নিজামুদ্দিন আসির আদ্রাভি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯২৬ আদ্রী, মাউ জেলা, যুক্ত প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২০ মে ২০২১ | (বয়স ৯৪–৯৫)
ধর্ম | ইসলাম |
অঞ্চল | ভারত |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | ইতিহাস |
উল্লেখযোগ্য কাজ | তারীখে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, তেহরীকে আজাদী আউর মুসলমান, কারওয়ানে রাফ্তা |
যেখানের শিক্ষার্থী | জামিয়া কাসেমিয়া (মাদ্রাসা শাহী) |
এর প্রতিষ্ঠাতা | মাদরাসা দারুস সালাম, আদ্রী |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
নিজামুদ্দিন আসির আদ্রাভি ( আসির আদ্রাভি নামেও পরিচিত) (১৯২৬ — ২০ মে ২০২১) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ এবং উর্দু ভাষার লেখক। তিনি তেহরীকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম- এর ইতিহাস ২ খন্ড) রচনা করেন, যা মুহাম্মদ কাসিম নানুতভী, রশিদ আহমদ গাঙ্গূহী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দি এবং হুসাইন আহমদ মাদানির জীবনীগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। [১][২]
তিনি ১৯২৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের যুক্ত প্রদেশের মাউ-তে জন্মগ্রহণ করেন
তিনি মাদ্রাসা ফয়েজুল গুরাবাতে ভর্তি হন। তারপরে তিনি জামিয়া মিফতাহুল উলুমে ভর্তি হন এবং সেখানে হাবিবুর রহমান আজমী, মুন্সী জহিরুল হক নিশাত সিমাবি এবং আবদুল লতিফ নোমানীর অধীনে পড়াশোনা করেন। [২][৩] এরপরে তিনি মুবারকপুরের মাদ্রাসা ইয়াহিয়াউল উলূমে ভর্তি হন। সেখানে তিনি শুকরুল্লাহ মুবারকপুরী, বশির আহমদ মাজাহিরী, মুহাম্মদ উমর মাজাহিরী ও মুহাম্মদ ইয়াসিনের নিকট পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি দারুল উলুম মাউতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি আব্দুর রশীদ হুসাইনির নিকট মিশকাত ও কারী রিয়াসত আলীর নিকট জালালাইন অধ্যয়ন করেন। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন তবে তিনি ব্যর্থ হন এবং এভাবে উচ্চশিক্ষার জন্য মাদ্রাসা শাহী চলে যান এবং ১৯৪২ সালে স্নাতক হন। তিনি ফখরুদ্দীন আহমদ মুরাদাবাদীর নিকট সহীহ বুখারী, ইসমাঈল সাম্ভালীর নিকট সহীহ মুসলিম এবং মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দীর নিকট তিরমিযি অধ্যয়ন করেন।
তিনি ১৯৫৪ সালে মাউ-তে মাদ্রাসা দারুস সালাম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তিনি বার্ধক্যের কারণে শয্যাশায়ী না হওয়া অবধি ১৯৭৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বারাণসীর রেওরি তালাবের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ইসলামি বিজ্ঞান পড়াতেন। [২][৩]
উর্দুতে তিনি ত্রিশটি বই লিখেছেন। তিনি ছোট গল্পের জন্যও পরিচিত। [২][৪]
তিনি ত্রৈমাসিক তারজুমানের সম্পাদক ছিলেন এবং এর জন্য কয়েকশ নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি সাপ্তাহিক আল জামিয়াত এবং দৈনিক আল জামিয়াতের কলামিস্ট এবং লেখক ছিলেন। তিনি মুহাম্মদ কাসিম নানুতভী, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী, ইমামউদ্দিন পাঞ্জাবি, রহমতউল্লাহ কিরানভি, রশিদ আহমদ গঙ্গোহি, মাহমুদ হাসান এবং হুসাইন আহমদ মাদানীর জীবনী লিখেছেন। [১] তাঁর বইগুলির মধ্যে রয়েছে:[২][৫]
তিনি ২০২১ সালের ২ মে মৃত্যুবরণ করেন।[৬]