নাবিলা মুনিব | |
---|---|
ইউনিফাইড সোস্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৬ই জানুয়ারি ২০১২[১] | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ মুজাহিদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৪ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬০[২] কাসাব্লাংকা, মরক্কো |
জাতীয়তা | মরক্কোন |
রাজনৈতিক দল | ইউনিফাইড সোস্যালিস্ট পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইউসেফ হাজ্বি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মোহাম্মদ ভি বিশ্ববিদ্যালয়, মন্টপিলিয়ার ২ বিশ্ববিদ্যালয় |
নাবিলা মুনিব, (জন্ম ১৯৬০ কাসাব্ল্যাংকায়), হচ্ছেন একজন মরক্কোর রাজনীতিবিদ যিনি বর্তমানে ইউনিফাইড সোস্যালিস্ট পার্টি এর (পিএসইউ) সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব করেন। তিনি মরক্কোর কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত প্রথম নারী।[৩]
মুনিব হচ্ছেন আহমেদ মুনিবের কন্যা, একজন কূটনীতিক যিনি ওরান-এ মরক্কোর দূত হিসেবে কাজ করেছিলেন, ১৯৭০ এর দশকে তিনি তার শৈশবের অংশ সেখানে অতিবাহিত করেছিলেন এবং ১৯৭৭ সালে আলজেরিয়ায় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করেছিলেন। তার মা, খাদিজা বেলমেক্কি ফেজ এর একটি ধনী পরিবার থেকে এসেছেন।[৩] পরে তিনি রাবাত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে মন্টপিলিয়ারে পড়াশোনা করেন যেখানে তিনি এন্ডোক্রিনলজি এর উপর পিএইচডি অর্জন করেন,[৪] পরে তিনি আইন চক কাসাব্লাংকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন, সেখানে তিনি তারপর থেকে জীববিজ্ঞান (এন্ডোক্রিনলজি) পড়াতেন।[৫]
১৯৮৫-এ, যখন তিনি ফ্রান্সে তার ডক্টরেট থিসিসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তিনি "ইয়োথ অফ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট"-এ সক্রিয় ছিলেন, তারপর "তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংস্থা"-এ (ওএলআইই) যোগদান করেন এবং "জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক অ্যাকশন" (ওএডিপি) সংগঠন যা অন্য বাম সংগঠন ইউনিফাইড সোস্যালিস্ট পার্টির সঙ্গে একত্রিত হয়ে যায়।[৬][৭]
২০০০ সালের প্রথম দিকে, মুনিব ইউনিফাইড সোস্যালিস্ট পার্টির সাথে এটির বিভিন্ন নামের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, কিন্তু ২০১১ সালের আরব বসন্তের বিক্ষোভের স্রোতের পর থেকে কেবলমাত্র প্রচার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। ১৬ই জানুয়ারি ২০১২-এ, তিনি তার দলের একমাত্র প্রার্থী হিসাবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রথম মরোক্কোন মহিলা নির্বাচিত হন।[৮]
২০১১ সালে মরোক্কোর সাংবিধানিক গণভোটের সময়, তিনি তার রাজনৈতিক আন্দোলন এবং গনতান্ত্রিক বাম জোটকে বয়কটের জন্য ডেকেছিলেন, তিনি বলেন, সংবিধান গণতান্ত্রিক ছিল না বলে এটি সর্বাধিক ক্ষমতা সর্বসাধারণের হাতে বজায় রাখে এবং ক্ষমতাগুলির বাস্তব বিচ্ছেদ নিশ্চিত করে না।
২০১২ সালের নভেম্বরে মরক্কোর ম্যাগাজিন টেলকূয়েল কর্তৃক প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেছিলেন যে তার স্বল্পমেয়াদী প্রকল্পটি একটি অগ্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মৈত্রীতন্ত্রে বাম দলের একীকরণ।[৯] আগস্ট ২০১৩-এ, ড্যানিয়েল গালবান স্ক্যান্ডাল প্রকাশ্যে আসার পর, তিনি খোলাখুলিভাবে রাজকীয় অনুগ্রহের সমালোচনা করা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম ছিলেন এবং বিবেচনা করে বলেন "পেডোফিল ড্যানিয়েল গালভানকে এটি (রাজকীয় অনুগ্রহ) প্রদানের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাহার করা উচিত"।[৩][১০] সাহরাউয়ি প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুইডিশ বিলের জের ধরে মরক্কো ও সুইডেনের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট চলাকালীন, সঙ্কট সমাধানের জন্য ২০১৫ সালের নভেম্বরে ৪ ও ৭ তারিখের মধ্যে বামপন্থী দলগুলোর সমন্বয়ে স্টকহোমের একটি মরক্কো প্রতিনিধিদলের সভাপতিত্ব করেন নাবিলা মুনিব।[১১] জানুয়ারি ২০১৬-এ সুইডিশ পাবলিক টেলিভিশন এসভিটি ঘোষণা করে যে সুইডিশ সরকার স্বাধীন সাহারাকে স্বীকৃতি দিতে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।[১২]