নাগানো 長野市 | |
---|---|
কেন্দ্রীয় শহর | |
নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চলে নাগানোর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৬°৩৮′৫৫″ উত্তর ১৩৮°১১′৪১″ পূর্ব / ৩৬.৬৪৮৬১° উত্তর ১৩৮.১৯৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুবু (Kōshin'etsu) |
প্রশাসনিক অঞ্চল | নাগানো |
সরকার | |
• নগরপ্রধান | কেনজি ওগিওয়ারা[১] |
আয়তন | |
• মোট | ৮৩৪.৮১ বর্গকিমি (৩২২.৩২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (১লা জুলাই, ২০২৩) | |
• মোট | ৩,৬৫,২৯৬ |
• জনঘনত্ব | ৪৪০/বর্গকিমি (১,১০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | জাপান মান সময় (ইউটিসি+9) |
দূরালাপনী (টেলিফোন) নম্বর | ০২৬-২২৬-৪৯১১ |
ঠিকানা | ১৬১৩ মিদোরি-চৌ, নাগানো-শি, নাগানো-কেন ৩৮০-৮৫১২ |
জলবায়ু | Cfa/Dfa |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
প্রতীকসমূহের | |
ফুল | আপেল |
বৃক্ষ | জাপানি পাতিলেবু (Tilia japonica) |
নাগানো (長野市 (Nagano-shi, জাপানি উচ্চারণ: [naganoꜜ ɕi])[২]) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র জাপানের হোনশু দ্বীপের মধ্যভাগের চুবু অঞ্চলের কেন্দ্রে নাগানো অববাহিকা (জেনকোজি দাইরা) অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর ও নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চলের কেন্দ্র। নাগানোকে জাপানের কেন্দ্রীয় শহরগুলির একটি হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এটি জাপানের আঞ্চলিক রাজধানীগুলির মধ্যে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত; সমুদ্র সমতল থেকে এর উচ্চতা ৩৭১.৪ মিটার (১,২১৯ ফু)।[৩] শহরটি চতুর্দিকে পর্বত দ্বারা বেষ্টিত, যাদের মধ্যে সর্বোচ্চটির নাম তাকাতসুমা পর্বত (২,৩৫৩ মিটার)। শহরের কাছেই জাপানের দীর্ঘতম ও প্রশস্ততম নদী চিকুমা নদী ও সাই নদীর সঙ্গমস্থলটি অবস্থিত। ১ জুলাই ২০২৩ -এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] শহরের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ৩,৬৫,২৯৬ (১,৬০,৬২৫টি পরিবার) এবং জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৩৮ জন।[৪] শহরের মোট আয়তন ৮৩৪.৮১ বর্গকিলোমিটার (৩২২.৩২ মা২)।
১২শ ও ১৩শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে জেনকোজি নামে এখানে যে শহরটির পত্তন করা হয়, সেটিই বর্তমানে নাগানো শহরের পূর্বসূরী। শহরটি ৭ম শতকে প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় বৌদ্ধ জেনকো মন্দিরটির জন্য বিখ্যাত, যেখানে জাপানের সবচেয়ে পুরাতন বুদ্ধমূর্তিটি অবস্থিত; ব্রোঞ্জের এই মূর্তিটি সম্ভবত খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকে কোরিয়াতে নির্মাণ করা হয়েছিল ও জাপানকে উপহারস্বরূপ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে নাগানো হোক্কোকু সড়কের উপরে অবস্থিত একটি বাজার শহর ও ডাককেন্দ্রে পরিণত হয়। বর্তমানে নাগানোতে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, রেশমী বস্ত্র, মুদ্রণ ও প্রকাশনা এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্প বিদ্যমান। নাগোনো শহরে ১৯৪৯ সালে স্থাপিত শিনশু বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত, যা শহরের সংস্কৃতি ও শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৯৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটি নাগানো শহরে আয়োজন করা হয়। শহরের চারপাশের অঞ্চলে আপেল ও চীনা মিষ্টি আলুর (ইয়্যাম) চাষ হয়।