নাদিয়া শারমিন | |
---|---|
নাদিয়া শারমিন একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক যিনি সাহসিকতার জন্য ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘সাহসী আন্তর্জাতিক নারী’ (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড-আইডব্লিউওসি) অর্জন করেন।[১][২]
ছাত্রজীবনের স্বপ্নকে পূরণ করতে নাদিয়া ২০০০ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তরে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফিচার লেখা শুরু করেন। তবে ২০০৯ সালে একুশে টেলিভিশন থেকে প্রথম ফুলটাইম সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেখানে তিনি অপরাধ সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।[১]
২০১৩ সালে একুশে টেলিভিশনে কাজ করার সময়ে শারমিন ইসলাম পন্থীদের একটি র্যালী কভার করার সময়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কিছু কর্মীদের আক্রমণের শিকার হন। উন্মুক্ত স্থানে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ, নাস্তিকদের শাস্তি, নারীদের হিজাব পরিধান সহ আরো কিছু ধর্মীয় দাবীর প্রেক্ষিতে মিছিলের আয়োজন করা হয়।[৩]
৫০/৬০ জনের একটি দল শারমিনকে পানির বোতল এবং ইটের টুকরো নিয়ে ধাওয়া করে। সে পড়ে গেলো আক্রমণকারীরা তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। অন্যান্য পুরুষ রিপোর্টার এবং ক্যামেরাম্যান তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে আক্রমনকারীদের আক্রমনের শিকার হয়। শারমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ১১ এপ্রিল পুলিশ বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করে। কিন্তু কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এবং পিস ফর বাংলাদেশ শারমিনের পক্ষে আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালত মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দেশে কিংবা দেশের বাইরে শারমিনের মেডিকেল খরচ বহনের জন্য সরকারকে আদেশ দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। নাদিয়ার চিকিৎসার খরচ বহন বা বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা নিশ্চিত -কোনটিই করেনি সরকার।
সেরে ওঠার পরে শারমিন অন্য একটি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে অপরাধ বিটেই কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি একাত্তর টিভিতে কাজ করছেন।