![]() | বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। (ডিসেম্বর ২০২০) |
![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ( ইন্টেন্সিভকেয়ার ইউনিট বা আই.সি.ইউ), যা আরো পরিচিত নিবিড় থেরাপি কেন্দ্র বা নিবিড় চিকিৎসা কেন্দ্র ( ইংরেজিতে → আই.টি.ইউ বা ইন্টেন্সিভ ট্রিটমেন্ট ইউনিট) অথবা সংকটাবস্থা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ( ইংরেজিতে - সি.সি.ইউ বা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট), হলো হাসপাতালের অথবা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের বিশেষ বিভাগ যা কিনা নিবিড় চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধাদি প্রদান করে থাকে।
একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র সব ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে থাকে সেই সব রোগীদেরকে যারা জীবনাশঙ্কাপূর্ণ ব্যাধিতে আক্রান্ত অথবা আঘাতপ্রাপ্ত, যে অবস্থাগুলোতে প্রয়োজন তাৎক্ষণিক সেবা, জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রসমূহের দ্বারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং রোগীর স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জীবনরক্ষাকারী ঔষধাদি । এই কেন্দ্রসমূহের কার্যক্রম নির্বাহ হয়ে থাকে অত্যন্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, সেবিকা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস কার্যক্রম সম্পর্কে অভিজ্ঞ থেরাপিস্টদের দ্বারা যারা সংকটপূর্ন অবস্থায় সেবা দানের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসমূহকে হাসপাতালের অন্যসব সাধারণ কক্ষগুলো হতে আলাদা করে চেনা যায় এদের উচ্চ কর্মচারী ও রোগীদের অনুপাত হতে এবং উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা উপকরণের প্রাপ্যতা দ্বারা যা কিনা অন্য কোথাও সাধারণত সহজলভ্য। সচরাচর যেসব রোগের চিকিৎসা নিবিড় পরিচর্যা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে তার মধ্যে রয়েছে তীব্র (অথবা প্রাপ্তবয়স্কদের) শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সার কিংবা কোন রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়াসহ বেশকিছু জীবন-সংকটাপূর্ণ শারীরিক অবস্থা।
প্রয়োজনে রোগীকে সরাসরি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে প্রেরণ করা হতে পারে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ হতেই, কিংবা হাসপাতালে কক্ষ বা ওয়ার্ড হতে যদি রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে, অথবা একটি অপারেশন বা শল্যচিকিৎসার পর পরই যদি সেই শল্যচিকিৎসাটি বেশি জটিল অথবা বিপদজনক হয়ে থাকে এবং যদি রোগী শল্যচিকিৎসা বা অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে [১]।
১৮৫৪ সনে, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ক্রিমিয়ার ক্রিমিয়ার যুদ্ধের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করেন, যেখানে প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গুরুতর আহত সৈনিকদেরকে জীবন সংশয় নেই এমন ভাবে আহত বা কম আহত যোদ্ধাদের থেকে আলাদা করা হতো।
সাম্প্রতিক সময় এর আগ পর্যন্ত, প্রচলিত ছিলো যে নাইটিঙ্গেল যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০% থেকে ২ % নামিয়ে এনেছিলেন। যদিও আসলে ব্যাপারটি তা ছিল না, যুদ্ধকালীন সময়ে তার অভিজ্ঞতা পরবর্তিতে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, যা কিনা নিবিড় পরিচর্যার একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- এর গুরুত্ব আবিষ্কারের ভিত্তি রচনা করেছিল।
