নয়াদিকালী

নয়াদিকালী
পালঘাটের উথরালিক্কাভু মন্দিরে নয়াদিকালী
স্থানীয় নামനായാടിക്കളി (মালয়ালম)
ধরনভারতীয় লোকনৃত্য
বাদ্যযন্ত্রবাঁশের লাঠি
উৎসকেরালা, ভারত

নয়াদিকালী (আক্ষরিক অর্থে শিকারের নৃত্য) হল একটি ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প যা ভারতের কেরালার ভাল্লুভানাদ অঞ্চলের (বর্তমান পালঘাট, ত্রিশূর জেলা) পানান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান। এটি সাধারণত অঞ্চলের দেবী মন্দিরে পুরম উৎসবের আগে, মানুষ এবং অঞ্চলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধির জন্য করা হয়।

প্রদর্শন

[সম্পাদনা]

নয়াদিকালী একটি লোকশিল্প যা প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চলের মঙ্গল ও সমৃদ্ধির জন্য সংঘটিত হয়ে আসছে। দেবী মন্দিরে পুরম উৎসবের আগে নয়াদিকালী দলগুলি এই অঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়।[] বনে শিকারে যাওয়া লোকের সাজে, পানান সম্প্রদায় ঘরে ঘরে যায় এবং গান গায়।[][] একটি দলে সাধারণত এক থেকে পাঁচজন থাকে।[] তারা যে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে, তা হলো দুটি বাঁশের লাঠি, একটি লম্বা এবং অন্যটি ছোট।[] বাম বগলে লম্বা লাঠি ধ'রে ছোট লাঠি দিয়ে তাতে টোকা মেরে লোকগীতি গাওয়া হয়।[]

তারা তাদের কোমরে জড়ানো মুন্ডুগুলির উপরে বিশেষ ধরণের পোশাক পরে আসে। তাদের মাথায় আরেকটি মুন্ডু বাঁধা থাকে এবং তাদের শরীরে বিভিন্ন রঙ আঁকা থাকে।[] তাদের কাঁধে কাপড়ের ব্যাগও থাকে।[] তারা হাতে করে একটি ছোট কাঠের মূর্তিও বহন করে, যার নাম ইটিংগলিকুট্টি[] এই মূর্তিটি উঠানে স্থাপন করা হয় এবং সামনে পেছনে লাঠি পিটিয়ে তারা এর চারপাশে নাচতে থাকে।[] তারা সাধারণত এর সাথে শিকার সম্পর্কিত গান গায়। নিজে তৎক্ষণাৎ গান তৈরি করে ঘটনাস্থলে গাওয়ার অভ্যাসও এদের আছে।[]

নয়াদিকালী প্রদর্শনের পর বাড়ি থেকে শিল্পীদের চাল, ধান ও টাকা দেওয়া হয়।[] পুরমের দিন, সমাপ্তি নৃত্য হয়, সমস্ত দল মন্দিরে পৌঁছে নৃত্য প্রদর্শন করে।[] কাঠের পুতুল হাতে নিয়ে এক ধরনের পুতুল নাচও করে তারা।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "നായാടിക്കളി സംഘങ്ങൾ വീടുകളിൽ എത്തിത്തുടങ്ങി"ManoramaOnline (মালায়ালাম ভাষায়)। Malayala Manorama। ২০২৩-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৮ 
  2. "വള്ളുവനാടിന്റെ കലാപാരമ്പര്യം"Janmabhumi (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৮ 

টেমপ্লেট:Culture of Kerala