নরকেন্দ্রিকতা বলতে এমন একটি বিশ্বাসকে বোঝায় যা অনুযায়ী মানুষ মহাবিশ্বের কেন্দ্রীয় বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্তা।[১] এর কাছাকাছি আরও কিছু পরিভাষা হল মানব শ্রেষ্ঠত্ব (Human supremacy) বা মানব ব্যতিক্রমীবাদ (Human exceptionalism)। নরকেন্দ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানবজাতি প্রকৃতি থেকে পৃথক ও উন্নত একটি সত্তা এবং প্রকৃতির অন্যান্য সত্তা যেমন প্রাণী, উদ্ভিদ, খনিজ হল শুধুই মানুষের ব্যবহার্য সম্পদ।[১]
নরকেন্দ্রিকতাতে বিশ্বকে মানব মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতার নিরিখে বিশ্বকে অবলোকন ও ব্যাখ্যা করা হয়।[২] আধুনিক প্রায় সব মানব সংস্কৃতি ও সচেতন কর্মকাণ্ডে এই বিশ্বাসটি গভীরভাবে প্রোথিত আছে বলে মনে করা হয়। এটি পরিবেশমূলক নীতিশাস্ত্র ও পরিবেশমূলক দর্শন নামক ক্ষেত্রগুলিতে অধীত একটি প্রধান প্রত্যয় বা ধারণা। ঐ শাস্ত্রগুলিতে নরকেন্দ্রিকতাকে প্রায়শই পৃথিবীর বাস্তুমণ্ডলে মানব কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট সব ধরনের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৩] তবে নরকেন্দ্রিকতার বহু সমর্থক বলেন যে ব্যাপারটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তাঁরা যুক্তি দেন যে নরকেন্দ্রিকতার একটি যৌক্তিক দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে বৈশ্বিক পরিবেশকে টেকসইভাবে মানুষের বসবাসের যোগ্য করে রাখতে হবে এবং মূল সমস্যা হল অগভীর নরকেন্দ্রিকতা।[৪][৫]
↑ কখBoslaugh SE (২০১৩)। "Anthropocentrism"। Encyclopedia Britannica। ২৯ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑PhilPapers, Systems Thinking and Universal Dialogue: The Creation of a Noosphere in Today's Era of Globalization, Author-Martha C. Beck, Dialogue and Universalism 23 (3):123-136 (2013)
Seigel, Michael T. (মে ২০০২)। Religion, science, and environment। Meeting of the Victorian Medico-Legal Society। Pacifica। 16 (1)। Brunswick, Australia: Pacifica Theological Studies Association (প্রকাশিত হয় ফেব্রু ২০০৩)। পৃষ্ঠা 67–88। আইএসএসএন1030-570X। ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল(PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২২।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)