নাজিয়া হাসান Nazia Hassan | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | নাজিয়া হাসান |
জন্ম | [১] করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | ৩ এপ্রিল ১৯৬৫
উদ্ভব | পাকিস্তান |
মৃত্যু | ১৩ আগস্ট ২০০০[১] লন্ডন, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৩৫)
ধরন | পপ, পাকিস্তানি পপ |
পেশা | গায়িকা-গীতিকার, আইনজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজকর্মী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
কার্যকাল | ১৯৮০–১৯৯২ |
লেবেল | ইএমআই রেকর্ডস |
মাতৃশিক্ষায়তন | করাচী গ্রামার স্কুল রিচমন্ড আমেরিকান ইউনিভার্সিটি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় |
নাজিয়া হাসান (উর্দু: نازیہ حسن; এপ্রিল ১৯৬৫ – ১৩ আগস্ট ২০০০)[১] ছিলেন একজন পাকিস্তানি পপ শিল্পী, আইনজীবী এবং সমাজকর্মী। তার সফল সঙ্গীত জীবনের মাধ্যমে নাজিয়া উপমহাদেশের কিংবদন্তি একজন শিল্পী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের একজন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন এবং প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন। নাজিয়া মাত্র ১৫ বছর বয়সে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করে সর্বকনিষ্ঠ বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রাইড অফ পারফরম্যান্স বিজয়ী।
নাজিয়া পাকিস্তানের একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং করাচি ও লন্ডনে প্রতিপালিত হন। তিনি বসির হাসান (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী) এর কন্যা এবং মাতা মুনিরা বশির (একজন সমাজকর্মী) এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি জহেব হাসান এবং জারা হাসান এর বোন হিসেবে বিশেষভাবে সুপরিচিত।[২]
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি ও তার ভাই জোহেব হাসান ডিস্কো দিওয়ানে নামক পপ অ্যালবাম প্রকাশ করে আলোড়ন ফেলে দেন। এটি ছিল সে সময়ের এশিয়ার বেস্ট সেলিং পপ অ্যালবাম।
যৌবনেই তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় মির্জা ইশতিয়াক বেগ এর সাথে। বিয়ের ২ বছরের মাথায় তার পুত্র সন্তান হয়, নাম রাখা হয় আরেজ হাসান। নাজিয়ার মৃত্যুর ১০ দিন আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।