নাজির আব্বাসি | |
---|---|
জন্ম | তান্ডো আল্লায়ার, সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | ১০ এপ্রিল ১৯৫৩
মৃত্যু | আগস্ট ৯, ১৯৮০নির্যাতিত) | (বয়স ২৮) (
সমাধি | করাচি |
নাজির আব্বাসি (সিন্ধি:نذير عباسى, উর্দু:نذیر عباسی) (জন্ম ১০ই এপ্রিল ১৯৫৩ - মৃত্যু ৯ই আগস্ট, ১৯৮০) পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন।[১] মুহাম্মদ জিয়া-উল-হকের সরকার থাকাকালীন, ১৯৮০ সালের ৯ই আগস্ট তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।[২][৩] সে সময় তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-এর (এফআইইউ) হেফাজতে ছিলেন। তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রাক্তন আইএসআই এর অপারেটিভ ব্রিগেডিয়ার ইমতিয়াজ আহমেদ বিল্লা আব্বাসিকে নিজের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতন করে হত্যা করেছেন, এবং বিল্লা একটি টিভি সাক্ষাৎকারে এটি স্বীকারও করেছিলেন।[৪][৫]
আব্বাসি ১৯৫৩ সালের ১০ই এপ্রিল, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের, তান্ডো আল্লায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে জান মুহাম্মদ আব্বাসি এবং কমর-উল-নিসা। ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি তান্ডো আল্লায়ারের মিউনিসিপ্যাল কমিটিতে কাজ শুরু করেন এবং মিউনিসিপ্যাল শ্রমিকদের একটি ইউনিয়ন সংগঠিত করেন।[৬] তিনি এরপর সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যান। সেখানে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তিনি হামিদা ঘাংরোকে বিবাহ করেন এবং তাঁদের একটি কন্যা হয়েছিল যার নাম জারকা আব্বাসি।[৭]
ছাত্রজীবনেই আব্বাসি রাজনীতি শুরু করেছিলেন।[৭] তিনি ১৯৬৯ সালে আজাদ মারোরা স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সদস্য হিসাবে প্রথম গ্রেপ্তার হন। এই সংগঠন সিন্ধি ভাষায় নির্বাচনী ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি করছিল। কারাগারে কমিউনিস্ট এবং জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের নেতাদের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। জেলে তিনি সিন্ধু ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সহ রাজনৈতিক বন্দীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এই সংগঠনে তিনি যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে এর নেতা হন। ১৯৭৮ সালের মে মাসে, মুহাম্মদ জিয়া-উল-হকের একনায়কত্বের সময় গোপন মাসিক পত্রিকা হালচাল প্রকাশের অভিযোগে সামরিক বাহিনী আব্বাসিকে আবার গ্রেপ্তার করে এবং তাঁকে কোয়েটার কুখ্যাত কুলি ক্যাম্প কারাগারে পাঠানো হয়।।[২][৭] সেই সময়কালে সিন্ধ ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন এবং সিন্ধ হরি কমিটির অনেক সদস্যকে সিন্ধু প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালের ৩০শে জুলাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার বিল্লার এফআইইউ ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তাঁকে করাচি থেকে আবার গ্রেপ্তার করে। তাঁর সঙ্গেই আরও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অধ্যাপক জামাল নকভি, অমরলাল, কামাল ওয়ার্সি এবং শাব্বির শর। এর পরে সোহেল সাঙ্গী, বদর আব্রো এবং আরো অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[৭] আব্বাসিকে ১৯৮০ সালের ৩০শে জুলাই তারিখে দলের অন্যান্য কর্মীদের সাথে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিহত হন এবং দলের বাকিদের একটি সামরিক আদালতে বিচার করা হয় যেটি জাম সাকি মামলা নামে পরিচিত হয়।
১৯৮০ সালের ৯ই আগস্ট নাজির আব্বাসিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল।