নিকোলাস আইলওয়ার্ড ভিগর্স (১৭৮৫ – ২৬ অক্টোবর ১৮৪০) একজন আইরিশ প্রাণিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১৭৮৫ সালে আয়ারল্যান্ডের কার্লো কাউন্টিতে ভিগর্সের জন্ম। তিনি অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৮০৯ থেকে ১৮১১ সাল পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ডে ফিরে আসেন এবং ১৮১৫ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। আইনজীবী হিসেবে কিছুদিন কাটানোর পর ১৮৩২ সালে বেসামরিক আইনের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
নিকোলাস আইলওয়ার্ড ভিগর্স ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এর প্রথম সচিব। একই বছর তিনি রয়েল এন্টমোলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একই সাথে লিনিয়ান সোসাইটি ও রয়েল সোসাইটির ফেলো ছিলেন। তিনি প্রায় ৪০টি নিবন্ধ রচনা করেন যার বেশিরভাগই পক্ষীবিজ্ঞানের উপর রচিত। তিনি প্রায় ১১০ প্রজাতির পাখি সম্পর্কে বর্ণনা করেন। পক্ষীবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম ৩০ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে তিনি একজন। জন গুল্ডের আ সেঞ্চুরি অব বার্ডস ফ্রম দ্যা হিমালায়া মাউন্টেইন্স (১৮৩০–৩২) গ্রন্থ রচনায় সহযোগিতা করেন।
স্যাবিনের চ্যাগা নামে নতুন একটি পাখির বর্ণনা দেন তিনি। পরে ১৮৮৫ সালে ব্যারেট-হ্যামিল্টন[৩] ও ১৯২৬ সালে রবার্ট মেইনার্ৎসেন পাখিটিকে পাতি চ্যাগা বলে চিহ্নিত করেন।১৯৪৫ সালে প্রজাতিটি উইলসনের চ্যাগা বলে প্রমাণিত হয়। ১৮২৫ সালে তিনি কে প্রজাতিটির চামড়া ধার দেন যাতে বেউইক হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ বার্ডস গ্রন্থে পাখিটির ছবি আঁকতে পারেন।[৪]
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)