নারীদের রাজকীয় সেনা শাখা | |
---|---|
সক্রিয় | ১৯৪৯-১৯৯২ |
আনুগত্য | ব্রিটেন |
শাখা | ব্রিটিশ সেনাবাহিনী |
ভূমিকা | সাপোর্ট সার্ভিসেস |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | গিল্ডফোর্ড, সুরী |
নীতিবাক্য | আচরণে ভদ্র, কাজে শক্ত |
রং | নেই |
কুচকাত্তয়াজ | দ্রুত: ল্যাস অব রিচমন্ড হিল, আর্লি ওয়ান মর্নিং ধীর: গ্রীনস্লিভ্স |
বার্ষিকী | শাখা দিবস (১ ফেব্রুয়ারি) |
নারীদের রাজকীয় সেনা শাখা (ওমেন্স রয়্যাল আর্মি কোর বা সংক্ষেপে ডব্লিউআরএসি, যেটাকে র্যাক উচ্চারণ করা হয়) ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের নারী দ্বারা গঠিত একটি সেনা শাখা (ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর) ছিল, তবে নারী ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য সৈনিক (আলস্টার ডিফেন্স রেজিমেন্ট) এই শাখার সদস্য ছিলেন না। এই শাখার সদস্যদের কখনোই সম্মুখ সমরে নামানো হয়নি।
'সেনাবাহিনী আদেশ ৬' এর বলে ১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে এই শাখাটি গড়ে ওঠে 'সাহায্যকারী ভূখণ্ড সেবা' এর উত্তরসূরী হিসেবে যেটি ১৯৩৮ এ গঠিত হয়।[১] নারীদের রাজকীয় সেনা শাখা যতদিন ছিল ততদিন এটার কাজ ছিল প্রশাসনিক এবং অন্যান্য সাহায্যকারী কাজ করা। ১৯৫২ সালের মার্চে সাবএ্যালটার্ন, অধস্তন কমান্ডার, ঊর্ধ্বতন কমান্ডার এবং নিয়ন্ত্রক এর পদমর্যাদাগুলোকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রকৃত পদবীর মত করে ফেলা হয়।[২]
১৯৭৪ সালে এই সেনা শাখার দুইজন সৈনিক 'গিল্ডফোর্ড পানশালা বোমা হামলা'-এ নিহত হয়।
এই শাখার যেসব কর্মকর্তাদের ১৯৯০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের ঐসকল শাখাতেই রেখে দেওয়া হয় এবং ১৯৯২ এর এপ্রিলে রাজকীয় নারী সেনা শাখা ভেঙ্গে দিয়ে এর সেনা ও কর্মকর্তাদের মূলধারার সেনাবাহিনীতে ঢুকানো হয়। যারা 'রাজকীয় সেনা বেতন শাখা', 'রাজকীয় সামরিক পুলিশ শাখা', 'সামরিক প্রোভোস্ট স্টাফ শাখা', 'রাজকীয় সেনা শিক্ষা শাখা', 'সেনা আইন শাখা'তে ছিলেন এবং 'রাজকীয় সেনা অর্ডন্যান্স শাখা' এর স্টাফ করণিক যারা ছিলেন তাদেরকে নবগঠিত 'এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের শাখা'য় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নারীদের রাজকীয় সেনা শাখা পরিচালকের পোস্ট যেটি ছিল একজন ব্রিগেডিয়ার পদবীর কর্মকর্তার, উঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই শাখার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পদবী ছিল ব্রিগেডিয়ার, যেটি এই শাখার পরিচালকের পদবী ছিল।
এই শাখার সঙ্গীত বিভাগ পুরোপুরি নারীদের দ্বারা পরিচালিত ছিল।