায়গায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষ বছরগুলোতে নেহরু পরিবারের টালমাটাল অবস্থার কারণে বালিকা নয়নতারা সায়গলকে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছিল। পরিণামে তিনি ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে হিমালয়ান হিল স্টেশন লান্দৌর শহরের উডস্টক স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং পরবর্তীতে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলেসলি কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন, যেখানে তিনি তার বড়ো দিদি চন্দ্রলেখার সঙ্গে পড়াশোনা করেন, যিনি দু-বছর আগে, ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ওই কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন। দেরাদুন শহরে তিনি কয়েক দশক বাস করেছিলেন, যে শহর লান্দৌর শহরের কাছেই ছিল, যেখানে তিনি বোর্ডিং স্কুলে (উডস্টক) পড়াশোনা করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নয়নতারা সায়গল দু-বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, প্রথমে গৌতম সায়গলের সঙ্গে এবং পরে একজন পাঞ্জাবি ক্রিশ্চান ইএন মঙ্গত রাইয়ের সঙ্গে বিবাহ হয়, যিনি ছিলেন একজন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস আধিকারিক।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইএন মঙ্গত রাই ৮৭ বছর বয়সে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে দেরাদুনে মারা যান, যেখানে নয়নতারা এবং তিনি কয়েক দশক বাস করেছিলেন, আর যে বাড়িটা এক সময় তার মায়ের ছিল। নয়নতারা সায়গল এবং ইএন মঙ্গত রাইয়ের মধ্যে যেসব চিঠি লেখালেখি হয়েছিল, তা থেকে বাছাই করা কিছু চিঠি নিয়ে রিলেশনশিপ নামে বই প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে যখন বইটা প্রকাশিত হয়, এটা বিচিত্র মাত্রার আঘাত এবং উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। চিঠিগুলোর লক্ষণীয় বিষয় ছিল এক মহিলার নিজের মধ্যে সত্যনিষ্ঠা, তার লেখা, তার ধারণা এবং বিবাহের ভিতর ও বাইরের সম্পর্কসমূহ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]