নলিনী মালানি (জন্ম ১৯শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬)[১] একজন ভারতীয় শিল্পী, দেশের প্রথম প্রজন্মের ভিডিও শিল্পীদের মধ্যে একজন।[২]
তিনি মিশ্র মিডিয়া চিত্রণ এবং অঙ্কন সহ থিয়েটার, ভিডিও, স্থাপন সহ বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে কাজ করেন। ভারত বিভাগের পর দেশান্তরিত হওয়ার অভিজ্ঞতা দিয়ে তাঁর সৃষ্টির বিষয়গুলি প্রভাবিত হয়েছে। নারীবাদী বিষয়গুলিকে জোর দিয়ে সৃজনশীলতা তাঁর সৃষ্টির একটি অংশ হয়ে উঠেছে।[৩] নলিনী মালানি একটি দৃষ্টিলব্ধ ভাষা ব্যবহার করেন, যা স্টপ মোশন, ইরেজার অ্যানিমেশন (একটি শৈলী যেখানে লেখক গল্প তৈরি করতে সাদা কাগজ, একটি সাধারণ পেন্সিল এবং একটি ইরেজার ব্যবহার করেন), রিভার্স পেইন্টিং (কাচের ভেতর দিকে চিত্র এঁকে বাইরে থেকে দেখা) এবং ডিজিটাল অ্যানিমেশন (ডিজিটালি তৈরি অ্যানিমেশন) জুড়ে চলতে থাকে যায়। ডিজিটাল অ্যানিমেশনে তিনি একটি ট্যাবলেটে (ট্যাবলেট কম্পিউটার) আঙুল দিয়ে সরাসরি আঁকেন।[৪]
নলিনী মালানির প্রথম ভিডিও কাজটি ছিল 'ড্রিম হাউসেস' (১৯৬৯), এটি তিনি ভিশন এক্সচেঞ্জ ওয়ার্কশপের (ভিআইইডব্লিউ) সর্বকনিষ্ঠ এবং একমাত্র মহিলা অংশগ্রহণকারী হিসাবে তৈরি করেছিলেন। ভিআইইডব্লিউ হলো প্রয়াত শিল্পী আকবর পদমসীর বোম্বের (মুম্বাই) একটি পরীক্ষামূলক বহু-শৃঙ্খলা শিল্প কর্মশালা।[৫]
নলিনী মালানির মা ও বাবার নাম যথাক্রমে সাতনি আদবানি (সিন্ধি শিখ ) এবং জয়রাম মালানি (দিব্যজ্ঞান), নলিনী তাঁদের একমাত্র সন্তান।[৪] ১৯৪৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে, বর্তমানে পাকিস্তানেরকরাচিতে (সিন্ধু) তাঁর জন্ম হয়েছিল।[৮]ভারত বিভক্তির সময় মালানির পরিবার ভারতে আশ্রয় চেয়েছিল।[৯] তাঁরা কলকাতায় (তৎকালীন কলকাতা) স্থানান্তরিত হন, সেখানে নলিনীর বাবা টাটা এয়ারলাইন্সে (পরে এয়ার ইন্ডিয়া) কাজ করতেন। ১৯৫৪ সালে তাঁরা মুম্বাইতে চলে যান, সেখানে তাঁরা বাস্তুচ্যুত সিন্ধিদের জন্য নির্মিত একটি উপনিবেশে বসবাস করতেন।[৪] নিজের বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হওয়ার অভিজ্ঞতা মালানির শিল্পকর্মে ছাপ ফেলেছিল।[১০]
মালানি মুম্বাইতে চারুকলা অধ্যয়ন করেন[১১] এবং ১৯৬৯ সালে স্যার জামসেটজী জিজিবয় স্কুল অফ আর্ট থেকে ফাইন আর্টসে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯৬৪ - ৬৭ সাল পর্যন্ত, ভুলাভাই দেশাই মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে তাঁর একটি স্টুডিও ছিল, যেটি মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডিতে অবস্থিত ছিল।[৪] সেখানে শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং থিয়েটার ব্যক্তিরা পৃথকভাবে এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করতেন।[১২] এখানেই থিয়েটারের মতো শৈল্পিক অনুশীলনের সহযোগী সৃষ্টিগুলির শিল্পীদের সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল এবং তাঁরা পরস্পরের সহযোগিতা করেছিলেন।[১০] তিনি ১৯৭০ -৭২ সালের মধ্যে প্যারিসে চারুকলা পড়ার জন্য ফরাসি সরকারের কাছ থেকে একটি বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে দুটি বৃত্তি পেয়েছিলেন এবং সেইসাথে ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ এবং কাজের জন্য একটি অনুদান পেয়েছিলেন।[২]