১৯৫০ সনে, অবেদনবিদ পিটার সাফার " আধুনিক জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা "- এই ধারণাটি প্রবর্তন করেন, যেখানে রোগীদেরকে ঔষধ প্রদানের মাধ্যমে প্রশান্ত বা নিবারিত রাখা হবে এবং সঠিকভাবে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সাফার কে একটি বিশেষায়িত ব্যবস্থা হিসেবে নিবিড় পরিচর্যা সেবা চর্চাকারি প্রথম চিকিৎসক হিসেবে মানা হয়।
পোলিও মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় (যেখানে অনেক রোগীর অনবরত শ্বাসকার্য পরিচালনায় সহায়তা এবং নজরদারির প্রয়োজন ছিল ) বর্ন এগে ইবসেন ১৯৫৩ সনে কোপেনহেগেনে প্রথম নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন[২][৩]।
যুক্তরাষ্ট্রে এই ধারণাটির প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫৫ সনে উইলিয়াম মজেনথালের হাত ধরে- একজন শল্যচিকিৎসক যিনি কিনা ডার্টমাউথ-হিচকক চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন[৪]। ১৯৬০ এর দশকে, হূদযন্ত্রের মাংসপেশীর কলাবিনষ্টি রোগের ( হার্টঅ্যাটাক বা হৃদযন্ত্রের আকস্মিক কোন গুরুতর সমস্যা) কারণে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর একটি পূর্বাভাষ বা পূর্বসূত্র হিসেবে এরিদমিয়া বা হূদযন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দপতন রোগের গুরুত্ব উপলব্ধি করা হয় । ইহাই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে হৃদযন্ত্র নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রচলনের দিকে চালনা করে, বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক বা হূদযন্ত্রের আকস্মিক কোন মারাত্মক সমস্যার পরে[৫]।
রোগীদের বিশেষ প্রয়োজন পূরণকরার জন্যে হাসপাতলগুলো বিশেষধরনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থাকতে পারে, বিশেষধরনের সেবা ও পরিচর্যাকেন্দ্র গুলোর ব্যাপারে নিম্নে উল্ল্যেখিত হলো:
নিবিড় শল্যচিকিৎসা পরিচর্যা কেন্দ্র ( এস.আই.সি.ইউ বা সার্জিক্যাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) : যা আরো পরিচিত শল্যচিকিৎসা সংকটকালীন সেবা কেন্দ্র হিসবে, নিবিড় শল্যচিকিৎসা পরিচর্যা কেন্দ্র তুলনামূলক ভাবে বড়ো হাসপাতালগুলোর একটি বিশেষায়িত সেবা ব্যবস্থা যা কিনা শল্যচিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যায় সংকটা পূর্ন অবস্থা সংবলিত রোগিদের আবাসিক ব্যবস্থা সংবলিত সেবা ( ইংরেজিতে : ইনপেশেন্ট কেয়ার) প্রদান করে থাকে। অন্যান্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সাথে এর ভিন্নতা হলো এখানে সেবা প্রদানের বিষয়টি পরিচালনা করেন সংকটকালীন সেবা প্রদানে প্রশিক্ষিত সার্জন বা শল্যচিকিৎসকগণ।
একটি বিশেষায়িত এম্বুলেন্স বা পরিগ্লান যান যার সাথে রয়েছে উপস্থিত স্থানে তাৎক্ষণিক ভাবে এবং রোগী পরিবহনের সময় উন্নত জীবন রক্ষাকারী সেবা প্রদান করতে সক্ষম সরঞ্জামাদি সংবলিত চিকিৎসা দল। এই ধরনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবহৃত হয় সেইসব রোগীদের জন্যে যাদেরকে হাসপাতাল সমুহ হতে পরিবহন করা হয় এবং বাড়ি হতেও হাসপাতালে পরিবহন করা হয়। ব্রিটিশ-আমেরিকান গঠন অনুযায়ী হাসপাতাল পূর্ববর্তী সেবা প্রদানকারী ভ্রাম্যমাণ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত থাকে বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে কিছু জরূরী অবস্থা মোকাবিলা করার জন্যে থেরাপিস্ট ( ইংরেজিতে ই.সি.টি প্র্যাকটিশনার বা ইলেকট্রোকনভালসিভ থেরাপি প্র্যাকটিশনার) অথবা উন্নত জীবন সহায়তা সেবা প্রদান কারি সহ- চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীদের দ্বারা ( প্যারামেডিক) । ইউরোপীও গঠন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ নিবিড় পরিচর্যা দল পরিচালিত হয়ে থাকে একজন সংকটকালীন সেবা প্রদানকারী সেবিকা অথবা একজন জরুরী চিকিৎসা সেবা চিকিৎসক এর দ্বারা।
একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সাধারণ সরঞ্জামাদির মধ্যে আছে যান্ত্রিক শ্বাস-প্রশ্বাস পরিচালনাকারী যন্ত্র যা কিনা শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে গমনকারী নল অথবা শ্বাসনালি ছিদ্রকরে প্রবেশকৃত নলের মাধ্যমে শ্বাসকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে, হৃদযন্ত্রের সার্বক্ষণিক অবস্থা তদারক করতে হৃদযন্ত্র পর্যবেক্ষণ যন্ত্র, সার্বক্ষণিক শারীরিক কার্যক্রম তদারক করার যন্ত্র, আন্তশিরা নলের জালিকা,খাদ্যনল, নাসাপথে স্থাপিত খাদ্যনালীতে গমনকৃত খাদ্যনল (ন্যাসোগ্যাস্ট্রিক টিউব বা এন.জি টিউব) , তরল শোষণ পাম্প বা যন্ত্র, নিস্কাষণ এবং নির্গমণ নলসমূহ, সিরিঞ্জ বা চিকিৎসা পিচকিরি যন্ত্র এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রাথমিক কিছু অবস্থা মোকাবিলার জন্যে একটি সুবিশাল ঔষদের বিন্যাস। চিকিৎসার প্রয়োজনে উৎপন্ন কোমা ( জ্ঞান এবং বিভিন্ন পর্যায়ে অনুভব হ্রাসকৃত একটি অবস্থা), ব্যাথা নাশক, এবং ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যেমে রোগীকে প্রশান্ত বা ঘোরের মধ্যে রাখা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যবহৃত কিছু ব্যবস্থা যা কিনা ব্যাথা হ্রাস এবং অপর কোন সংক্রমন প্রতিরোধ করার জন্যে প্রয়োজন পরে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সংখ্যা এবং যান্ত্রিকভাবে শ্বাস-প্রস্বাস পরিচালনাধীন রোগীদের মানসম্মত সেবাপ্রাপ্তির মধ্যে একটি সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়। রোগের তীব্রতা, জনতাত্ত্বিক ধ্রুবকসমুহের মান এবং বিভিন্ন ধরনের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের বৈশিষ্ট ( কার্যনির্বাহী বাহিনী এবং নিবির পরিচর্যাকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করে) সমন্বয় করার পড় দেখা যায় যে, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের উচ্চ কর্মীহার উল্লেখযোগ্য ভাবে হাসপাতাল এবং নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে স্বল্প মৃত্যুহারের সাথে জড়িত। একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে সাধারণভাবে দেখতে পাওয়া ৪:১ অথবা ৫:১ এই অনুপাতের প্রেক্ষিতে, একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্যে প্রতি ২ জন রোগীর জন্যে ১ জন সেবিকা পরামর্শিত। এই হার দেশ হতে দেশে ভিন্ন যদিও উদাহরণ সরূপ : অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে প্রায় বেশিরভাগ নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র পরিচালনায় রোগীর সংখ্যার প্রেক্ষিতে কর্মী সংখ্যা থাকে ২:১ এই আনুপাতিক হারে ( উচ্চনির্ভরশীলতা সম্পন্ন রোগীদের জন্যে যাদের দরকার ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ অথবা সাধারণ হাসপাতাল যতখানি দিতে পারে তার চাইতেও তুলনামূলকভাবে বেশি নিবিড় সেবা ) অথবা ১:১ হারে সেইসব রোগীদের জন্যে যাদের সর্বোচ্চ নিবিড় পরিচর্যা সেবা এবং অত্যন্ত বেশি পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন যেমন উদাহরণ সরূপ, যান্ত্রিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চলমান একজন রোগী যিনিকিনা অবেদনিক এবং নিবারণ বা প্রশান্তকারি ঔষধাদি যেমন : প্রপোফল,মিডাজোলাম এবং অতিউচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাথা নাশক যেমন : মরফিন,ফেন্টানিল এবং/অথবা রেমিফেন্টানিল প্রাপ্ত হচ্ছে।