নাসিরুদ্দিন ফারাজ | |
---|---|
![]() কায়রোতে ফারাজ বিন বারকুকের খানকা | |
মিশর ও শামের সুলতান | |
রাজত্ব | জুন ১৩৯৯ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৪০৫ |
পূর্বসূরি | বারকুক |
উত্তরসূরি | ইযযুদ্দিন আব্দুল আজিজ |
মিশর ও শামের সুলতান | |
রাজত্ব | ২৮ নভেম্বর ১৪০৫ – ২৩ মে ১৪১২ |
পূর্বসূরি | ইযযুদ্দিন আব্দুল আজিজ |
উত্তরসূরি | আবুল ফজল আব্বাস মুস্তাইন বিল্লাহ |
জন্ম | আনু. ১৩৮৬ |
মৃত্যু | ২৩ মে ১৪১২ দামেস্ক | (বয়স ২৫–২৬)
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
বংশধর |
|
পিতা | সাইফুদ্দিন বারকুক |
মাতা | খাওয়ান্দ শিরিন |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
নাসির ফারাজ বা নাসিরুদ্দিন ফারাজ (আরবি: الناصر زين الدين فرج) বা ফারাজ ইবনে বারকুক ছিলেন একজন বুরজি মামলুক সুলতান। তিনি ১৩৯৯ থেকে একটি বিরতিসহ ১৪১২ সাল পর্যন্ত সালতানাত পরিচালনা করেন।
ফারাজ ১৩৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৯৯ সালের জুলাই মাসে নাসির উপাধি গ্রহণ করে মিশরের মামলুক সালতানাতের বুর্জি রাজবংশের দ্বিতীয় সুলতান হিসেবে তার পিতা সাইফুদ্দিন বারকুকের উত্তরসূরি হন।[১] পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে যখন তিনি সুলতান হন তখন তার বয়স মাত্র তেরো বছর।[১] ১৪০০ সালে দামেস্ক ধ্বংস, কায়রোতে অবিরাম বিদ্রোহ, সিরিয়ার আমিরদের সাথে (সুলতানের সাথে এবং নিজেদের মধ্যে) অন্তহীন বিরোধসহ তৈমুর লংয়ের আক্রমণসহ তার রাজত্ব অরাজকতা, মহামারি এবং বিশৃঙ্খলা দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল।[২] এছাড়া সেসময় প্লেগ এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, যার ফলে রাজ্যের জনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে।[১]
১৪০৫ সালের সেপ্টেম্বরে, ফারাজ আশেপাশের ষড়যন্ত্র থেকে ভয় পেয়েছিলেন, তাই তিনি তার শাসন থেকে পালিয়ে যান। সাময়িক সময়ের জন্য তার ভাই ইযযুদ্দিন আব্দুল আজিজ তার স্থানে প্রতিস্থাপিত হন। কিন্তু একই বছরের নভেম্বরে ফারাজ তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করেন।[১]
তার রাজত্বের শেষের সময় তিনি একজন অত্যাচারী শাসক হয়ে ওঠেন যা তাকে শেষ পর্যন্ত বালবেকে সিরিয়ার আমিরদের সাথে তার সপ্তম এবং চূড়ান্ত সংঘর্ষে নিয়ে যায়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি দামেস্কের দুর্গে পালিয়ে যান।[১] শেষ পর্যন্ত আর পালাতে না পেরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন এবং ২৩ মে ১৪১২ তারিখে একজন ভাড়াটে ঘাতক তাকে কারাগারে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।[১] আমিররা খলিফা মুস্তাইন বিল্লাহকে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে সিংহাসনে বসান।[১] ফারাজকে দামেস্কের বাবুল ফারাদিস কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার স্ত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন খাওয়ান্দ ফাতিমা, যিনি ইসলামি ঐতিহাসিক ইবনে তাগরিবিরদির বোন।[৩][৪] ফারাজের মৃত্যুর পর তিনি ইনাল নওরুজিকে বিয়ে করেন।[৩] তার একজন উপপত্নী ছিলেন লা আফলাহা মান জালামা। তিনি ফারাজের পুত্র, গারসুদ্দিন খলিলের জন্ম দেন।[৫] আরেক উপপত্নী ছিলেন ছুরাইয়া। তিনি ফারাজের কন্যা খাওয়ান্দ আসিয়ার জন্ম দেন।[৬] ফারাজের আরেক কন্যা খাওয়ান্দ সাতিতাকে বিয়ে করেন সুলতান মুয়াইয়াদ শায়খের ছেলে সিদি ইব্রাহিম। তিনি ১৪১৬ সালে মারা যান।[৭] আরেক কন্যা খাওয়ান্দ শাকরা আমির জারবাশ মুহাম্মাদিকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের নাসিরুদ্দিন মুহাম্মাদ নামে একটি পুত্র ছিল।[৩] শাকরা ১৪৮২ সালে মারা যান।[৮]
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সাইফুদ্দিন বারকুক |
মিশরের মামলুক সুলতান ১৩৯৯–১৪০৫ |
উত্তরসূরী ইযযুদ্দিন আব্দুল আজিজ |
পূর্বসূরী ইযযুদ্দিন আব্দুল আজিজ |
মিশরের মামলুক সুলতান ১৪০৫–১৪১২ |
উত্তরসূরী মুস্তাইন বিল্লাহ |