নালা দমায়ন্তী | |
---|---|
পরিচালক | মৌলী |
প্রযোজক | চন্দ্র হাসান কমল হাসান |
রচয়িতা | কমল হাসান, মৌলী |
শ্রেষ্ঠাংশে | মাধবন গীতু মোহনদাস শ্রুতিকা শ্রীমান অনু হাসান |
সুরকার | রমেশ বিনয়গম |
চিত্রগ্রাহক | সিদ্ধার্থ |
সম্পাদক | রাজা মোহাম্মদ |
প্রযোজনা কোম্পানি | রাজ কমল ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
নালা দমায়ন্তী (তামিল: நள தமயந்தி) হচ্ছে ২০০৩ সালের একটি তামিল ভাষার চলচ্চিত্র যেটি কমল হাসান এবং তার ভাই চন্দ্র হাসান প্রযোজনা করেন, পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মৌলী।[১][২] চলচ্চিত্রটিতে মাধবন, গীতু মোহনদাস, শ্রীমান এবং অনু হাসান মূল চরিত্রে ছিলেন। মাধবন চলচ্চিত্রটিতে এক সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি আবার ভালো রাঁধতে পারেন।[৩][৪][৫] এই চলচ্চিত্রটির হিন্দি সংস্করণের নাম হচ্ছে রামজী লন্ডনওয়ালে।
রামজী নারায়ণ স্বামী হচ্ছেন গ্রাম্য সহজ সরল মানুষ, তার একটি বোন আছে যার অভিভাবকের দায়িত্ব রামজীর হাতেই কারণ তারা এতিম। মেয়েটিকে একটি ভালো পরিবারে বিয়ে দিতে চায় রামজী। বিয়ে দিতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন তা রামজীর কাছে থাকেনা বিধায় খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়, তবে ছেলেপক্ষ রামজীর হাতের রান্না খেয়ে তার খুবই প্রশংসা করে এবং তাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাবে বলে প্রস্তাব দেয়, রামজী রাজী হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া যেয়ে রামজী তার পাসপোর্ট এবং ভারত থেকে আনা ব্যাগ হারিয়ে ফেলে। সে একটি ভারতীয় তামিলভাষী রেস্তোরাঁয় পাচকের কাজ পেয়ে যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় টিকে থাকতে হলে পাসপোর্ট, ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট পেপার দরকার যেটা রামজীর কাছে নেই। রেস্তোরাঁর মালিক বদরী তার এক বন্ধু ইভানকে ব্যাপারটি সমাধান করতে বললে সে দমায়ন্তী নামের একটি মেয়ের খোঁজ দেয় যার সাথে তার বাগদান হয়েছে, ইভান বলে দমায়ন্তীকে বিয়ে করতে হবে, কারণ সে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এবং তাকে বিয়ে করলে রামজীকে পুলিশ ধরবেনা। রামজী দমায়ান্থীকে বিয়ে করে তাদের বাড়িতে ওঠে।
দমায়ন্তী রামজীর গ্রাম্য আচরণে খুবই বিরক্ত হয়, কিন্তু রামজীর ভালো রান্না খেয়ে সে তার প্রতি ধীরে ধীরে অনুরক্ত হওয়া শুরু করে। ইভান যে দমায়ন্তীকে ভালোবাসেনা সেটা দমায়ন্তী বুঝে যায় এবং বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে সে রামজীকে মন দিয়ে ফেলে। সে রামজীর বোনের জন্য ভারতে টাকা পাঠিয়ে দেয়।
সিনেমার শেষদিকে রামজী এবং দমায়ন্তী ভারত চলে যায়।