নাগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর Bandar Udara Internasional Ngurah Rai | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||
পরিচালক | পিটি অ্যাংকাসা পুর 1 | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | ডানপাসার | ||||||||||
অবস্থান | বাডুং রিজেন্সি, বালি, ইন্দোনেশিয়া | ||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||
মনোনিবেশ শহর | |||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১৪ ফুট / ৪ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ০৮°৪৪′৫৩″ দক্ষিণ ১১৫°১০′০৩″ পূর্ব / ৮.৭৪৮০৬° দক্ষিণ ১১৫.১৬৭৫০° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | http://www.bali-airport.com/ | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৮) | |||||||||||
ইন্দোনেশিয়া সরকার | |||||||||||
| |||||||||||
নাগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ইন্দোনেশীয়: Bandar Udara Internasional Ngurah Rai) (আইএটিএ: ডিপিএস, আইসিএও: ডাব্লুএডিডি), আনুষ্ঠানিকভাবে আই গুস্তি এনগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত, যা ডানপাসার থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে বালির মূল বিমানবন্দর। নাগুরাহ রাই বিমানবন্দর সুকর্ণ–হাট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ২০১৮ সালে, বিমানবন্দরটি ২,৩৭,৭৯,১৭৮ জন যাত্রী পরিবহন করে[১] বিমানবন্দরটির IX বিভাগ রয়েছে এবং এই এই বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৪৭-৮ এবং এয়ারবাস এ৩৮০ সহ প্রশস্ত দেহের বিমানগুলি উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে সক্ষম।[২]
এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল পরিষেবার উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালে নাগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ্বের তৃতীয় সেরা বিমানবন্দর হিসাবে (প্রতি বছর ১৫-২৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনকারী বিমানবন্দরের বিভাগে) ভূষিত করে।[৩]
বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছিল গুস্তি নাগুরাহ রাই নামে একজন বালির স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে, যিনি ১৯৪৬ সালের ২০ নভেম্বর তাবাননের মার্গায় ডাচদের বিরুদ্ধে লড়াই করে (মৃত্যুর সাথে লড়াই করে) মারা গিয়েছিলেন, যেখানে ডাচরা বিমান সংস্থার সাহায্যে তার সংস্থাকে পরাজিত করে এবং নাগুরাহ রাই ও অন্য ৯৫ জনকে হত্যা করে ১৯৪৬ সালে ইন্দোনেশীয় বিপ্লবের সময়।[৪]
বিমানবন্দরটি কুটা এবং জিম্বারানের মধ্যবর্তী তুবানে অবস্থিত এবং দক্ষিণ বালির পর্যটন স্থানগুলির নিকটবর্তী; কুটার রিসর্ট কেন্দ্রটি বিমানবন্দর থেকে ২.৫ কিমি উত্তরে। বালির রাজধানী, ডেনপাসার বিমানবন্দরের নিকটেই অবস্থিত।
বছরে প্রায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ যাত্রী বৃদ্ধির সাথে সাথে, ২০১৭ সালে বিমানবন্দরটি বছরে ২০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে, যা বর্তমান বিমানবন্দরের সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা। বিমানবন্দর সংলগ্ন ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল বা জমি পুনঃনির্মাণ সংক্রান্ত পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে বিদ্যমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। দুটি রানওয়ে বিশিষ্ট নতুন, বৃহত্তর বিমানবন্দরটির জন্য একটি স্থান বালির প্রদেশের উত্তর ভাগে বুলিলেঞ্জ রিজেন্সির পূর্ব অংশে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক টার্মিনালটি বালির স্থাপ্তশৈলীতে নির্মিত এবং এতে পৃথক প্রস্থান এবং আগমন কক্ষ রয়েছে। প্রস্থান অঞ্চলগুলিতে ৬২ টি চেক-ইন কাউন্টার রয়েছে, যা বৈদ্যুতিন স্কেল এবং লাগেজ কনভেয়র দিয়ে সজ্জিত। আন্তর্জাতিক গেটের দশটিতে জেট ব্রিজ এবং স্বয়ংক্রিয় বিমান পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রস্থানের লাউঞ্জ অঞ্চলের মোট ধারণক্ষমতা রয়েছে ৩,১৭৫ যাত্রী।[৫]
