সরকারের আসন | কোহিমা |
---|---|
কার্যনির্বাহী | |
রাজ্যপাল | আর এন রাভি |
মুখ্যমন্ত্রী | নেফিউ রিও |
উপ-মুখ্যমন্ত্রী | ওয়াই. প্যাটন |
আইনসভা | |
বিধানসভা | |
স্পিকার | ভিখো-ও যোশু |
ডেপুটি স্পিকার | শারিংইন লংকুমার |
বিধানসভার সদস্য | ৬০ |
বিচার বিভাগ | |
উচ্চ আদালত | কোহিমা বেঞ্চ, গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালয় |
প্রধান বিচারপতি | বিচারপতি অজয় লাম্বা |
নাগাল্যান্ড সরকার হচ্ছে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্য তথা এর অন্তর্ভুক্ত ১১টি জেলার সর্বোচ্চ শাসনতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষ। এটি নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকার কিংবা স্থানীয়ভাবে রাজ্য সরকার হিসাবেও পরিচিত। নাগাল্যান্ড সরকার একজন রাজ্যপালের নেতৃত্বে নির্বাহী বিভাগ, একটি বিচার বিভাগ এবং নাগাল্যান্ড বিধানসভা নামে একটি আইনসভা নিয়ে গঠিত। কোহিমা হচ্ছে নাগাল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী এবং এখানে রাজ্যের বিধানসভা (আইনসভা) এবং সচিবালয় অবস্থিত।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো নাগাল্যান্ড রাজ্যের প্রধান হলেন রাজ্যপাল (গভর্নর)। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। মুখ্যমন্ত্রী হলেন সরকারের নির্বাহী প্রধান এবং তার উপরেই সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার বেশিরভাগই ন্যস্ত থাকে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নিয়োগকৃত মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নাগাল্যান্ডের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকার ২০১৬ সালকে 'নির্মাণ শ্রমিকদের বর্ষ' হিসাবে ঘোষণা করেছে।[১]
নাগাল্যান্ডের বর্তমান বিধানসভাটি এককক্ষবিশিষ্ট। নাগাল্যান্ড বিধানসভা মোট ৬০জন বিধায়কের (সদস্য বা এম.এল.এ) সমন্বয়ে গঠিত। কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিধানসভা ভেঙ্গে না গেলে এর মেয়াদ ৫ বছর।[২]
নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমাতে "কোহিমা বেঞ্চ" নামে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে অবস্থিত গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালযয়ের (উচ্চ আদালত বা হাইকোর্ট) একটি স্থায়ী বেঞ্চ রয়েছে। যা নাগাল্যান্ড রাজ্যে উদ্ভূত মামলাগুলির ক্ষেত্রে এখতিয়ার এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।[১]
নাগাল্যান্ডের এগারোটি জেলার প্রত্যেকটির একজন জেলা প্রশাসকের অধীনে জেলা প্রশাসন রয়েছে। জেলাগুলো আবার কয়েকটি মহকুমায় বিভক্ত হতে পারে। প্রতিটি মহকুমা প্রশাসনের দায়িত্বে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রয়েছে। বৃহত্তর মহকুমারগুলোর জন্য মহকুমা প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ বেশ কয়েকজন মহকুমা অফিসার তথা উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা বা অতিরিক্ত সহকারী কমিশনার প্রয়োজন হতে পারে।[৩]