এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(মে ২০২১) |
নির বারকাত | |
---|---|
ניר ברקת | |
জেরুজালেমের মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ২০০৮ – ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | উরি লুপোলিয়ানস্কি |
উত্তরসূরী | মোশে লিওন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ניר ברקת ১৯ অক্টোবর ১৯৫৯ জেরুজালেম, ইসরায়েল |
রাজনৈতিক দল | লিকুদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেভেরলি বারকাত |
সন্তান | ৩ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় |
ধর্ম | ইহুদি ধর্ম |
নির বারকাত (হিব্রু ভাষায়: ניר ברקת; জন্ম ১৯ অক্টোবর ১৯৫৯) হলেন একজন ইসরায়েলি ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদ। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার জেরুজালেমের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হন এবং ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়র পদে ছিলেন।[১] মেয়াদকালে তিনি ইসরায়েলি সংস্কৃতির বিকাশ, পর্যটন, স্থানীয় হাইটেক উন্নয়নসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে কাজ করেছেন।[২][৩][৪]
নির বারকাত ১৯৫৯ সালের ১৯ অক্টোবর জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জালমান ছিলেন হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। নির বারকাত ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছয় বছর ইসরায়ীর প্রতিরক্ষা বাহিনীতে প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি মেজর পদে উন্নীত হন।
তিনি হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এখানে তিনি ব্যবসা প্রশাসনে মাস্টার্সের জন্য পড়াশোনা করেছেন। তবে তা তিনি সম্পন্ন করেননি।
বারকাতের স্ত্রী বেভেরলি একজন শিল্পী। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে। তাদের পরিবার জেরুজালেমের বেইত হাকেরেম মহল্লায় বসবাস করে।
২০১৩ সালে বারকাত ৪৩তম প্রভাবশালী ইহুদি ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।[৫]
১৯৮৮ সালে বিআরএম নামে সফটওয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বারকাত হাইটেক শিল্পে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এই প্রতিষ্ঠান এন্টিভাইরাস সফটওয়ার নিয়ে কাজ করত।[৬] পরে এই কোম্পানি একটি ইনকিউবেটর ভেঞ্চার ফার্ম হিসেবে কাজ করে এবং বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। তিনি সামাজিক বিনিয়োগ কোম্পানি আইভিএন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি ড্রাগন্স ডেনের ইসরায়েলি সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
বারকাতের মতে তিনি মেয়র হিসেবে তার হাইটেক কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন: “এখন আমি নিজেকে একজন গণ উদ্যোক্তা হিসেবে দেখি, তাই এটি খুবই পদ্ধতিগত। আমরা ডাটা ও তথ্য ব্যবহার করি এবং শহরের পরিবর্তনের জন্য ব্যবসার কৌশলের মত একই পদক্ষেপ ব্যবহার করে সফল পাইলট প্রকল্প পরিমাপ করি”।[২]
২০১৩ সালে ফোর্বস জানায় যে বারকাতের সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ মিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল (প্রায় ১২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।[৭] বর্তমানে তিনি জেরুজালেম শহর থেকে বেতন নেন না।[৭]
বারকাত ক্রমান্বয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। ১৯৯৯ সালে তার পরিবার ওয়েব ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে বিনিয়োগ করে।[৮] এর মাধ্যমে জেরুজালেম পৌরসভার রাজনীতিতে তার প্রবেশ ঘটে।
২০০৩ সালে ইয়েরুশালায়িম তাতজলিয়াহ দল গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। শহরের মেয়র নির্বাচনে তিনি ৪৩% ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উরি লুপোলিয়ানস্কির কাছে তিনি পরাজিত হন। ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নগর কাউন্সিলে বিরোধী দলের প্রধান ছিলেন।
২০০৮ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি ৫২% ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মেইর পোরাশ ৪৩% ভোট পান। বারকাতকে একজন সেকুলার রাজনীতিবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৯][১০] ২০১৩ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করান। এসময় তিনি লেবার পার্টির সমর্থন পান। তিনি লিকুদ দল থেকেও সমর্থন পেয়েছিলেন। মেরেতজ তার পক্ষে নিজেদের প্রার্থী পেপে আলালুকে প্রত্যাহার করে নেয়।[১১][১২] এই নির্বাচনে বারকাত ৫২% ভোট পান।[১৩] মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বছরে এক শেকেল বেতনের বিনিময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১৪]
২০১৩ ও ২০১৫ সালের নেসেট নির্বাচনে বারকাত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।[১৫][১৬]
২০০০ সালের মধ্যভাগ থেকে জেরুজালেমে হাইটেক স্টার্টআপের জন্য আঞ্চলিক কেন্দ্র গড়ে উঠে।[১৭] বারকাতের প্রশাসন কোম্পানিসমূহকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। ২০১৬ সাল নাগাদ জেরুজালেমে ৫০০ এর বেশি স্টার্টআপ গড়ে উঠে।[১৮]