১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সাল থেকে পরিচালিত, নতুন অন্তর্দেশীয় টার্মিনালের আয়তন ৬৫,৮০০ বর্গমিটার, যা পুরানোটির চেয়ে চারগুণ বড়। এটি বছরে ৯.৪ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করতে পারে। এই টার্মিনালটি ৬২ টি চেক-ইন কাউন্টার, চারটি ট্রানজিট এবং ট্রান্সফার কাউন্টার, ১৯ টি টিকিট কাউন্টার, আটটি বোর্ডিং গেট এবং সাতটি আগমন গেট রয়েছে, যা পাঁচটি এভিওব্রিডস এবং ৫ ইউনিটের পরিবাহক বেল্ট সরবরাহ করে।[৬]
বিমানবন্দরটি এয়ারব্রিজ ব্যবহার করে না এমন স্বল্প মূল্যের উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থার বিমানে যাত্রীদের বহন করার জন্য বাসের বহর পরিচালনা করে। দেশীয় ভ্রমণকারীরা এবং কিছু আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের প্রায়শই এই বাসগুলি ব্যবহার করে অন্তদেশী টার্মিনাল এবং আন্তর্জাতিক টার্মিনালের পূর্বে পণ্য টার্মিনালের মাঝের অ্যাপ্রোনতে পার্ক করা বিমানগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
টার্মিনালে এছাড়াও প্রার্থনা কক্ষ, ধূমপান অঞ্চল, ঝরনা এবং ম্যাসেজ পরিষেবা রয়েছে। বিভিন্ন লাউঞ্জ অঞ্চল সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে কিছু লাউঞ্জ অঞ্চলে রয়েছে শিশুদের খেলার অঞ্চল এবং সিনেমা হল, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, সংবাদ, বিভিন্নতা, বিনোদন ও ক্রীড়া চ্যানেলগুলি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
যেহেতু প্রতি মাসে প্রায় ৫০০ টি বেসরকারী বিমান বিমানবন্দরে অবতরণ করে, সেই জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ প্রস্থান গেট'সহ বিমানবন্দর দক্ষিণে একটি অ্যাপ্রোন তৈরি করেছে, যা ১৪ টি সংকীর্ণ/ছোট আকারের বিমানের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছে।[৭]
বছর | তারিখ | ঘটনা | হতাহত |
---|---|---|---|
১৯৭৪ | ২২ এপ্রিল | চূড়ান্ত পথের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্যান অ্যাম ফ্লাইট ৮১২, বোয়িং ৭০৭ বিমান একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। | ১০৭ জন যাত্রী ও কর্মী নিহত হয়।[৮] |
১৯৭৮ | ৫ অক্টোবর | মেরপাতি নুসন্তারা এয়ারলাইন্সের ডগলাস সি-৪৭ এ পিকে-এনডিআই বিমান বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আগুন লেগে যায় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।[৯] | |
২০১৩ | ১৩ এপ্রিল | লায়ন এয়ারের উড়ান ৯০৪ ১০০ জন যাত্রী ও ১০ জন কর্মী সদস্য নিয়ে অবতরণ করে এবং রানওয়ে অতিক্রম করে খোলা সমুদ্রে ডুবে যায়। বিমানটি পশ্চিম জাভার বান্দুং থেকে আগত।[১০][১১] | ১০১ জন যাত্রী এবং ৭ জন কর্মী জীবিত ছিল। আহত হয় ২২ জন। |
সূত্র: ইন্দোনেশিয়ার ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা |
নিম্নলিখিত সারণি মোট যাত্রী সংখ্যা দেখায়।
বছর | যাত্রী |
---|---|
২০০৮ | ৮,৪৭০,৫৬৬ |
২০০৯ | ৯,৬২১,৭১৪ |
২০১০ | ১১,১২০,১৭১ |
২০১১ | ২১,৭৭১,৮৭৪ |
২০১২ | ১৪,১৮৮,৬৯৪ |
২০১৩ | ১৫,৬৩০,৮৩৯ |
২০১৪ | ১৭,২৭১,৪১৫ |
২০১৫ | ১৭,১০৮,৩৮৭ |
২০১৬ | ১৯,৯৮৬,৪১৫ |
২০১৭ | ২১,০৫২,৫৯২ |
২০১৮ | ২৩,৭৭৯,১৭৮ |
উইকিমিডিয়া কমন্সে নাগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।