নাশপাতি | |
---|---|
Pear, "Alexander Lucas" | |
Pear fruit cross section | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Rosales |
পরিবার: | Rosaceae |
উপপরিবার: | Amygdaloideae[১] |
গোত্র: | Maleae |
উপগোত্র: | Malinae |
গণ: | Pyrus এল. |
Species | |
About 30 species; see text |
নাশপাতি বা নাশপাতি গাছ (ইংরেজি: Pear) রোজাসিয়ে পরিবারের Pyrus /ˈpaɪrəs/, গণভূক্ত উদ্ভিদ ও তার ফলবিশেষ। ঠাণ্ডা অবস্থায় পাকা নাশপাতিতে চমৎকার সুগন্ধ রয়েছে। এগুলো রসালো তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালভাবে পাকে না। ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। আবরণ অংশটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম। জ্যাম, জেলি অথবা রসালো অবস্থায় বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। শক্ত ভূমিতে নাশপাতি গাছ ভাল জন্মে। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশ থেকে গাছটির উৎপত্তি ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
নাশপাতির ইংরেজি প্রতিশব্দ পিয়ার সম্ভবতঃ পাশ্চাত্য জার্মান শব্দ পেরা থেকে উদ্ভূত। প্রাচীন গ্রীসে নাশপাতি বমন বা বমি দূরীভূতজনিত চিকিৎসাকর্মে ব্যবহার করা হতো।
প্রাচীন বিশ্বের উৎপন্ন উদ্ভিদ হিসেবে এটি ইউরোপের পশ্চিমাংশ এবং উত্তর আফ্রিকার পূর্বাংশ থেকে শুরু করে এশিয়া মহাদেশের উপকূল অঞ্চল ও নমনীয় তাপমাত্রার এলাকাসমূহে দেখা যায়। মাঝারি আকৃতির গাছরূপে এটি ১০ থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন। প্রায়শঃই এগুলো লম্বা ও সরু আকৃতির হয়ে থাকে। কিছু প্রজাতি গুল্মগুচ্ছের। পাতাগুলো সুবিন্যস্ত, সরল ও সাধারণ মানের যা ২ থেকে ১২ সে.মি. পর্যন্ত লম্বাটে হয় ও সবুজাভ। প্রজাতিভেদে পাতার আকার ডিম্বাকৃতি থেকে শুরু করে সরু ও তীক্ষ্ণ হয়।
অধিকাংশ প্রজাতির নাশপাতি গাছই পর্ণমোচী। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই-একটি প্রজাতি চিরহরিৎ প্রকৃতির। শীতল আবহাওয়ায় বিশেষ করে -২৫°সে থেকে -৪০°সে তাপমাত্রায় এরা টিকে থাকে। চীরহরিৎ প্রজাতির নাশপাতি গাছ -১৫°সে তাপমাত্রা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এদের ফুলগুলো প্রধানত সাদা হয়। তবে হলুদ কিংবা গোলাপী আকৃতিরও হয়ে থাকে। ফুলগুলোর ব্যাস গড়পড়তা ২-৪ সে.মি. ও পাঁচটি পুষ্পদল রয়েছে।[২] আপেলের সাথে নাশপাতির সম্পর্ক রয়েছে। বন্য প্রজাতির নাশপাতি ফল ১-৪ সেন্টিমিটারবিশিষ্ট। কিন্তু চাষাবাদকৃত কিছু প্রজাতির ফলের দৈর্ঘ্য ১৮ সে.মি. এবং প্রস্থে ৮ সে.মি হতে পারে।
পাইরাস কমুনিস প্রজাতির চাষাবাদকৃত নাশপাতি গ্রীষ্মকাল এবং শরৎকালীন ফল। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে পাকার পূর্বেই সবুজ অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। ফ্রান্সে দীর্ঘস্থায়ী সুগন্ধযুক্ত নাশপাতি সংগ্রহের জন্যে তিনটি পৃথক সময়কে প্রাচীনকাল থেকেই নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। ফল পাকার পনের দিন বা তারও পূর্বে প্রথমবার; এরপর এক সপ্তাহ কিংবা দশ দিন পর দ্বিতীয়বার এবং পূর্ণাঙ্গভাবে পাকার সময় শেষবার সংগৃহীত হয়। প্রথমবার সংগ্রহের ফলে সর্বশেষে খাবার উপযোগী করে রাখা হয়। নাশি নাশপাতিকে গাছে পাকার উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
দেশ | উৎপাদন (টন) | পাদটীকা | ||
---|---|---|---|---|
গণচীন | ১৫,২৩১,৮৫৮ | |||
যুক্তরাষ্ট্র | ৭৩৮,০৮৫ | |||
ইতালি | ৭৩৬,৬৪৬ | |||
আর্জেন্টিনা | ৭০৪,২০০ | এফ | ||
স্পেন | ৪৭৩,৪০০ | |||
ভারত | ৩৮২,০০০ | এফ | ||
তুরস্ক | ৩৮০,০০৩ | |||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩৬৮,৪৯৫ | |||
দক্ষিণ কোরিয়া | ৩০৭,৮২০ | |||
বেলজিয়াম | ৩০৭,২৭০ | |||
সমগ্র বিশ্ব | ২২,৭৩১,০৮৭ | এ | ||
প্রতীকবিহীন = দাপ্তরিক পরিসংখ্যান, এফ = খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এ = সর্বমোট; Source: Food And Agricultural Organization of United Nations: Economic And Social Department: The Statistical Division ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জুন ২০১২ তারিখে |