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্যে, আন্তর্যাতিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি রোগীকে সঠিক এবং আধুনিক চিকিৎসা বিধি ও চিকিৎসা যন্ত্রের দ্বাড়া চিত্তবিভ্রম বা বিকারের জন্যে প্রতিদিন পরীক্ষা করতে হবে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পন্থা হচ্ছে - নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের জন্যে বিহ্বলতা বা হতবুদ্ধিতা পরিমাপক পদ্ধতি ( ইংরেজিতে সি.এ.এম-আই.সি.ইউ বা কনফিউশন এসেসমেন্ট ম্যাথড ফর আই.সি.ইউ) এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্যে হতবুদ্ধিতা নির্নয় নজরতালিকা ( ইংরেজিতে আই.সি.ডি.এস.সি বা ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট ডেলিরিয়াম স্ক্রিনিং চেকলিস্ট)। এই পদ্ধতি এবং উপকরণমাধ্যমগুলো সাড়া বিশ্বের প্রায় ২০ টিরো বেশি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপি অনেক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে, প্রায় ২০% পর্যন্ত হাসপাতাল শয্যাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়; যুক্তরাজ্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো সর্বমোট হাসপাতাল শয্যার মাত্র ২%। এই ফারাকের কারণ হলো যুক্তরাজ্যে বেশিরভাগ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় কেবল মাত্র মারাত্নক ভাবে অসুস্থ হলেই।
নিবিড় পরিচর্যা একটি অত্যন্ত ব্যায়বহুল চিকিৎসা সেবা। যুক্তরাস্ট্রে হওয়া একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়নি এমন হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ের ব্যয়ের তুলনায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে এমন হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ের ব্যয় প্রায় ২.৫ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যে একটি গতাগতিক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার ব্যয় হচ্ছে :
কিছু হাসপাতালে টেলিকন্ফারেন্স বা দূরালাপণীসম্মেলন ব্যবস্থা রয়েছে যা কিনা একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ( হয় একই ভবনে, অথবা একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে অবস্থিত যা কিনা বেশকিছু স্থানীয় হাসপাতালে সেবা প্রদান করছে , অথবা একটি শহরে অবস্থিত কেন্দ্র যা কিনা বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকায় সেবা প্রদান করে ) অবস্থানকৃত ডাক্তার এবং সেবিকাদেরকে নির্দিষ্ট সেবা যেখানে প্রয়োজন সেই স্থানে উপস্থিত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং রোগীদের সাথেও কথা ব্লতে সাহায্য করে ( দূরালাপণী চিকিতসা সেবার একটি ধরন )। একে বিভিন্নভাবে নামকরণ করা হয়ে থাকে যেমনঃ ইআইসিইউ বা ভার্চুয়াল বা অবাস্তবদর্শন আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র এবং টেলি-আইসিইউ বা দূরালাপী নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। দূরবর্তী কর্মী সাধারণত অতীব প্রয়োজনীয় লক্ষনগুলো দেখতে পারেন সরাসরি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে , এবং টেলিইলেক্ট্রিক বা তারবৈদ্যুতিক স্বাস্থ্যনথি পত্রের মাধ্যমে যার তারা রোগীর চিকিতসা ইতিহাস সম্পর্কে একটি বিশদ ধারণা লাভ করে। এছাড়াও মাঝে মধ্যে দূরবর্তী কর্মীরা সম্মিলিত হয় এবং দায়িত্ব আদান-প্রদান করে। এই ব্যবস্থা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের জন্যে ফলপ্রসূ কেননা অবস্থার অবনতি হবার ঝুকিতে থাকা রোগীরদের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা যাচাই করার জন্যে, অতীব গুরুত্তপূর্ন লক্ষণসমূহ দুর হতে প্রাপ্তির জন্যে যাতে এমন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা যায় যাকে একটি বৃহত্তর একটি চিকিতসা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হতে পারে যদি রোগীর স্থিতিশীলতার লক্ষণীয় অবনতি ঘটে।