নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ | |
---|---|
কুয়েতের আমির | |
রাজত্ব | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ – ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |
পূর্বসূরি | সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ |
উত্তরসূরি | মিশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ |
প্রধানমন্ত্রী | সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ |
জন্ম | কুয়েত সিটি, কুয়েত | ২৫ জুন ১৯৩৭
মৃত্যু | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | (বয়স ৮৬)
দাম্পত্য সঙ্গী | শরিফা সুলাইমান আল-জাসেম |
বংশধর | আহমাদ ফয়সাল আব্দুল্লাহ সালেম শায়খা |
আরবি | نواف الأحمد الجابر الصباح |
রাজবংশ | হাউজ অব সাবাহ |
পিতা | আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ |
মাতা | ইয়ামামা |
নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ (আরবি: نواف الأحمد الجابر الصباح Nawāf al-ʾAḥmad al-Jābir aṣ-Ṣabāḥ; জন্ম ২৫ জুন ১৯৩৭ - ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩) ছিলেন কুয়েতের আমির ও কুয়েত সামরিক বাহিনীর সেনাধিপতি। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তার অর্ধ-ভ্রাতা সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আসীন হন। নাওয়াফ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মনোনীত হন।
শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ ১৯৩৭ সালের ২৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি কুয়েতের দশম শাসক শেখ আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর পুত্র।[২] তিনি কুয়েতের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেন।[৩]
শেখ নাওয়াফ সাবাহ হাউসের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্যদের একজন এবং ৫৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছর বয়সে তিনি হাওয়ালির গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯ মার্চ ১৯৭৮ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৪] ১৯৭৮ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬] উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের স্বাধীনতার পর শেখ নাওয়াফ ১৯৯১ সালের ২০ এপ্রিল শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯২ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৬][৬][৭]
১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর শেখ নাওয়াফ কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।[৬][৮][৯][১০] একই বছর শেখ নাওয়াফ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করেন যতক্ষণ না ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর আমিরি ডিক্রি জারি করা হয়। তখন তাকে কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[৫][৬][১১] উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোর আরব রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কাউন্সিলের মধ্যে জাতীয় ঐক্যকে সমর্থন কারী কর্মসূচীকে সমর্থন করতে শেখ নাওয়াফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[১২]
২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়েতের নেতৃত্বে শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর উত্থানের সাথে সাথে ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ নাওয়াফকে যুবরাজ হিসেবে মনোনীত করে একটি আমিরি ডিক্রি জারি করা হয়। এটি ছিল আল-সাবাহ পরিবারের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে আমীর ও যুবরাজের কার্যালয় আল-জাবের এবং আল-সালেম শাখার মধ্যে বিকল্প হওয়ার কথা।[১৩][১৪]
শেখ সাবাহ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মারা যান এবং জাতীয় সংসদের এক সভায় নাওয়াফকে কুয়েতের আমীর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১৫][১৬][১৭]
শেখ নাওয়াফ সুলাইমান আল-জাসেম আল-ঘানিমের কন্যা শরিফা সুলাইমান আল-জাসেম আল-ঘানিমকে বিয়ে করেন। তাদের চার ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।[৩][১৮]
২৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে, নাওয়াফকে একটি জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[১৯] তিনি ১৬ ডিসেম্বর মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।[২০]
উইকিমিডিয়া কমন্সে নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।