নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ نايف بن عبدالعزيز آل سعود | |
---|---|
![]() | |
সৌদি আরবের যুবরাজ প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী | |
দপ্তরকাল | ২৭ অক্টোবর ২০১১ - ১৬ জুন ২০১২ |
পূর্বসূরি | সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
উত্তরসূরি | সালমান বিন আবদুল আজিজ |
বাদশাহ | আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ |
দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী | |
দপ্তরকাল | ২৭ মার্চ ২০০৯ - ২৭ অক্টোবর ২০১১ |
পূর্বসূরি | সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
উত্তরসূরি | মুকরিন বিন আবদুল আজিজ |
বাদশাহ | আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | |
দপ্তরকাল | ১১ অক্টোবর ১৯৭৫ - ১৬ জুন ২০১২ |
পূর্বসূরি | ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ |
উত্তরসূরি | আহমেদ বিন আবদুল আজিজ |
বাদশাহ | |
জন্ম | ১৯৩৪ তাইফ, সৌদি আরব |
মৃত্যু | ১৬ জুন ২০১২ জেনেভা, সুইজারল্যান্ড | (বয়স ৭৭–৭৮)
সমাধি | ১৭ জুন ২০১২ |
রাজবংশ | আল সৌদ |
পিতা | আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ |
মাতা | হাসা বিনতে আহমেদ আল সুদাইরি |
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
নায়েফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (আরবি: نايف بن عبد العزيز آل سعود) (১৯৩৪ – ১৬ জুন ২০১২) ছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ এবং প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন।
নায়েফ ১৯৩৪ সালে তাইফে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি সুদাইরি ভ্রাতৃবৃন্দের অন্যতম সদস্য।[২] তিনি বাদশাহ আবদুল আজিজের ২৩তম পুত্র।[৩][৪][৫] তিনি বিদ্যালয় ও আলেমদের কাছে শিক্ষালাভের পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রীয় বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন।[৬]
১৯৫২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি রিয়াদ প্রদেশের উপগভর্নর ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি প্রদেশের গভর্নর হন।[৭] এক বছর তিনি এই পদে ছিলেন।[৮] এরপর তিনি মদিনা প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান।[৭] ১৯৭০ সালে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ তাকে উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দেন।[৯]
১৯৭৫ সালের মার্চে ফয়সালের হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাহাদ যুবরাজ এবং নায়েফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য নায়েফ নির্দেশ দেন। এতে গোয়েন্দা প্রধান তুর্কি বিন ফয়সাল তাকে সহায়তা করেছেন।[২]
২০০৩ সালে বিদেশি শ্রমিকদের দায়িত্বে থাকার সময় তিনি নির্দেশ জারি করেন যে বিদেশি শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সংখ্যা ২০১৩ সালে সৌদি জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারবে না।[১০] সিনেটর চার্লস স্কামার ২০০৩ সালে নায়েফকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের জন্য বন্দর বিন সুলতানের মাধ্যমে চেষ্টা চালান।[১১]
২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি আলকায়েদার বিরুদ্ধে সৌদিদের কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসময় বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সফলতার ফলে এসময় তার রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত হন।[১২]
২০০৯ সালের ২৭ মার্চ নায়েফ দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী হন।[১৩][১৪] ফলে সরকারের নীতিনির্ধারণে তার প্রভাব বৃদ্ধি পায়।[১২]
বাদশাহ আবদুল্লাহ ও যুবরাজ সুলতানের অবর্তমানে নায়েফ মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করতেন।[১২] ২০১০ সালের নভেম্বরে তিনি হজ সংক্রান্ত দায়িত্ব নেন।[১৫]
২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর বাদশাহ আবদুল্লাহ তৎকালীন যুবরাজ সুলতানের মৃত্যুর পর নায়েফকে সৌদি আরবের যুবরাজ মনোনীত করেন।[১৬][১৭] যুবরাজ থাকাকালে তিনি সুদাইরি ভ্রাতৃবৃন্দের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন।
নায়েফ ইন্তিফাদা বিষয়ে সৌদি কমিটির সুপারভাইজার জেনারেল ছিলেন। তিনি তথ্য বিষয়ক সর্বোচ্চ কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এই কমিটি দেশের গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট তদারক করে থাকে।[১৮] তিনি হজ বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটির প্রধান ছিলেন।[১৮]
নায়েফ তিনবার বিয়ে করেছেন। তার দশজন সন্তান রয়েছে।[১৯] তার ছেলে মুহাম্মদ বিন নায়েফ সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজ।
২০১২ সালের ১৬ জুন সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশুন চ্যানেলে নায়েফের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়।[২০][২১] তিনি জেনেভায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে রয়টার্স জানায়।[২২] জেনেভার একটি মেডিকেল সূত্রানুযায়ী তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে মারা যান।[২৩] জেদ্দা নিয়ে যাওয়ার পূর্বে তার লাশ জেনেভা মসজিদে রাখা হয়।[২৪]
১৭ জুন মসজিদুল হারামে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।[২৫] এরপর মক্কার আল আদল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[২৩][২৬] মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাসোয়া ওলান্দ, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ গুলসহ অন্যান্য নেতারা তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন।[২৭][২৮]
নায়েফ বিন আবদুল আজিজ একাধিক সম্মাননা লাভ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাইওয়ানের সামরিক অর্ডার অব দ্য ক্লাউড এন্ড ব্যানার (১৯৭৭), ফ্রান্সের লিজিওন অব অনার (১৯৭৭) প্রভৃতি।[২৯] এছাড়াও তিনি নিম্নোক্ত সম্মাননা পেয়েছেন।[২৯]
ফিলিস্তিনে অবদানের জন্য ২০১৩ সালের ২৮ জুন তাকে জাতিসংঘের তরফ থেকে মরণোত্তর পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৩০][৩১]
নায়েফ বিন আবদুল আজিজর পরিবার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
Saudi Arabian royalty | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
সৌদি আরবের যুবরাজ ২৭ অক্টোবর ২০১১ - ১৬ জুন ২০১২ |
উত্তরসূরী সালমান বিন আবদুল আজিজ |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী |
রিয়াদ প্রদেশের উপগভর্নর ১৯৫২–১৯৬৩ |
উত্তরসূরী |
পূর্বসূরী সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর ১৯৫৩-১৯৫৫ |
উত্তরসূরী সালমান বিন আবদুল আজিজ |
পূর্বসূরী ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭৫–২০১২ |
উত্তরসূরী আহমেদ বিন আবদুল আজিজ |
পূর্বসূরী সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী মার্চ ২০০৯ - ২৭ অক্টোবর ২০১১ |
উত্তরসূরী মুকরিন বিন আবদুল আজিজ |
পূর্বসূরী সুলতান বিন আবদুল আজিজ |
প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর ২০১১ - ১৬ জুন ২০১২ |
উত্তরসূরী সালমান বিন আবদুল আজিজ |