নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চল 長野県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 長野県 |
• রোমাজি | Nagano-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউবু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | নাগানো |
সরকার | |
• গভর্নর | Shuichi Abe |
আয়তন | |
• মোট | ১৩,৫৮৫.২২ বর্গকিমি (৫,২৪৫.২৮ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪র্থ |
জনসংখ্যা (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০১১) | |
• মোট | ২১,৪৮,৪২৫ |
• ক্রম | ১৬শ |
• জনঘনত্ব | ১৫৮.১৪/বর্গকিমি (৪০৯.৬/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-20 |
জেলা | ১৪ |
পৌরসভা | ৭৭ |
ফুল | জেন্শিয়ান (জেন্শিয়ানা স্ক্যাব্রা বি. বার্গারি) |
গাছ | সাদা বার্চ (বেটুলা প্ল্যাটিফাইলা বি. জাপোনিকা) |
পাখি | রক টার্মিগান (ল্যাগোপাস মিউটা) |
ওয়েবসাইট | www |
নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চল (長野県? নাগানো কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী নাগানো নগর।[২]
ঐতিহাসিকভাবে নাগানো অঞ্চল শিনানো প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[৩] সেন্গোকু যুগে শিনানো প্রদেশকে একাধিক বার বিভিন্ন সামন্ত প্রভু ও দুর্গনগর রক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এই দুর্গনগরগুলির মধ্যে ছিল কোমোরো, ইনা ও উয়েদা। তাকেদা শিংগেন ও উয়েসুগি কেন্শিনের দ্বন্দ্বে শিনানো প্রদেশ তাকেদার অন্যতম শক্ত ঘাঁটি ছিল।
১৮৭১ এ মেইজি পুনর্গঠনের সময় হান্ ব্যবস্থার লোপ এবং প্রশাসনিক অঞ্চল ব্যবস্থার প্রবর্তনের সময় শিনানো প্রদেশকে নাগানো ও চিকুমা প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। ১৮৭৬ এ আবার এই দুই অঞ্চলকে একত্র করে নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে শাসন করা হতে থাকে।
নাগানো একটি স্থলবেষ্টিত প্রশাসনিক অঞ্চল এবং গোটা জাপানে সমুদ্র থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চলটি এখানে অবস্থিত। এই বিন্দুটি সাকু নগরের মধ্যে পড়ে। পর্বতময় ভূপ্রকৃতি অঞ্চলটিকে অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, এবং এখানে আগত মানুষের অনেকেই ছুটি কাটাতে নাগানোর বিভিন হ্রদে অবস্থিত রিসর্টে আসেন। এই হ্রদগুলির মধ্যে কিযাকি হ্রদ উল্লেখ্য।
২০১২ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী নাগানোর ২১ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে চিচিবু তামা কাই, চুউবু-সাংগাকু, জোওশিন্এৎসু কোওগেন ও মিনামি আল্পস জাতীয় উদ্যান, মিয়োগি-আরাফুনে-সাকু কোওগেন, তেন্রিউ-ওকুমিকাওয়া ও ইয়াৎসুগাতাকে-চুউশিন কোওগেন উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৪]
পাহাড় পর্বত ও পার্বত্য হ্রদ অধ্যুষিত নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভিন্ন মনোরম প্রাকৃতিক স্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম গিজার বা প্রাকৃতিক উষ্ণ ফোয়ারা সুওয়ায় অবস্থিত। কিরিগামিনে পর্বত একটি তুষারাবৃত সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। এছাড়া অঞ্চলটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও এক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। সুওয়া তাইশা জাপানের প্রাচীনতম তীর্থস্থানগুলি অন্যতম।[৫] মাৎসুমোতো দুর্গ জাপানের অন্যতম জাতীয় সম্পদ।
নাগানো নগরে রয়েছে জাপানের বৃহত্তম স্কি রিসর্ট শিগা কোগেন। এর কাছেই আছে জিগোকুদানি বানর উদ্যান, যেখানকার উষ্ণ প্রস্রবণে বিখ্যাত জাপানি ম্যাকাক জাতীয় বানরদের প্রায়ই স্নানরত দেখা যায়।
নাগানো নগরে ১৯৯৮ খ্রিঃ শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল জাপানে অনুষ্ঠিত তৃতীয় অলিম্পিক ও দ্বিতীয় শীতকালীন অলিম্পিক। ২০১০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকগুলির মধ্যে নাগানোর অবস্থান সবচেয়ে দক্ষিণে। প্রতি বছর এই ক্রীড়ার স্মৃতি জীবিত রাখতে নাগানো অলিম্পিক স্মৃতি ম্যারাথন আয়োজিত হয়।