নির্বাচন বর্জন বলতে একদল ভোটারদের দ্বারা কোনো নির্বাচনকে বর্জন করা। এটি একধরনের বিক্ষোভ যেখানে ভোটারগণ অনুভব করেন যে নির্বাচনে জালিয়াতি সম্ভব কিংবা নির্বাচনের ব্যবস্থাটি তাঁদের প্রার্থীদের বিপক্ষে, যে শাসনতন্ত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে তার কোনো বৈধতা নেই কিংবা প্রার্থীগণ খুব পরিচিত নন। যেসব এখতিয়ারভুক্ত এলাকাতে ভোটদান বাধ্যতামূলক, সেখানে নির্বাচন বর্জন করা একধরনের আইন অমান্যকরণ বলে বিবেচিত হয়; এক্ষেত্রে নির্বাচন বর্জনের সমর্থকরা "উপরের কোনটিই নয়" বলে ভোট দেয় কিংবা ফাঁকা ভোট জমা দেয়। নির্বাচন বর্জন করা ভোটারগণ সাধারণত এক বিশেষ অঞ্চল বা নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এক বিশেষ রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করতে রাজি হন না এবং তাঁর সমর্থকদের ভোট বর্জন করতে বলবেন।[১]
নির্বাচন বর্জন কিন্তু রাজনৈতিক দলের পক্ষে বিপজ্জনক। কম অংশগ্রহণ সবসময় নির্বাচন ফলাফলকে শূন্য করে না এবং জাল ভোটের মাধ্যমে বর্জন করা দলকে ক্ষমতায় অঙ্গ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে, যার ফলে তারা রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে।[১]
নির্বাচন | ভোটদান (%) | মন্তব্য |
---|---|---|
১৯৭১ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সাধারণ নির্বাচন | ৩৩.২ | |
১৯৭৩ উত্তর আয়ারল্যান্ড সার্বভৌমত্ব গণভোট | ৫৮.১ | ক্যাথলিকদের মধ্যে ১%-এর কম। |
১৯৭৮ গায়ানা সাংবিধানিক গণভোট | ৭০.৮ | বিরোধী অনুমান ১০% থেকে ১৪%-এর মধ্যে। |
১৯৭৮ দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকা আইনসভা নির্বাচন | ৮০.২ | |
১৯৮৩ জ্যামাইকা সাধারণ নির্বাচন | ২.৭ | ৬০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৫৫% ভোটদান হয়েছে। |
১৯৮৪ দক্ষিণ আফ্রিকা সাধারণ নির্বাচন | ২৯.৯ ও ২০.৮ | |
১৯৮৪ দক্ষিণ আফ্রিকা সাধারণ নির্বাচন | ১৮.১ ও ২৩.৩ | |
১৯৯১ বুর্কিনা ফাসো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন | ২৭.৩ | |
১৯৯২ ঘানা সংসদ নির্বাচন | ২৮.১ | |
১৯৯৩ টোগো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন | ৩৬.২ | |
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ বাংলাদেশী সাধারণ নির্বাচন | ২১.০ | |
১৯৯৭ মালি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন | ২৯.০ | |
১৯৯৭ ইয়েমেন সংসদ নির্বাচন | ৬১.০ | ১৯৯৩ সালে ভোটদান ৮৪.৮%। |
১৯৯৭ স্লোভাক গণভোট | ৯.৫ | |
১৯৯৭ সার্বিয়া সাধারণ নির্বাচন | ৫৭.৪ | |
১৯৯৯ আলজেরিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন | ