নর্মদা আক্কা | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৯ এপ্রিল, ২০২২ আহেরি, গড়ছিরৌলী, ছত্তিশগড় |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
প্রতিষ্ঠান | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) |
পরিচিতির কারণ | ভারতের মাওবাদী আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুধাকর |
নর্মদা আক্কা (ইংরেজি: Narmada Akka) একজন ভারতীয় মাওবাদী নেত্রী ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি মাওবাদীদের প্রধান মহিলা নেত্রীদের অন্যতম ছিলেন।[১]
১৮ বছর বয়েসে নর্মদা আক্কা কলেজ ত্যাগ করে মাওবাদী রাজনীতিতে যোগদান করেন। তার পিতা ছিলেন সাম্যবাদী চিন্তাধারার ব্যক্তি। পিতার বামপন্থী রাজনীতি তাকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘ ত্রিশ বছর নর্মদা জঙ্গলে আত্মগোপন করে গেরিলা যুদ্ধ করেছেন। সাংবাদিক, লেখক রাহুল পন্ডিতা ও ফরাসী সাংবাদিক ভেনেসা'কে তিনি দণ্ডকারণ্যে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে জানান পিতার সাম্যবাদী মনোভাব তাকে বিপ্লবী বামপন্থী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। মাওবাদী দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি দক্ষিণ গড়ছিরৌলি অঞ্চলে ডিভিশনাল সম্পাদক হন। দলের নারী বাহিনী ও মহিলা সংক্রান্ত মতাদর্শিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছিল তার ওপর।[২] অনুরাধা গান্ধীর পর তিনিই ছিলেন দ্বিতীয় মহিলা যিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের মতে দন্ডকারণ্যের ক্রান্তিকারী আদিবাসী মহিলা সংগঠন যেটি মাওবাদ অনুসৃত বৃহত্তম মহিলা সংগঠন তার প্রধান নেত্রী ছিলেন নর্মদা আক্কা। এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৯০০০০।[৩] তার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র রাজ্যে ৫৩ টি ফৌজদারি মামলা বলবৎ ছিল।[৪]
নর্মদা আক্কা বিবাহ করেছিলেন সুধাকর ওরফে কিরন কে। সুধাকর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) দলের তাত্ত্বিক নেতা ও প্রকাশনা বিভাগের সাথে যুক্ত। তিনি পার্টির পলিটব্যুরো সদস্যও বটে।
নর্মদা আক্কা রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে মারা যান ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল।[৫] যদিও ২০১২ সালে তার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছিল। দক্ষিণ গড়ছিরৌলি এলাকায় অবুঝমাড় ও ছত্তীসগঢ় সীমান্তের হিকার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পরে গড়ছিরৌলি পুলিশ প্রধান সুভেজ হক জানান সংঘর্ষে মহিলা মাওবাদীদের মৃত্যু ঘটে ও যুদ্ধের পরেই মৃতদেহগুলি মাওবাদী গেরিলারা নিয়ে পালিয়ে যায়। হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী তার বয়েস হয়েছিল ৪৬ অপরদিকে দ্য হিন্দু পত্রিকায় তার বয়েস মৃত্যুকালে ৫৭ বলে উল্লেখ করা হয়।[৪] যদিও সাংবাদিক রাহুল পন্ডিতার মতে সাক্ষাতকারের সময় তার বয়েস ছিল ৪৮।[১] পুলিশের সূত্র হতে জানা যায় ছত্তিসগড় রাজ্যের কাঁকেড় জেলায় মারওয়াড়া গ্রামে গোপনে তার মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। এই সময় মাওবাদীরা সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেয়নি।[২]
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)।