নাইটস হস্পিটালার

  • নাইটস হস্পিটালার
  • Knights Hospitaller
  • Order of Hospitallers
  • Knights of Saint John (of Jerusalem)
  • Knights of Rhodes, Knights of Malta
সক্রিয়আনু. ১০৯৯ খ্রি. –বর্তমান[]
আনুগত্যপোপ
ধরনরোমান ক্যাথলিক সামরিক সংঘ
Headquartersজেরুসালেম
রোডস
বিরগু
ভাল্লেত্তা
রোম
ডাকনামThe "Religion"
পৃষ্ঠপোষক
রংBlack and white
Red and white
যুদ্ধসমূহ Other service in European navies.
কমান্ডার
উল্লেখযোগ্য
কমান্ডার
Jean Parisot de Valette, Garnier de Nablus

নাইটস হস্পিটালার (ইংরেজি: The Order of Knights of the Hospital of Saint John of Jerusalem, লাতিন: Ordo Fratrum Hospitalis Sancti Ioannis Hierosolymitani, আরবী: فرسان الإسبتارية‎), অথবা Order of Saint John, Order of Hospitallers, Knights Hospitaller, অথবা Hospitallers একটি ক্যাথলিক মিলিটারি অর্ডার। বিভিন্ন সময়ে এর হেডকোয়ার্টার জেরুসালেম, রোডস এবং মাল্টাতে ছিল।

১২শতকে great monastic reformation এর সময় জেরুসালেমের মুরিস্তান জেলায় আমালফিটান হাসপাতালের সাথে জড়িত লোকদের সংঘ হিসাবে হস্পিটালারদের উথ্থান হয়। পবিত্র ভূমিতে আসা খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের সেবার জন্য ১০২৩ সনে জন দি বাপ্তিস্ত (য়াহয়া)এর প্রতি উৎসর্গিত করে জেরার্ড থম (Gerard Thom) এটি প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য কিছু বিদ্বান মনে করেন যে আমালফিটান হাসপাতাল থেকে জেরার্ড থমের অর্ডার ও হাসপাতাল ভিন্ন ছিল।[] প্রথম ক্রুসেড চলাকালে ১০৯৯ সনে জেরুসালেম অবরোধ সংস্থাটি একটি ধর্মীয় সংঘ এবং সামরিক সংঘে পরিণত হয় যার দায়িত্ব ছিল পবিত্র ভূমির প্রতিরক্ষা। মুসলিম শক্তি কর্তৃক পবিত্র ভূমি দখলের, পর নাইটরা রোডস থেকে তাদের কাজ পরিচালনা করত, যেখানে তাদের সার্বভৌমত্ব ছিল, এবং আরো পরে মাল্টা থেকে, যেখানে তারা সিসিলির স্পেনীশ ভাইসরয় এর অধীনে করদ রাজ্য শাসন করত। হস্পিটালাররা ১৭ শতকের এক সময় চারটি ক্যারিবীয় দ্বীপ দখল করেছিল যা তাদেরকে ১৬৬০ সনে ফ্রাসীদের কাছে ছেড়ে দিতে হয়।

প্রোটেস্টান্ট রিফর্মেশন এর সময় নাইটরা দুর্বল হয়ে পড়ে, কারণ জার্মান ও ডাচ ধনী কমান্ডাররা প্রোটেস্টান্ট হয়ে যান, যা এখনও পর্যন্ত আলাদা আছে। ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেনে অর্ডার ছত্রভঙ্গ হয় আর ১৭৯৮ সনে নেপোলিয়ন কর্তৃক মাল্টা দখলের ফলে এটি আরো বিধ্বস্ত হয়, এরপর তারা ইউরোপ ও রাশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৯শতকের শুরুতে তারা দর্মীয় ও মানবিক কর্ম পরিচালনার মাধমে কিছুটা শক্তি ফিরে পায়। ১৮৩৪ সনে অর্ডারটি, যা তখন মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার নামে পরিচিত ছিল, রোমে নতুন সদরদফ্তর লাভ করে, যেখানে এখন পর্যন্ত আছে।

সমসাময়িক পাঁচটি রাষ্ট্র-স্বীকৃত শৌর্য্য অর্ডার যারা হস্পিটালার ঐতিহ্য দাবি করে, তারা বলে যে "মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডারই আদি সংগঠন", চারটি অ-ক্যাথলিক সঙস্থাও একই উৎস থেকে উদ্ভূত:[] প্রোটেস্ট্যান্ট orders জার্মানিতে Order of Saint John হিসাবে আছে। ধর্মমত-নিরপেক্ষ Order of Saint John (chartered ১৮৮৮) এর সদরদপ্তর যুক্তরাজ্যে যার শাখাসমূহ কমনওয়েলথ দেশগুলিতে বিস্তৃত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠা ও আদি ইতিহাস

[সম্পাদনা]
১৪ শতকে গ্র্যান্ড মাস্টার ও জ্যেষ্ঠ নাইটস হস্পিটালার

৬০৩ সনে Pope Gregory I লোম্বার্ড কোর্টে তার প্রতিনিধি রাভীনা বাসী Abbot Probus কে দায়িত্ব দেন জেরুসালেম এ খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের সেবা ও চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল স্থাপন করতে।[] ৮০০ সনে সম্রাট শার্লামেন হাসপাতালটি সম্প্রসারণ করেন। ১০০৫ সনে খলীফা আল-হাকিম বি আমরিল্লাহ এ হাসপাতালসহ জেরুসালেমের তিন হাজার ভবন ধ্বংস করেন। ১০২৩ সনে, ইতালির আমালফিসালের্নোর ব্যযবসায়ীগণকে মিসরের খলীফা আলী আল জাহির হাসপাতালটি পুণর্নির্মাণের অনুমতি দেন যা সেন্ট জন বাপ্তিস্ত চার্চ এর জায়গায় নির্মিত হয়। এটা Order of Saint Benedict কর্তৃক পরিচালিত হত। প্রথম ক্রুসেডএর পর সন্নাসবাদী hospitaller order টি Gerard Thom কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়, পোপ Paschal II ১১১৩ সনে Pie Postulatio Voluntatis নামক পোপের ফরমান জারির মাধ্যমে তাকে স্বীকৃতি দেন। [] Gerard তার order এর জন্য জেরুসালেম রাজ্য সহ অনেক রাজ্য থেকে জমি ও জায়গীর লাভ করেন। তার উত্তরসূরী Raymond du Puy de Provence এর সময়ে সুশ্রুষালয়টি জেরুসালেমে Church of the Holy Sepulchre এর কাছে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসাবে সম্প্রসারিত হয়। [] শুরুতে এই সংঘ জেরুসালেমে তীর্থযাত্রীদেরকে সেবা দিত, পরে তারা তীর্থযাত্রীদেরকেসশস্ত্র পাহারা প্রদান করতে শুরু করে। এভাবে তারা একটি সামরিক সংঘে পরিণত হয়। এভাবে Order of St. John তার দাতব্য চরিত্র অক্ষুণ্ণ রেখে সামরিক সংঘে পরিণত হয়। []

Raymond du Puy ১১১৮ সনে হাসপাতালটির মাস্টার হয়ে সংঘের সদস্যদের মধ্য থেকে মিলিশিয়া গঠন করেন, যাদের তিনটি র‌্যাংক ছিল: knights, men at arms এবং chaplains। Raymond তারর সেনাদলকে জেরুসালেমের রাজা বল্ডুইনের অধীনে ন্যস্ত করেন এবং এ সময় থেকে ক্রুসেডে শরীক হয়, বিশেষ করে ১১৫৩ সনের আছকালান অবরোধে । ১১৩০ সনে পোপ Innocent II সংঘের জন্য coat of arms নির্ধারণ করে দেন যা ছিল লাল জমিনে রূপালী ক্রুশ (gueulles).[সন্দেহপূর্ণ ][] হস্পিটালাররা এবং নাইটস টেম্পলার পবিত্র ভূমিতে অজেয় শক্তিতে পরিণত হয়। পবিত্র রোমান সম্রাট ফ্রেডারিক বার্বারোসা, ১১৮৫ সনে চার্টারে Knights of St. John কে সমর্থন দান করেন।

Roger de Moulins এর বিধি (১১৮৭)তে কেবল রুগ্ন লোকের সেবা উল্লেখ ছিল। নবম গ্য্যান্ড মাস্টার Fernando Afonso of Portugal (প্রায় ১২০০) এর বিধিতে সামরিক সেবার কথা প্রথম উল্লেখিত হয়। পরেরটিতে সেকুলার নাইট ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নাইটের মধে্য পর্থক্য করা হয়। সেকুলার নাইটগণ কিছু সময়ের জন্য কাজ করতেন, আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নাইটগণ একটি শ্বাশ্বত প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ থাকতেন। যারা ধর্মীয় সদস্যদের তুল্য আদ্যাত্মিক সুবিধা উপভোগ করতেন। এ সংঘের তিনটি শ্রেণী ছিলঃ military brothers, brothers infirmarians এবং brothers chaplains.[]

১২৪৮ সনে Pope Innocent IV (১২৪৩–৫৪) যুদ্ধক্ষেত্রে পরার জন্য হস্পিটালারদের জন্য একটি সামরিক পোশাক অনুমোদন করেন। বর্মের উপর বদবধ কেপ-এর পরিবর্তে তারা একটি লাল আংরাখা পরতেন যার উপর ষাদা ক্রুশ অঙ্কিত থাকত।[]

পবিত্র ভূমির অনেক দুর্গ নাইটস টেম্পলার ও নাইটস হস্পিটালার কর্তৃক নির্মিত হয়। জেরুসালেম রাজ্যের উৎকর্ষের সময়ে, নাইটস হস্পিটালারদের সাতটি কেল্লা ও ১৪০টি অন্যান্য জায়গীর ছিল। এগুলোর মধ্যে বড় দুটি ছিল জেরুসালেম রাজ্যে Krak des Chevaliers এবং সিরিয়ায় Margat.[] সংঘের সম্পত্তি prioriesতে বিভক্ত ছিল, তা আবার bailiwickএ বিভক্ত ছিল, তা আবার commanderiesএ বিভক্ত ছিল।

১২ শতকের শেষে ইংল্যান্ডনর্মান্ডির স্বীকৃতি লাভ করে। ফলে, স্থানীয় অভিজাতদের অনুদানে St John's JerusalemKnights Gate, Quenington মনির্মিত হয়.[] ডাবলিনএর কাছে Kilmainham এ একটি আযরিশ হাউস স্থাপিত হয়, আয়রিশ জাতীয় জীবনে আইরিশ Prior একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

সাইপ্রাস ও রোডসের না্ইটগণ

[সম্পাদনা]
রোডসে Knights' castle

১২৯১ সনে Kingdom of Jerusalem এর পতনের পর, নাইটরা ত্রিপলি কাউন্টিতে সীমিত হয়ে পড়ে। ১২৯১ সনে যখন যখন আক্কা (Acre) দখল হয়, সংঘটি সাইপ্রাস রাজ্যের কাছে আশ্রয় নেয়। সাইপ্রাসের রাজনীতিতে তাদের জড়িয়ে পড়ার প্রেত্ষিতে তাদের মাস্টার Guillaume de Villaret, বায়জানটাইন সাম্রাজ্যের রোডসএ তাদের নতুন নিবাস গড়ার পরিকল্পনা নেন। তার উত্তরসূরী Foulques de Villaret, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন, এবং চার বছরের অভিযান শেষে, ১৫ আগস্ট ১৩১০ রোডস শহর নাইটদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা কয়েকাট প্রতিবেশী দ্বীপ, আনাতোলিয়ার বন্দর হ্যালিকারণেসাস এবং Kastellorizo দ্বীপ দখল করে।

পোপ পঞ্চম ক্লেমেন্ট ১৩১২ সনে কয়েকটি পোপীয় ফরমান দ্বারা হস্পিটালারদের প্রতিদ্বন্দী, নাইটস টেম্পলার ছত্রভঙ্গ করেন, এর মধ্যে Ad providam ফরমান দ্বারা তাদের সম্পদ হস্পিটালারদেরকে দেওয়া হয়। .

সম্পদ আটটি "Tongues" বা Languesএ বিন্যস্ত ছিল, আরাগন, Auvergne, ক্যাস্টাইল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, Holy Roman Empire, ইতালিপ্রভাঁসেএ একটি করে। প্রথ্যেকটিতে একজন করে Prior প্রশাসক হিসাবে থাকতেন। একটি langueএ একাধিক Prior থাকলে এজজন Grand Prior প্রশাসক হিসাবে থাকতেন।

রোডসে, এবং পরে মাল্টাতে, নাইটদের প্রধানকে বলা হত baili. সে সময় ইংল্যান্ডের Grand Prior ছিলেন Philip De Thame, যিনি ১৩৩০ to ১৩৫৮সময়ে English langueকে বরাদ্দ দেয়া সম্পদ তদারকি করতেন। ১৩৩৪সনে রোডসের নাইটরা Andronicus ও তার তুর্কী সহযোগীদেরকে পরাজিত করেণ। ১৪শতকে তারা আরো কয়েকটি যুদে অংশ নেয়।[]

রোডসে হস্পিটালাররা,[] তখন রোডসের নাইট নমে পরিচিত'[১০] বেশি সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় বারবার জলদস্যুদের সাথে যুদ্ধের কারণে। তারা ১৫শতকে দুটি আক্রমণ ঠেকায়, এক বার ১৪৪৪ সনের মিশরের সুলতান কর্তৃক, আরেকবার ১৪৮০ সনে অটোমান সুলতান অটোমান সুলতান মুহম্মদ, ১৪৫৩ সনে কনস্টান্টিনোপল পতনের পর, নাইটদেরকে টারগেট করেন।

১৪৯৪ সনে হ্যালিকারণেসাস উপদ্বীপে (বর্তমানে Bodrum) ঘাটি করে। তারা Petroniumকে শক্তিশালী করতে সপ্তাশ্চর্য়র মধ্যে একটি হ্যালিকারণেসাসের সমাধি মন্দিরএর ধ্বংসাবশেষের ভগ্নাংশ ব্যবহার করে।[১১]

১৫২২ সনে নতুন শক্তি আসে: সুলতান সুলেমানএর অধীনে ৪০০ জাহাজ এক লাখ লোককে দ্বীপটিতে আনে। [১২] (২০০,০০০ in other sources[১৩]). এই শক্তির বিপরীতে গ্র্যান্ড মাস্টার Philippe Villiers de L'Isle-Adamএর কাছে ছিল ৭,০০০ সৈনিক ও দুর্গ। রোডস অবরোধ ছয়মাস স্থায়ী হয়, শেষে বাকী জীবিত হস্পিটালাররা সিসিলিতে চলে যাওয়ার সুযোগ পায়। এই পরাজয় সত্বেও Villiers de L'Isle-Adam এর বীরত্ব প্রশংসিত হয়, এবং পোপ Adrian VI তাকে বিশ্বাসের প্রতিরক্ষক খেতাব দেন।

মাল্টার নাইটগণ

[সম্পাদনা]
Arms of the Knights Hospitallers, quartered with those of Pierre d'Aubusson, on a bombard

সাত বছর যাবৎ ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান বদলের পর, নাইটরা ১৫৩০সনে স্তায়ী দপ্তর পায় যখনস্পেনের প্রথম চার্লস, সিসিলির রাজা হিসাবে, তাদেরকে মাল্টা গোজো এবং উত্তর আফ্রিকার বন্দর ত্রিপলি দেন,[১৪] in perpetual fiefdom মাল্টীয় বাজপাখি (the Tribute of the Maltese Falcon), এর বিনিময়ে যা All Souls' Day এ রাজার প্রতিনিধি, সিসিলির ভাইসরয়ের কাছে পাঠাতে হত। [১৫][১৬]

হস্পিটালাররা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিশেস করে Barbary piratesএর বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখে। যদিও তাদের কয়েকটি জাহাজ ছিল তারা দ্রুত অটোমানদের রাশ টানতে সক্ষম হয়, যারা তাদের এই স্থিতিতে অখুশি ছিল। ১৫৬৫ সনে সুলেমান ৪০,০০০ জনকে পাঠান ৭০০জন নাইট ও ৮,০০০ সৈনিককে মাল্টা থেকে বের করতে এবং একটা নতুন ঘাটি স্থাপন করতে যাতে ইউরোপে পরবর্তী হামলা চালানো যায়। [১৪]

প্রথমে হস্পিটালারদের জন্য যুদ্ধ খারাপ হয় এবং শহরের বেশিরভাগ ধ্বংস হয়, অর্ধেক নাইট মারা যায়। ১৮ আগস্ট অবরুদ্ধ লোকদের অবস্থা শোচনীয় হয়: প্রতিদিন সংখ্যায় কমছিল। দুর্গ রক্ষা করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু যখন গ্র্যান্ড মাস্টার Jean Parisot de Valette এর পরিষদ বিরগুSenglea ত্যাগ করে Fort St. Angeloতে অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দেয়, তিনি তা অস্বীকার করেন।

সিসিলির ভাইসরয় সাহায্য পাঠায় নি। সম্ভবত Philip II of Spain এর ভাইসরয়ের নির্দেশ এমন ছিল যে হস্পিটালারদের সাহায্য নিজ খরচ ও ঝুকিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ভুল ‍সিদ্ধান্তে পরাজয় হবে আর সিসিলি ও নেপলস অটোম্যানদের হাতে পড়বে। La Valetteর সাথে তার নিজের পুত্রকে রেখে যান। so he could hardly be indifferent to the fate of the fortress. তার দেরি করার কারণ যাই হোক, ভাইসর ইতস্তত করতে থাকেন যতক্ষণ না যুদে্ধের বিষয় নাইটরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। before being forced to move by the indignation of his own officers.

নাইটগণ কর্তৃক ১৬ শতকের সামরিক কসরত প্রদর্শন Fort Saint Elmo, ভেল্লিত্তা, মাল্টা, ৮ মে ২০০৫

২৩ আগস্টে আরেকটি বড় আঘাত আসে, অবরোধকারীদের শেষ মারাত্মক প্রচেষ্টা, কঠোরভাবে এটা মোকাবেলা করা হয়, এমনকি আহতরাও অংশ নেয়। তুর্কী ফোর্সের অবস্থা শোচনীয় হয়। Fort Saint Elmo ছাড়া বাকি দুর্গগুলি অক্ষত থাকে।[১৭] সেনাদল রাতদিন কাজ করে ফাটল বন্ধ করে এবং মাল্টা জয় অসম্ভব দেখা দেয়। অটোম্যান সেনাদের অনেকে গরমে অসুস্থ হয়। খাদ্য ও রসদ শেষ হয়ে আসে। অটোম্যান সেনাদল তাদের ব্যর্থতা ও ক্ষতিতে মনোবলহীন হতে থাকে। ২৩ জুন অটোম্যান নৌবাহিনীর এডমিরাল কমান্ডার Dragut, মারা গেলে বিশাল ধাক্কা পায়. তুর্কী কমান্ডার পিরালি পাশালালা মোস্তফা পাশা, অসচেতন ছিলেন। তাদের একটি বিশাল নৌবহর ছিল যা তারা মাত্র একবার ব্যবহার করেছিল। তারা আফ্রিকার উপকূলে তাদের যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে এবং সিসিলিয়দের reinforcements বাধা দিতে চেষ্টাই করে নি।

১লা সেপ্টেম্বর তারা তাদের শেষ চেষ্টা করে, কিন্তু অটোম্যান সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে, অবুদ্ধরা সাহসী হয়, তারা উদ্ধারপ্রাপ্তির আশা করতে থাকে। বিভ্রান্ত সিদ্ধান্তহীন অটোম্যান সেনারা Mellieħa উপসাগরে সিসিলিয় reinforcements আসার খবর পায়। তারা জানত না যে আগত ফোর্স ছোট, তারা অবরোধ তুলে নেয় এবং ৮ সেপেটম্বর ফিরে চলে। Great Siege of Malta ছিল শেষ ঘটনা যেখানে নাইটদের ফোর্স রিঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।.[১৮]

অটোম্যান সেনারা চলে গেলে, হস্পিটালারদের মাত্র ৬০০ জন হাতিয়ারবাহী লোক ছিল। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মতে অটোমান সেনা ছিল ৪০,০০০ জন, যাদের মধ্যে ১৫,০০০ শেষতক কনস্টান্টিনোপলে ফিরে যায়। Grandmaster's Palace in Vallettaএ Hall of St. Michael and St. George এ, (Throne Room নামে পরিচিত), Matteo Pérez এর frescoes তে এ অবরোধ বিস্তারিতভাবে অঙ্কিত আছে; Greenwich, London Queen's Houseএর Cube Roomএ at Perez d'Aleccio কর্তৃক ১৫৭৬ ও ১৫৮১ এর মধ্যে অঙ্কিত পেন্টিংয়ের চারটি আসল modellos, আছে। অবরোধের পর গ্রান্ড মাস্টারের স্মরণে Valletta নামে নতুন শহর গড়া হয় যা বর্তমানে মাল্টার রাজধানী।

১৬০৭ সনে, গ্রান্ড মাস্টারকে Reichsfürst (পবিত্র রোমার সাম্রাজ্যের প্রিন্স) খেতাব দেয়া হয়, যদিও সংঘের ভূমি রোমান সাম্রাজ্যের দক্ষিণে ছিল। ১৬৩০ সনে, তাকে কার্ডিনাল এর সমান ধর্মীয় মর্যাদা দেয়া হয়।, এবং His Most Eminent Highness এই অনন্য খেতাব, যা Prince of the Church এর গুণ দেয়।

১৬ ও ১৭ শতকের নাইটগণ: সাগরের রিকনকুইসতা

[সম্পাদনা]

মাল্টায় নাইটদের স্থানান্তরের পর, সামরিক ও আর্থিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক কারণে তাদের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নের উপায়হীন হয়: পবিত্র ভূমিতে ক্রুসেড যোগদান তখন অসম্ভব, রাজস্ব কসে যাওয়ায় ইউরোপীয় পৃষ্ঠপোষকগণ ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় সংস্থাকে সহায়তা দিতে উচ্চূক ছিলেন না। নাইটরা ভূমধ্যসাগরে জলদস্যুদের বিশেষ করে অটোমান র্পষ্ঠপোষককৃত বার্বার জলদষ্যু দের কাজের প্রতিরোধে নিয়োজিত হয়. ১৫৬৫ সনে দ্বীপের সফল প্রতিরক্ষা এবং ১৫৭১ সনে লেপান্তো যুদ্ধেতে অটোমানদের উপর খ্রিস্টানদের বিজয়ের পর ১৬ শতকে, নাইটরা আবার খ্রিস্টান ব্যবসায়ীদের রক্ষা এবং বনদী খ্রিস্টানদের মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত হয়। এ কর্মকাণ্ড "corso" নামে পরিচিত। [১৯]