স্নাতক হওয়ার পর, তিনি ফটোগ্রাফি এবং চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করে কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন।[১৩] এই সময়কালে তিনি যে বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করেছিলেন সেগুলি সেই সময়ের ভারতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিরতার মতো বিষয়ের সাথে জড়িত ছিল।[১৩][১৪] তাঁর কর্মজীবনের প্রাথমিক অংশে, মালানি বেশিরভাগই অঙ্কনে মনোনিবেশ করেছিলেন, তিনি ক্যানভাসে অ্যাক্রিলিক দিয়ে এবং কাগজে জলরঙে এঁকেছেন। তিনি সমসাময়িক ভারতের একটি সামাজিক ভিত্তিক চিত্রায়ন তৈরি করেছিলেন।[১৫] তিনি রিভার্স পেইন্টিং পদ্ধতির (৮০-এর দশকের শেষের দিকে ভূপেন খাখর তাঁকে শিখিয়েছিলেন) কৌশলগুলির বিশ্লেষণ করেছিলেন, সেগুলি তিনি তাঁর পরের দিকের কাজে বারবার ব্যবহার করেছেন। ভারতে নারী শিল্পীদের স্বীকৃতির যে অভাব ছিল তাতে তিনি হতাশ হয়েছিলেন এবং সংহতির বোধকে উন্নীত করার জন্য একটি দলগত শোতে তাদের একত্রিত করার সংকল্প করেছিলেন।[১৬] ১৯৮৫ সালে, তিনি দিল্লিতে ভারতীয় মহিলা শিল্পীদের প্রথম প্রদর্শনী করেছিলেন। আর্ট গ্যালারির অভিজাত পরিবেশের বাইরে গণমঞ্চে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী করার একটি ধারা শুরু হয়েছিল।[১৬]
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারতে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখা দেয় তা তাঁর শিল্পকর্মে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটায়।[১৫] নতুন করে ধর্মীয় সংঘাতের পুনরাবৃত্তি (ভারতবিভাগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা) তাঁর শৈল্পিক প্রচেষ্টাকে ধাক্কা দেয়।[১৭] আগে পরিবেশন শিল্পে তাঁর প্রবেশ এবং সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ তাঁর শিল্পে নতুন দিক নিয়ে আসে। প্রথাগত অঙ্কন থেকে নতুন মাধ্যমের কাজে রূপান্তরের প্রথম দিকের শিল্পী হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়।[১১]
২০১৩ সালে, "ধর্মীয় সংঘাত, যুদ্ধ, নারীর নিপীড়ন এবং পরিবেশগত ধ্বংসের মতো সাহসী সমসাময়িক এবং সর্বজনীন বিষয়গুলিতে ধারাবাহিক মনোযোগ দেওয়ার জন্য" তিনি শিল্প ও সংস্কৃতি ফুকুওকা পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম এশীয় মহিলা ছিলেন।[১৭]
দ্বি-মাত্রিক কাজের জন্য, তিনি তৈলচিত্র এবং জলরঙ উভয়ই ব্যবহার করেন। তাঁর অন্যান্য অনুপ্রেরণা হলো রাষ্ট্র থেকে আসা স্মৃতি, পৌরাণিক কথা এবং ইচ্ছা। দ্রুত তুলি চালানোর শৈলী স্বপ্ন এবং কল্পনার উদ্রেক করে।[১৮] মালানির ভিডিও এবং স্থাপনের কাজ তাঁকে কঠোরভাবে বাস্তব অবস্থান থেকে বাস্তব এবং অপার্থিব স্থানের সংমিশ্রণে স্থানান্তরিত করে, কঠোরভাবে বস্তু-ভিত্তিক কাজ থেকে দূরে নিয়ে যায়। তাঁর ভিডিও কাজে প্রায়শই বিভাগ, লিঙ্গ, এবং সাইবর্গের (একজন মানুষ যার শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি কৃত্রিম উপায়ে যেমন শরীরে জৈব রাসায়নিক বা ইলেকট্রনিক পরিবর্তন দ্বারা সহায়তা বা উন্নত হয়) উল্লেখ থাকে।