নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র | |
---|---|
দেশ | আজারবাইজান |
প্রতিষ্ঠা | ১৭ নভেম্বর,১৯৯০ |
রাজধানী | নাখচিভান |
সরকার | |
• পার্লামেন্ট চেয়ারম্যান | ভাসিফ তালিবভ |
আয়তন | |
• মোট | ৫,৫০০ বর্গকিমি (২,১০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৪,৫৬,১০০ |
• জনঘনত্ব | ৮২/বর্গকিমি (২১০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | UTC +4 |
মানব উন্নয়ন সূচক | ০.৭৭২ (উচ্চ) |
কলিং কোড | + ৯৯৪ ৩৬ |
নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র আজারবাইজানের একটি স্বশাসিত ছিটমহল।[১] এর আয়তন ৫৫০০বর্গ কিলোমিটার।
ষোড়শ শতকের দিকে নাকচিভান ইরানের সাফাভিদ সামাজ্যভুক্ত ছিল। ১৮২৮ সালের সর্বশেষ রুশ-পারস্য যুদ্ধের পর এবং তুর্কমেনচে চুক্তির ফলে অঞ্চলটি ইরানীদের থেকে রুশ সামাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের পর নাকচিভান এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলো রাশিয়ার শর্তাধীন সরকারের স্পেশাল ট্রান্সককেশীয়ান কমিটির অধীন হয় এবং খুব দ্রুত তা ট্রান্সককেশীয়ান ডেমোক্রেটিক ফেডারেল্টিভ রিপাবলিক হয়।
১৯১৮ সালে যখন ট্রান্সককেশীয়ান ডেমোক্রেটিক ফেডারেল্টিভ রিপাবলিক বিলুপ্ত হয় তখন নাকচিভান,নাগর্নো-কারাবাখ,জানজেজুর(বর্তমানে আর্মেনিয়ার সুবানিক প্রদেশ) এবং কাযাখ তীব্রভাবে প্রতিযোগিতা শুরু করে নতুন গঠিত এবং স্বল্পস্থায়ী রাষ্ট্র প্রথম আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্র এবং আজারবাইজান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের সাথে।
নাখচিভান একটি অর্ধ মরূভূমি অঞ্চল। অঞ্চলটি আজারবাইজানে মূল অংশ থেকে আর্মেনিয়ার দ্বারা বিচ্ছিন হয়েছে।
জানগেজুর পর্বত দ্বারা নাখচিভানের সাথে আর্মেনিয়ার সীমান্ত এবং আরাস নদী দ্বারা ইরানের সাথে সীমান্ত হয়েছে। নাখচিভান অঞ্চলটি খুবই শুষ্ক এবং পাহাড়ি।
নাখচিভান অঞ্চলের উত্তর ও পূর্ব দিকে আর্মেনিয়া,দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিকে ইরান,উত্তর পশ্চিম দিকে তুরস্কের সীমান্ত রয়েছে।
আর্মেনিয়ার সাথে প্রায় ২২১ কিলোমিটার সীমান্ত,ইরানের সাথে দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিকে ১৭৯ কিলোমিটার এবং তুরস্কের সাথে ৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ৮টি বিভাগ রয়েছে।
অঞ্চলটির রাজধানী নাখচিভান এবং এর সাথে আরো ৭টি বিভাগ নিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো।
১ জানুয়ারি ২০১৮ অনুযায়ী নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের জনসংখ্যা প্রায় ৪৫২,৮৩১ জন।
জনসংখ্যার বেশীরভাগই আজারবাইজানি, প্রায় শতকরা ৯৯জন।