তবে সংঘটি কমে যাওয়া আয়ের দরুন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়। ভূমধ্যসাগরে পুলিশিংয়ের কারণে তারা ভূমধ্যসাগরের নৈরাপত্তারক্ষী Venice, Genoa, and Pisa এদের দায়িত্ব নিজেদের কাধে নেয়, তাদের আর্থিক অবস্থাকে জটিল করে তোলে; 'scudo'র বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন। যা ১৬শতকে প্রবর্তিত হয়েছিল অচল হয়ে যায়, অথাৎ তারা ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্য পেত।[২০] barren island এ বাসকালে, অনেক নাইট তাদের দায়িত্ব ভুলে মুসলিম জাহাজ লুট করতে শুরু করে।[২১] বেশি বেশি জাহাজ লুট চলতে থাকে, এর লাভ থেকে নাইটরা অলসভাবে বিলাসী জীবন যাপন করতে থাকে, স্থানীয় মেয়েদেরকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে এবং ফ্রান্স ও স্পেনের নৌবাহিনীতে যোগ দেয় অভিযান, অভিজ্ঞতা, এবং আরো বেশি অর্থের জন্য.[২২]

নাইটদের পরিবর্তিত মনোভাবের সাথে যুক্ত হয় সংস্কারপ্রতিসংস্কারএর প্রভাব এবং রোমান ক্যাথোলিক চার্চের অস্থিতিশীলতা. এসব ঘটনা নাইটদেরকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে কারণ ১৬ ও ১৭ শতকে ইউরোপের খ্রিস্টান লোকদের ধর্মীয় চেতনা (এবং সেই সাথে ধর্মিয় সেনাদলের) কমতে থাকে , এবং এভাবে ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে নাইটদের নিয়মিত চাদা কমতে থাকে।[২৩] নাইটরা, মূলত ক্যাথোলিক সামরিক অর্ডার, ইংল্যান্ডকে সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ফুণরায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুরোধ করে। সংঘটি সেখানে রাজা অষ্টম হেনরির আমলে দমিত ছিল — প্রোটেস্ট্যান্ট রাণী প্রথম এলিজাবেথ আসীন হওয়ার সাথে সাথে সংঘের মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ঞুতা প্রদর্শন করে।.[২৪] কিছু সময়ের জন্য সংঘের অধীনে ছিল জার্মান langue যা ছিল আংশিক প্রোটেস্ট্যান্ট এবং আংশিক রোমান ক্যাথোলিক।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এই সময়ে নাইটদের নৈতিক অবক্ষয় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় বিদেশী নেভীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে যে কারণে তাদেরকে ১৪ ও ১৭ শতকের "mercenary sea-dogs" বলা হত, ফরাসী নেভী ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় কর্মস্থল। [২৫] এই সিদ্ধান্ত নাইটদের অস্তিত্বের মূল কারণের বিপরীত ছিল, কোন একটি ইউরোপীয় শক্তির অধীনে কাজ করতে গেলে তাদের বাস্তব সম্ভাবনা ছিল অন্য একটি রোমান ক্যাথোলিক ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করার, যেমন সেই সময়ে কয়েকটি Franco-Spanish naval skirmishes এর ক্ষেত্রে ঘটেছিল।[২৬] সবচেয়ে বড় প্যারাডক্স ছিল যে বুহু বছর যাবৎ ফরাসী সরকার নাইটদের প্রধান শত্রু অটোমান সাম্রাজ্যের মিত্র ছিল। প্যারিস অটোমান সাম্রাজ্যের সাথে অনেকগুলি বাণিজ্য চুক্তি করে এবং এই সময়ে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। [২৭]

নাইটদের শত্রুর মিত্রে সাথে সংশ্লিষ্টতা তাদের নৈতিক দ্বিচারিতা এবং ১৭ শতকে ভূমধ্যসাগরে বাণিজ্য মানসিকতা প্রমাণ করে। বিদেশী নেভী, বিশেষ করে ফরাসী নেভীতে চাকরি করার সুবাদে, তারা চার্চে ও রাজার অধীনে কাজ করার সুযোগ পায়। ফলে নেভীতে বা মাল্টায় তাদের পদোন্নতির, বেশি বেতন প্রা্প্তির, একঘেয়েমি ঘুচানোর সুযোগ হয়, তারা লম্বা সমুদ্রভ্রমণের চেয়ে ফরাসী নেভীতে স্বল্পমেয়াদী সমুদ্রভ্রমণের সুযোগ পায়, এবং নাইটরা চাইলে বন্দরে উচ্ছৃঙ্খখল ফুর্তিতে অংশ নিতে পারত। [২৮] এর বদলে ফরাসীরা স্পেনিশ ও হাপসবার্গ হুমকি মোকাবেলার জন্য দ্রুত গঠিত নেভী পেয়ে যায়। এই সময়কালে নাইটদের পরিবর্তিত মনোভাবের কথা Paul Lacroix এভাবে বর্ণনা করেছেন:

Inflated with wealth, laden with privileges which gave them almost sovereign powers … the order at last became so demoralised by luxury and idleness that it forgot the aim for which it was founded, and gave itself up for the love of gain and thirst for pleasure. Its covetousness and pride soon became boundless. The Knights pretended that they were above the reach of crowned heads: they seized and pillaged without concern of the property of both infidels and Christians".[২৯]

নাইটদের ধনসম্পদ বৃদ্ধি পেলে, ইউরোপীয় রাষ্ট্যগুলি সংঘ সম্পর্কে complacent হয়, এবং আরো অনিচ্চুক হয় এমন এক সংস্থাকে অর্থ সাহায্য দিতে যারা সুদ্র থেকে উচ্চ আয় লাভ করে। এভাবে এক বিষময় চক্র তৈরী হয়, লুণ্ঠন অভিযানের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং খ্রিস্টান জগতের জাতিরাষ্ট্র থেকে কমতে থাকা অনুদান to such an extent that the balance of payments on the island had become dependent on conquest.[২২] The European powers lost interest in the knights as they focused their intentions largely on one another during the Thirty Years' War.

১৬৪১ এর ফেব্রুয়ারিতে ভের্লেত্তা থেকে একজন অজ্ঞাত dignitary নাইটদের বিশ্বস্ত মিত্র ফ্রান্সের চতুর্দশ লুই এর কাছে সংঘের সংকটের কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন:

Italy provides us with nothing much; Bohemia and Germany hardly anything, and England and the Netherlands for a long time now nothing at all. We only have something to keep us going, Sire, in your own Kingdom and in Spain.[৩০]

এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই মাল্টীয় কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করতে চাইত না যে তারা "অবিশ্বাসী"দের জাহাজ ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করে অনেক মুনাফা করছিল। মাল্টার কর্তৃপক্ষ তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে, একে উৎসাহিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়, দরিদ্য জীবনযাপনের শপথ সত্তেও, নাইটদেরকে spoglioর কিছু অংশ রাখার অনুমতি দেয়া হয়, যা ছিল ধৃত জাহাজ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও পণ্য, নতুন অর্থ দিয়ে তাদের নিজেদের সমৃদ্ধ করার অনুমোদন দেয়া হয়।[৩১]

নাইটদের corso বিষয়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে সমালোচিত হয় তা হল তাদের 'vista' নীতি রক্ষার জন্য জিদ। এই নীতি তাদেরকে এমন সব জাহাজ থামাতে ও তাতে উঠতে সুযোগ দেয় যেসব জাহাজে তুর্কী পণ্য বহন করে বলে সন্দে করা হত, সেগলি বাজেয়াপ্ত করে ভেল্লেত্তায় তারা বিক্রি করতে পারত। এর মধ্যে জাহাজের নাবিকরাও থাকত যারা ছিল জাহাজের সবচেয়ে দামী পণ্য। স্বাভাবিকভাবে অনেক জাকি দাবি করে যে তুর্কদের সাথে দূরতম সম্পর্ক থাকা সত্বেও নাইটরা অতিউৎসাহী হয়ে জাহাজ থামাত এবং মাল জব্দ করত।[২১] এ সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টায়, মাল্টা কর্তৃপক্ষ Consiglio del Mer নামে বিচারিক আদালত গঠন করে যেখানে ক্যাপেটনরা যারা মনে করত তাদের উপর জুলুম করা হয়েছে তারা আবেদন করেত পারত। লাইসেন্স প্রদান ও রহিতকরণের রাষ্ট্্রীয় ব্যবস্থা অনেক বছর বহাল ছিল, দ্বীপটির সরকার চাইত লাগামহীন নাইটদেররোশ টেনে ইউরোপীয় শক্তিসমূহ হ স্বল্পসংখ্যক benefactorদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে। যদিও এসব প্রচেষ্টা পুরো সফল ছিল না, কারণ Consiglio del Mer ১৭০০ সনে এ অঞ্চলে মাল্টীয় দস্যুবৃত্তির অসংখ্য অভিযোগ পায়. শেষ পর্যন্ত, ভূমধ্যসাগরে মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ এই সময়ে নাইটদের পতনের কারণ হয়ে দাড়ায়। তারা খ্রিস্টান জগতকে রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল তা থেকে ত্রা আরেকাট জাতিরাষ্ঠ্রে রূপান্তরিত হতে থাকে একটি বাণিজ্যনির্ভর মহাদেশে যা শিঘ্যই উত্তর সাগরএর ব্যবসায়ী জাতিদের আধিপত্যে চলে যায়। [৩২]

মাল্টার জীবন

[সম্পাদনা]

মাল্টায় নাইটরা আসার পর ২৬৮ বছর সেখানে থাকে, সেটাকে "merely a rock of soft sandstone" থেকে সুরক্ষিত দ্বীপে পরিণত করে। আর রাজধানী (ভাল্লেত্তা) যা Superbissimaবা "গর্বিত" নামে ইউরোপের শক্তিসমূহের কাছে পরিচিত ছিল। মাল্টীয় জাতি Knights of St Johnএর শাসনে তৃপ্ত ছিল না।" নাইটরা ছিল ফরাসী এবং তারা স্তানীয় দ্বীপবাসীকে গুরূত্বপূর্ণ পদ থেকে বাইরে রাখত। বিশেষ করে তারা হিংসা করত যেভাবে নাইটরা স্থানীয় মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সুবিধা পেত। [৩৩]

১৩০১ সনে, সংঘটি সাতটি langues এ বিন্যস্ত হয়; মর্য়াদার ক্রমে, প্রভাঁস, Auvergne, ফ্রান্স, আরাগন, ইতালি, ইংল্যান্ড, এবং জার্মানি। ১৪৬২ সনে, আরাগনের Langue দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় Castile-Portugal এবং Aragon-Navarre. ১৫৪০ সনে অষ্টাদশ হেনরি সংঘের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে ইংলিশ Langue স্হগিত অবস্থায় থাকে। ১৭৮২ সনে Anglo-Bavarian Langue, হিসাবে এটি পুণর্জীবিত হয়। এর অধীনে ব্যাভারিয়ান ও পোলিশ priories ছিল। ১৯শতকে জাতীয় সমিতির মাধ্যমে এ প্রথা পুণর্গঠিত হয়।

যখন নাইটরা প্রথমে আসে, স্থানীয়রা তাদের উপস্থিতিতে ভীত হয় এবং তাদেরকে দাম্ভিক অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করত। মাল্টীয়রা এই সংঘে যোগ দিতে পারত না। নাইটরা মাল্টীয় আভিজাত্যকে উপেক্ষা করত। তা সত্ত্বেও. দুটি গ্রুপ শান্তিতে সহাবস্থান করত, কারণ নাইটরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছিল, দানশিল ছিল এবং মুসলিম হামলাকারীদের থেকে তাদেরকে রক্ষা করত। [৩৪]

স্বাভাবিকভাবে, মাল্টায় প্রথমে নেয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে ছিল হাসপাতাল, যেখানে ফরাসী ভাষাকে ইতালীয়র বদলে দাপ্তরিক ভাষা করা হয় (যদিও স্থানীয় বাশিন্দারা নিজেদের মধ্যে মাল্টীয় ভাষা ব্যবহার করতে থাকে)।[৩৫] নাইটরা কেল্লা, নজরদারি টাওয়ার এবং গীর্জা নির্মাণ করে। এর মাল্টা অধিগ্রহণের মাধ্যমে সংঘের ণৌকার্য়ক্রম নতুনভাবে শুরু হয়।

ভেল্লেত্তার দুর্গ, যা গ্রা্যন্ড মাস্টার la Valette'’ এর নামে করা, ১৫৬৬ সনে নির্মাণ শুরু হয়, এটা শিঘ্রই ভূমধ্যসাগরের শক্তিশালী নেভীর নিজ বন্দরে পরিণত হয়। সামরিক প্রকৌশলী Francesco Laparelli ভেল্লেত্তার ডিজাইন করেন। তার কাজটি Girolamo Cassar কর্র্তক গৃহীত হয়। শহর নির্মাণ শেষ হয়১৫৭১ সনে। দ্বীপের হাসপাতালটিও সম্প্রসরিত করা হয়। Sacra Infermeria ৫০০ রোগী বসতে পারত এবং পৃথিবীর অন্যতম সুন্দরতম ছিল। চিকিৎসাশাস্ত্রের অগ্রদূত হিসাবে, মাল্টা হাসপাতালে এনাটমি, সার্জারি ও ফার্মাসি বিভাগ ছিল। ভেল্লত্তো আর্ট ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত ছিল। Conventual Church of St. John, ১৫৭৭ সনে নির্মাণ শেষ হয়, এখানে Caravaggio ও অন্যদের কাজ ছিল।

ইউরোপে রিফমেৃশনের সময় সঙঘের হাসপাতাল ও চ্যাপেল, তবে প্রোটেস্ট্যান্ট বা Evangelical দেশগুলি ব্যতীত। মাল্টায় এর মধ্যে, ১৭৬১.সনে ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মাল্টা প্রতিষ্ঠিত হয়. সাত বছর পর মাল্টা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর ১৭৮৬ সনে School of Mathematics and Nautical Sciences স্থাপিত হয়। এসব উন্নয়ন সত্ত্বেও, কিছু মাল্টাবাসী সংঘের প্রতি বিরক্ত ছিল, যারা তাদেরকে সুবিধাভোগী মনে করত। এদের মধ্যে মাল্টীয় অভিজাতরাও ছিল, যাদেরকে সংঘে নেয়া হত না।

রোডসে, নাইটরা auberges সরাইখানায় থাকত যা Langues এ বিভক্ত ছিল। এই কাঠামো বিরগু তে বহাল ছিল (১৫৩০–১৫৭১) এবং পরে ভেল্লেত্তাতেও (১৫৭১সন থেকে)। বিরগুর auberges ১৬শতকের ইমারতরূপে বিদ্যমান। ভেল্লেত্তায় এখনও ক্যাস্টাইল এর auberge আছে (১৫৭৪; গ্র্যান্ড মাস্টার de Vilhena কর্তৃক ১৭৪১ সনে সংস্কারকৃত, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর), ইতালি (গ্র্যান্ড মাস্টার Carafa কর্তৃক ১৬৮৩ সনে সংস্কৃত, বর্তমানে মাল্টা পর্যটন কর্তৃপক্ষ), আরাগন (১৫৭১, বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ব্যাভারিয়া (সাবেক Palazzo Carnerio, ১৭৮৪ সনে নবগঠিত Langueএর জন্য ক্রয়কৃত, বর্তমানে সরকারী সম্পদ বিভাগ হিসাবে ব্যবহৃত) এবং প্রভাঁস (বর্তমানে মাল্টা ন্যাশনাল মিউজিয়ম অফ আর্কিওলজি)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে auberge d'Auvergne ক্ষতিগ্রস্ত হয় (এবং পরে আদালত ভবনে রূপান্তরিত হয়) এবং auberge de France ধ্বংস হয়।

১৬০৪ সনে, প্রত্যেক Langue কে church of Saint John এর একটি করে চ্যাপেল দেয়া হয় এবং Langue এর কোট অফ আর্মস দেয়াল ও ছাদ সজ্জিত করা হয়:

ইউরোপে বিশৃঙ্খলা

[সম্পাদনা]

যদিও সংঘটি মাল্টায় টিকে থাকে,এটি Protestant Reformationএর সময় এর ইউরোপীয় স্থাপনা হারায়। ইংলিশ ব্রাঞ্চ ১৫৪০ সনে বাজেয়াপ্ত করা হয়। [৩৬] জার্মান Bailiwick of Brandenburg ১৫৭৭ সনে লুথেরান হয়, এরপর ইভেনজেলিকাল হয়, কিন্তু ১৮১২ সন পর‌্যন্ত সংঘকে আর্থিক সহায়তা দান অব্যাহত রাখে। সেসময় প্রুশিয়ায় সংঘের প্রটেক্টর, রাজা Frederick William III, এটিকে একটি order of meri -এ রূপান্তরিত করেন।;[৩৬] ১৮৫২সনে, তার পুত্র ও উত্তরাধিকারী, রাজা Frederick William IV of Prussia, Johanniterorden কে নাইট হস্পিটালারের অ-ক্যাথোলিক শাখা হিসাবে পুণরায় ফিরিয়ে আনেন।

রূশ নেভীতে এবং বিপ্লবপূর্ব ফরাসী নৌবাহিনীতে নাইটদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। যখন Phillippe de Longvilliers de Poincy ফরাসী কলোনী Saint Kitts এর গভর্নর নিযুক্ত হন ১৬৩৯ সনে, তিনি ছিলেন একজন নাইট এবং তিনি সংঘের প্রতীক সহ পোশাক পরতেন। ১৬৫১সনে, নাইটরা Compagnie des Îles de l'Amérique থেকে islands of Sainte-Christophe, Saint Martin, ও Saint Barthélemy ক্রয় করে। [৩৭] ১৬৬০ সনে De Poincy'র মৃত্যুতে ক্যারিবিয়ান এলাকায় হসপিটালার সংঘের উপস্থিতি শেষ হয়ে যায়। তিনি Saint Croix দ্বীপ ব্যক্তিগত সম্পদ হিসাবে ক্রয় করেন এবং Knights of St. Johnকে দান করেন। ১৬৬৫ সনে, সংঘ তাদের ক্যারিবীয় French West India Companyর কাছে বিক্রি করেন, যারফলে ঐ এলাকায় সংঘের উপস্থিতির অবসান ঘটে।

ফরাসী জাতীয় এসেম্বলী ১৭৮৯ সনে সামন্ততন্ত্র বাতিল করে যে ফরমান জারি করে তাতে এই সংঘকেও ফ্রান্সে বিলুপ্ত করা হয়:

V. Tithes of every description, as well as the dues which have been substituted for them, under whatever denomination they are known or collected (even when compounded for), possessed by secular or regular congregations, by holders of benefices, members of corporations (including the Order of Malta and other religious and military orders), as well as those devoted to the maintenance of churches, those impropriated to lay persons and those substituted for the portion congrue, are abolished (…)[৩৮]

ফরাসী বিপ্লবী সরকার ১৭৯২ সনে ফ্রান্সে সংঘের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে।

মাল্টা হৃত

[সম্পাদনা]

নেপোলিয়ন ১৭৯৮ সনে তার মিসর অভিযানের সময় তাদের ভূমধ্যসাগরীয় ঘাটি Maltaদখল করেন। [১৭] নেপোলিয়ন Grand Master Ferdinand von Hompesch zu Bolheimকে দাবি করেন যে তা জাহাজ পানি ও রসদ নিতে বন্দরে ভিড়বে। গ্র্যান্ড মাস্টার জবাব দিলেন একসাথে মাত্র দুটি জাহাজ ভিড়তে পারবে। নেপোলিয়ন জানতেন যে এ রকম পদ্ধতি অনেক সময় নেবে এবং তার বাহিনী এর ফলে এডমিরাল হোরেশিও নেলসনএর হুমকির মুখে পড়বে, কাই তিনি মাল্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধায়োজনের নির্দেশ দিলেন। [৩৯] ১১ জুন সকালে ফরাসী সেন্যৈরা সাতটি পয়েন্টে মাল্টায় নামল এবং হামলা চালাল। কয়েক ঘণ্টার তুমুল যুদ্ধের পর পশ্চিমের মাল্টীয়রা আত্মসমর্পণ করে। [৪০]

নেপোলিয়ন দুর্গ রাজধানী ভেল্লেত্তার সাথে আলোচনা শুরু করেন। বেশি উন্ন্ত ফরাসী ফোর্সের মুখোমুখি হয়ে এবং পশ্চিম মাল্টায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, গ্র্যান্ড মাস্টার আত্মসমর্পণে রাজী হন। [৪১] ১৮ জুন Hompesch Triesteএর উদ্দেশ্যে মালটা ত্যাগ করে।[৪২] তিনি ৬ জুলাই ১৭৯৯ গ্র্যান্ড মাস্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন।

নাইটরা ছত্রভঙ্গ হয়, যদিও ষংঘ সীমিত মাত্রায় অস্তিত্ব বজায় রাখে এবং ইউরোপীয় সরকারগুলির সাথে ফিরে আসার জন্য নেগোসিয়েশন চালাতে থাকে। রুশ সম্রাট, প্রথম পল সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হস্পিটালার নাইটকে আশ্রয় দেন, যে কাজের ফলে রুশ নাইটস হস্পিটালার ঐতিহ্য উদ্ভব হয় এবং রুশ ইম্পিরিয়াল অর্ডারে তাদের স্বীকৃতি আসে। [৪৩] সেন্ট পিটার্সবুর্গের শরণার্তী নাইটরা জার পলকে তাদের গ্র্যান্ড মাস্টার নির্বাচিত করেন–গ্র্যান্ড মাস্টার von Hompesch এর প্রতিদ্বন্দী - তবে পরবর্তী জনের পদত্যাগের পর পল একমাত্র গ্র্যান্ড মাস্টার হন। গ্র্যান্ড মাস্টার প্রথম পল রোমান ক্যাথোলিক Grand Prioryর অতিরিক্ত একটি রুশ Grand Priory গঠন করেন। যাতে ছিল কমপক্ষে ১১৮ টি Commanderies, ফলে সংঘের বাকি অংশ সংকুচিত হয় এবং সকল খ্রিস্টানের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। রোমান ক্যাথোলিক আইন দ্বারা পলের গ্র্যান্ড মাস্টার নিবাচন স্বীকৃত হয় নি। তিনি de jure গ্র্যান্ড মাস্টার ছিলেন না de facto গ্র্যান্ড মাস্টার ছিলেন।

১৯ শতকের শুরুতে, ইউরোপে এর priories হারানোর ফলে সংঘটি দুর্বল হয়ে পড়ে। সংঘের মাত্র ১০% আয় ইউরোপের উৎস থেকে আসত, বাকি ৯০% Russian Grand Priory কর্তৃক অর্জিত হত ১৮১০ সন পর্যন্ত। এ সমস্যার আংশিক কারণ এ সময়ে সংঘের প্রশাসন ছিল লেফটেনেন্টের অধীনে, গ্র্যান্ড মাস্টারের অধীনে নয়, ১৮০৫ থেকে ১৮৭৯ সময়ে, যখন পোপ ত্রয়োদশ লিও একজন গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়োগ দেন। এতে মানবিক ও ধমীয় সংস্থা হিসাবে সংঘটির নবায়ন হয়।

১৯ সেপেটম্বর ১৮০৬, সুইডিশ সরকার সংঘকে Gotland দ্বীপ দানের প্রস্তাব করেন। সংঘ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, কারণ কারণ এর অর্থ হবে মাল্টার উপর সংঘের দাবি ত্যাগ করা। [৪৪]

অবশিষ্ট

[সম্পাদনা]
View from Valletta, Malta, showing Fort Saint Angelo, belonging to the Sovereign Military Order of Malta.

২০১৩ সনের অগাস্টে, Israel Antiquities Authority জানায় যে ১,৫০,০০০ বর্গফুট (১৪,০০০ মি) হস্পিটালার হাসপাতাল, যা ১০৯৯ and ১২৯১এর মধ্যে মুসলিম কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল, পুরাতন জেরুসালেম শহরের খ্রিস্টান পল্লীতে পাওয়া গেছে। এখানে ২,০০০ জন রোগী একসাথে থাকতে পারত। ইহুদী রোগীদেরকে kosher (ধর্মমতে বৈধ) খাবার দেয়া হত। এটা একটি এতিমখানা হিসাবেও কাজ করত, যার শিশুরা পুর্ণবয়স্ক হয়ে হস্পিটালার হত। একটি রেস্তোরাঁর জন্য খননকালে এ ধ্বংসাবশেষ আবিস্কৃত হয়, সংরক্ষিত ভবন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। [৪৫]

মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার

[সম্পাদনা]

১৮৩৪ সনে, অর্ডারটি রোমে স্থিতি লাভ করে।[৪৬] হাসপাতাল কাজ, সংঘের মুল কাজ, আবার প্রধান ভাবনা হয়ে দাড়ায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সংঘের হাসপাতাল কাজ বিস্তৃতভাবে নেয়া হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গ্র্যান্ড মাস্টার Fra' Ludovico Chigi Albani della Rovere (গ্র্যান্ড মাস্টার ১৯৩১–১৯৫১) এর অধীনে কর্মতৎপরতা জোরদার করে।

মাল্টা সংঘের কোট অব আর্মস

Sovereign Military Hospitaller Order of Saint John of Jerusalem, of Rhodes and of Malta, যা মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার (SMOM),নামে বেশি পরিচিত, একটি ক্যথোলিক ধর্মীয় সংঘ এবং বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে-থাকা বীরত্ব অর্ডার। [৪৭] এর সার্বভৌম status স্বীকৃত হয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য ও জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক।[৪৮] সংঘ ১০৬টি দেশের সাথে কূটনতিক সম্পর্ক, আরো ৬টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে অফিসিয়াল সম্পর্ক রক্ষা করে। জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন সংস্থায় প্রতিনিধি পাঠায়। [৪৯][৫০] এরা নিজস্ব পাসপোর্ট, মুদ্রা, ডাকটিকেট এমন কি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্লেট ইস্যু করে। মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার এর ১২০ টি দেশে উপস্থিতি আছে,এদের আছে ১২টি Grand Priories ও Sub-Priories এবং ৪৭টি জাতীয় সমিতি সেসাথে অসঙখ্য হাসপাতাল,চিকিৎসা কেন্দ্র, day care centres, ফাস্র্ট এইড কোর, এবং বিশেষায়িত ফাউন্ডেশন, যেগুলি ১২০টি দেশে পরিচালিত হয়। এর ১৩,৫০০ সদস্য এবং ৮০,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ২৫,০০০ এর বেশি চিকিৎসা কর্মী – ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিক – দরিদ্র, রুগ্ন, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, গৃহহীন, terminal patients, যক্ষারোগীর সেবায় নিয়োজিত। সংঘটি সামরিক conflict এবং প্রাকৃতিক বিপর্য়য়ে পতিত রৈাকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে, শরণার্থীদের যত্ন করে, এবং ঔসধ ও জীবনধারণের মূল যন্ত্রপাতি বিতরণ করে।

মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার [কখন?] মাল্টায় একটি মিশন প্রতিষ্ঠা করে। মাল্টীয় সরকারের সাথে একটি চুক্তির পর যার মাধমে ৯৯ বছরের জন্য সংঘকে Fort St. Angelo ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। বর্তমানে, সংস্কারের পর, দুগটি অর্ডার অফ মাল্টার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। [৫১]

উত্তরাধিকার

[সম্পাদনা]

প্রোটেস্ট্যান্ট শৌর্য্য অর্ডার

[সম্পাদনা]

প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কারএর পর, জার্মান Margraviate of Brandenburg এর commanderies Order of Saint Johnএর সাথে সম্পৃক্ততা অব্যহত রাখার ঘোষণা দেয়। প্রোটেস্ট্যান্ট মতবাদে ধর্মান্তর চলছিল যার ফরে Order of Saint John of the Bailiwick of Brandenburg উদ্ভব হয়। এটা Prince Oscar of Prussia (born ১৯৫৯)এর অধীনে শৌর্য্য অর্ডার হিসাবে আজ পর‌্যন্ত আছে।

জার্মানি থেকে, এই প্রোটেস্ট্যান্ট শাখা ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেমন হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যাণ্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, করম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ায় সদস্য নেয়ার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। [৫২]

ইংল্যান্ডে, রাজা অষ্টম হেনরি Dissolution of the Monasteries এর সময়ে নাইটদের প্রায় সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেন। যদিও তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবদমন করা হয় নি, তবুও এর ফলে সংঘের English Langue অবসান ঘটে।

১৮৩১ সনে, ইউরোপীয় অভিজাতদের দ্বারা একটি সংঘ খোলা হয় (সম্ভবত উপযুক্ত অনুমতি ব্যতীত) [৫৩] এই সংঘ Most Venerable Order of Saint John নামে পরিচিত হয়, রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছ থেকে ১৮৮৮সনে royal charter লাভ করে, যা পরে যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে, ব্রিটিশ Most Venerable Order of Saint John St. John Ambulance Brigade এবং Saint John Eye Hospital পরিচালনার জন্য পরিচিত।[৫৪] ১৯ শতক থেকে Most Venerable Order of Saint John মাল্টায় উপস্থিতি বজায় রেখেছে।

দ্তিীয় বিশ্বযুদ্ধর পর ডাচ ও সুইডিশ commanderies স্ব স্ব দেশের রাজার আশ্রয়ে স্বাধীন সংঘে পরিণত হয়। Order of Saint John in the Netherlands এ ডাচ রাজা একজন সম্ম্নী কমান্ডার; Order of St John in Sweden সুইডেনের রাজা Carl XVI Gustaf কর্তৃক প্রতিপালিত।

জার্মান, ডাচ, ও সুইডিশ তিনটি প্রোটেস্ট্যান্ট অর্ডারের সবগুলি ১৯৬১ সনে Order of Saint John of the Bailiwick of Brandenburg কর্তৃক স্থাপিত Alliance of the Orders of Saint John of Jerusalem এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতায় আবদ্ধ।

আধুনিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সতে্তও, শৌর্য্য অর্ডারের শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে, তারা International Commission on Orders of Chivalry (২০১৬)এর স্বীকৃতি লাভ করে। সকল প্রোটেস্ট্যান্ট সংঘ আদি ক্যাথোলিক মাল্টার সার্বভৌম মিলিটারি অর্ডার থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে।

অনুকৃত স্বঘোষিত সংঘসমূহ

[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর ইতালি রিপাবলিকে রাষ্ট্র কাঠামো না থাকার সুযোগে,একজন ইতালীয় নিজকে পোলিশ রাজকুমার বলে দাবি করে Maltese cross এর নামে "Grand Priory of Podolia" হিসাবে কাজ চালায় শেষ তক জালিয়াতির জন্য অভিযুক্ত হয়। আরেকজন জালিয়াত Holy Trinity of Villeneuve এর গ্র্যান্ড প্রাইর হবার দাবি করে, তবে পুলিশ পরিদর্শনের পর ত্যাগ করে, যদিও সংস্থাটি ১৯৫ সনে মাল্টায় এবং ১৯৭৮ সনে যুক্তরাষ্ট্রে আবার মাথাচাড়া দেয়। [৫৫]

American Association of SMOM কর্তৃক ১৯৫০s তে অনেক চাদা উঠানো থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে Charles Pichel ১৯৫৬ সনে তার নিজস্ব "Sovereign Order of St. John of Jerusalem, Knights Hospitaller" গঠন করেন।[] Pichel SMOM এর নকল করার অভিযোগ এড়ায় তার সংস্থার একটি পৌরানিক ইতিহাস উপস্থাপনের মাধ্যমে। তিনি দাবি করেন যে আমেরিকান সংগঠনটি ১৯০৮ সনে রুশ হস্টিটালার ট্রাডিশন অনুযায়ী গঠিত হয়েছে— একটি অসত্য দাবি, অথচ কিছু একাডেমিকসহ অনেক লোক এর দ্বারা ভুলপথে চালিত হয়েছেন। সত্য হচ্ছে রুশ হস্টিটালার ট্রাডিশনের সাথে তার সংগঠন প্রতিষ্ঠার কোন যোগসূত্র নেই। প্রতিষ্ঠার পর Pichelএর সংঘর সদস্য হতে কিছু রুশ অভিজাতের আগ্রহের কারণে তার দাবি কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছিল।

এসব সংস্থা অন্যয আরো self-styled order এর জন্ম দেয়। [] ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক আরেকটি স্বঘোষিত সংঘ Robert Formhals এর নেতৃত্বে অনেক অনুসারী জোটাতে সক্ষম হয়। তিনি কয়েক বছরের যাবৎ Augustan Societyর মত কিছু ঐতিহাসিক সংস্থার সমর্থনে House of Sanguszko এর একজন পোলিশ রাজকুমার বলে দাবি করেছিলেন। []

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Moeller, Charles. "Hospitallers of St. John of Jerusalem." The Catholic Encyclopedia. Vol. 7. New York: Robert Appleton Company"। Newadvent.org। ১৯১০-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০২ 
  2. "The Orders of St. John: A Shared Tradition" (পিডিএফ) (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Sovereign Military Order of Malta and Alliance of the Orders of Saint John of Jerusalem। ২২ অক্টোবর ২০০৪। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-০২ 
  3. Adrian J. Boas, Jerusalem in the Time of the Crusades: Society, Landscape and Art in the Holy City under Frankish Rule, (Routledge, 2001), 26.
  4. "Knights of Malta – unofficial website"। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  5. Louis Moreri, The Great Historical Dictionary (1759):[পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
  6. Cartulaire general de l'ordre des hospitaliers de St Jean de Jerusalem (1100–1310), ed. Joseph Delaville le Roulx (Paris, 1894–1906), no. 78, no. 2479.
  7. L. Greaves, Houses of the National Trust: Outstanding Buildings of Britain (London, 2008) p 325
  8. Graham, J. J. (১৮৫৮)। Elementary History of the Progress of the Art of War। R. Bentley। , page 299
  9. Artemi, E. DIASPORIC COMMUNITIES IN RHODES 1350–1450. The Knights of Rhodes – the hospitallers
  10. "Catholic Encyclopedia: Knights of Malta"। Newadvent.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  11. "Bodrum.com"। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  12. Balfour, Baron Kinross, Patrick (১৯৭৯)। The Ottoman Centuries: The Rise and Fall of the Turkish Empire। পৃষ্ঠা 176 
  13. (G. Veinstein)। "Süleymān: Encyclopaedia of Islam: Brill Online"। Brillonline.nl। ২০১২-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  14. "Malta History"। Jimdiamondmd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  15. "Malta History 1000 AD–present"। Carnaval.com। ২০১২-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  16. Dashiell Hammettএর উপন্যাসThe Maltese Falconএ ঐতিহাসিক বিষয়টি আছে।
  17. "Knights of Malta"। Knightshospitallers.org। ৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  18. Ottoman Siege of Malta, 1565, World History at KMLA. Accessed 14 September 2007
  19. Peter Earle, Corsairs of Malta and Barbary, (London: Sidgwick & Jackson, 1970); p. 107
  20. Hoppen, 'The Finances of the Order of St John of Jerusalem' p. 106
  21. Peter Earle, Corsairs of Malta and Barbary, (London: Sidgwick & Jackson, 1970); p. 109
  22. Peter Earle, Corsairs of Malta and Barbary, (London: Sidgwick & Jackson, 1970); p. 97
  23. Herny Kamen, Early Modern European Society, (London: Routledge, 2000); p. 17
  24. D F Allen, 'Charles II, Louis XIV and the Order of Malta', The Historical Journal, 33(4), 1990, p. 326
  25. Paul Walden Bamford, 'The Knights of Malta and the King of France 1665–1700', French Historical Studies, 3, 1964; p. 432
  26. Paul Walden Bamford, 'The Knights of Malta and the King of France 1665–1700', French Historical Studies, 3, 1964; p. 434
  27. D F Allen, 'Charles II, Louis XIV and the Order of Malta', The Historical Journal, 33(4), 1990, p. 324
  28. Paul Walden Bamford, 'The Knights of Malta and the King of France 1665–1700', French Historical Studies, 3, 1964; pp. 423–433
  29. Paul Lacroix, Military and Religious Life in the Middle Ages and the Renaissance, (New York: Frederick Ungar Publishing, 1964); p. 188
  30. D F Allen, 'Charles II, Louis XIV and the Order of Malta', The Historical Journal, 33(4), 1990, p. 338
  31. Desmond Seward, The Monks of War, (London: Penguin, 1972); p. 274
  32. Molly Greene, 'Beyond the Northern Invasion: The Mediterranean in the 17th Century', Past and Present, 2002 (174), p. 46
  33. John Sugden (৩ ফেব্রু ২০১৪)। Nelson: The Sword of Albion (illustrated সংস্করণ)। Random House। পৃষ্ঠা 122। আইএসবিএন 9781847922762 
  34. Nicholas C. Prata (১ এপ্রিল ২০০৪)। Angels in Iron (illustrated, reprint সংস্করণ)। Arx Publishing, LLC। পৃষ্ঠা 10–11। আইএসবিএন 9781889758565 
  35. Cassar, Mario। "L-Istorja tal-Ilsien Malti"। L-Akkademja tal-Malti। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  36. "History – Order of Malta in the UK"। Orderofmalta.org.uk। ২৪ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  37. Louis Jean Pierre Marie Bonnassieux, Les grandes compagnies de commerce: étude pour servir à l'histoire de la colonisation. Originally published Paris, 1892. Reprinted in 1969 by Ayer Publishing.
  38. Robinson, J.H., ed. (১৯০৬)। "The Decree Abolishing the Feudal System"। Readings in European History 2 vols.। Boston: Ginn। 2: 404–409। 
  39. Cole, Juan (2007). Napoleon's Egypt: Invading the Middle East. Palgrave Macmillan. pp. 8–9.
  40. Cole, Juan (2007). Napoleon's Egypt: Invading the Middle East. Palgrave Macmillan. p. 9.
  41. Cole, Juan (2007). Napoleon's Egypt: Invading the Middle East. Palgrave Macmillan. p. 10.
  42. Whitworth Porter, A History of the Knights of Malta (London: Longman, Brown, Green, 1858). p. 457.
  43. "Focus on Malta – History"। Focusmm.com। ২০১২-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  44. Stair Sainty, Guy (২০০০)। "From the loss of Malta to the modern era"ChivalricOrders.org। ৬ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  45. Crusader Hospital Unveiled in Jerusalem ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে, Discovery Channel, 5 August 2013
  46. "Sovereign Order of Malta – official site"। Orderofmalta.int। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১২ 
  47. World Orders of Knighthood and Merit edited by Guy Stair Sainty, Burke's, Aug 2006
  48. "Organisations granted Observer Status in the General Assembly" {}
  49. Bilateral relations. Retrieved 10 November 2016.
  50. Multilateral Relations. Retrieved 10 November 2016.
  51. "Sovereign Order of Malta – official site"। Orderofmalta.int। ২০ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-১২ 
  52. "St John International"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-১৭ 
  53. Desmond Seward, The Monks of War: The Military Orders (London 2000), 270–85.
  54. "St John Eye Hospital"। Stjohneyehospital.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 
  55. "Self-Styled "Orders of Saint John" II"। Chivalricorders.org। ১৯ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-১২ 

This article incorporates text from Knights of Malta ১৫২৩–১৭৯৮ by Reuben Cohen, a publication now in the public domain.

আরো পঠনীয়

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]