[১৮] নলিনী মালানির পরিচয়ের মূলে রয়েছে নারীত্ব এবং ভারতীয়ত্ব এবং তাঁর কাজকে বিশ্বের বাকি অংশের সাথে তাঁর পরিচয়ের সম্মুখীন করার উপায় হিসাবে বোঝা যেতে পারে।[১৯] তিনি প্রায়ই গ্রীক এবং হিন্দু পুরাণ উল্লেখ করেন। মেডিয়া, ক্যাসান্দ্রা এবং সীতার মতো 'ধ্বংসপ্রাপ্ত নারী' চরিত্রগুলি প্রায়শই তাঁর বর্ণনায় দেখা যায়।[১১] তাঁর কাজকে বিস্তৃতভাবে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়; দৃশ্যমান মাধ্যম এবং চলমান চিত্র যেমন ইউটোপিয়া (১৯৬৯ - ১৯৭৬), মাদার ইণ্ডিয়া (২০০৫), ইন সার্চ অফ ভ্যানিশড ব্লাড (২০১২); ক্ষণস্থায়ী এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ যেমন সিটি অফ ডিজায়ারস (১৯৯২), মেডিয়া অ্যাজ মিউট্যান্ট (১৯৯৩ / ২০১৪), দ্য টেবিলস হ্যাভ টার্ণ্ড (২০০৮)। যদিও তাঁর কাজ সহিংসতা এবং সংঘাতের কথা বলে, তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হল যৌথ বিশোধন।[২০]
ভিশন এক্সচেঞ্জ ওয়ার্কশপ (ভিআইইডব্লিউ)-এ নির্মিত নলিনী মালানির প্রথম পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র - প্রয়াত শিল্পী আকবর পদমসীর মস্তিষ্কপ্রসূত - আধুনিক ভারতীয় স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিল। কর্মশালায় উপলব্ধ ফটোগ্রাফিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে এটি তৈরি, এতে একটি কার্ডবোর্ড প্রাথমিক নকশা, বিভিন্ন আলোর উৎস, প্রাথমিক রঙের ফিল্টার এবং একটি মামিয়াফ্লেক্স ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিল। মালানি 'আধুনিক স্থাপত্যের আদর্শগত সম্ভাবনার' ছবি এঁকেছিলেন, তিনি বিখ্যাত স্থপতি চার্লস কোরিয়া এবং বাকমিন্স্টার ফুলারের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন এবং মোহলি-নাগির ভিশন ইন মোশনের সাথে জোহানেস ইটেনেররঙের তত্ত্বগুলি মিশ্রিত করেছিলেন।
"ড্রিম হাউসের বিষয় হল আদর্শবাদ এবং আশাবাদ যা নেহরুভিয়ান আমলে আনা হয়েছিল, যেখানে আধুনিক ভারতে দারিদ্র্য এবং আবাসন সমস্যাগুলি শহুরে স্থানের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।" — নলিনী মালানি[২১]
'ড্রিম হাউস' দেখানো হয়েছিল কিরণ নাদার মিউজিয়াম অফ আর্ট (কেএনএমএ) (২০১৪), গ্যোটে ইনস্টিটিউট, মুম্বাই, (২০১৯) এবং মোমা, নিউ ইয়র্ক, (২০২২), 'হারিয়ে যাওয়ার ৫০ বছর পরে'।[৪]
নলিনী মালানির ২০০৩ সালের ভিডিও, ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি, ১৯ শতকের ভারতীয় চিত্রশিল্পী রাজা রবি বর্মারগ্যালাক্সি অফ মিউজিশিয়ানস- এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে জাতীয়তাবাদী ঐক্যের প্রকাশ্য বিষয়বস্তু ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের এগারোজন সঙ্গীতজ্ঞের পোশাকের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে সম্প্রীতির মেলবন্ধন। মালানি সেই চিত্রটিতে সহিংসতার পরবর্তী ইতিহাসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ঐক্যের এই আদর্শিক সংস্করণের উপর একটি বিবৃতি দিয়েছেন।[২২]
ভিডিও স্থাপনটি সমাজবিজ্ঞানী বীণা দাসের একটি প্রবন্ধ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল "ভাষা এবং শরীর: ব্যথার নির্মাণে লেনদেন"। এটি একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ পাঁচটি পর্দার প্রাচীর থেকে দেয়ালে প্রক্ষেপ। এখানে কাব্যিক এবং চিত্রশিল্পীর বৈশিষ্টসূচক অঙ্কনের সাথে আর্কাইভাল ফুটেজকে একত্রিত করে। জাতির জন্য রূপক হিসাবে নারীর দেহ ব্যবহার করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ কিভাবে নির্মিত হয়েছিল তার গল্পটি বলে। কাজটি মহিলাদের "মিউট্যান্ট, ডি-জেণ্ডারড এবং কল্পনার বাইরে লঙ্ঘন" হিসাবে কথা বলে।[২৩] ভারত বিভাজন এবং ২০০২ গুজরাট দাঙ্গা এই স্থাপনে উল্লেখ করা মূল ঘটনা,[২৪] কারণ এই সময়কালে মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল।[২৫]
এই স্থাপনটি ডকুমেন্টার ১৩তম সংস্করণের জন্য প্রথম উৎপাদিত হয়েছিল। এতে রয়েছে পাঁচটি বড় ঘূর্ণায়মান মাইলার সিলিণ্ডর (রূপকভাবে বৌদ্ধ প্রার্থনার চাকাকে উল্লেখ করা হয়[২৬]) সৈন্য, প্রাণী, দেবতা এবং বন্দুকের ছবি সহ বিপরীত অঙ্কন।[২৫] এই ঘূর্ণন দ্বারা সৃষ্ট ছায়া নাটকটি রক্তপাতের গল্প বলে, বিশেষ করে দেশভাগের পর থেকে ভারতের গল্প বর্ণনা করে এবং ছিন্নমূল/উপজাতীয় সম্প্রদায়ের দুর্দশার কথা তুলে ধরে যাদের জীবন সরকারের গৃহীত উন্নয়ন সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।[১৬]
২০১৪ - ইন সার্চ অফ ভ্যানিশড ব্লাড, এডিনবার্গ আর্ট ফেস্টিভ্যাল এবং ১৪-১৮ নাও, ডব্লিউডব্লিউ১ সেন্টেনারি আর্ট কমিশন, স্কটিশ ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, এডিনবার্গ, যুক্তরাজ্য দ্বারা সহ-কমিশন করা হয়েছে[৩৬]
১৯৮৭ - ৮৯ সাল থেকে, নলিনী মালানি তাঁর সমসাময়িক, মহিলা শিল্পী মাধবী পারেখ, নীলিমা শেখ এবং অর্পিতা সিং- এর সাথে 'থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস' সংগঠিত করেছিলেন। এই চারজন শিল্পীর কাজ সমন্বিত প্রদর্শনী, ভারত জুড়ে পাঁচটি অ-বাণিজ্যিক স্থানে ভ্রমণ করেছে। ১৯৭৯ সালে নিউইয়র্কের এআইআর গ্যালারিতেন্যান্সি স্পেরো, মে স্টিভেনস এবং আনা মেন্ডিয়েটার সাথে একটি বৈঠকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সর্ব-মহিলা শিল্পীদের সমবায় গ্যালারি), মালানি সম্পূর্ণরূপে নারী শিল্পীদের কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন, যা আগ্রহ এবং সমর্থনের অভাবে বাস্তবায়িত হতে ব্যর্থ হয়েছে।[৪৯][৫০]
↑ কখগঘঙPijnappel, Johan; Malani, Nalini (অক্টো ২০১৯)। Can You Hear Me? | Nalini Malani (ইংরেজি ভাষায়)। Goethe Institute, Max Mueller Bhavan। পৃষ্ঠা 11–40।
↑"The Oracle and the Artist"। The Indian Quarterly – A Literary & Cultural Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৭।
↑"Exhibitions"। New Museum Digital Archive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১১।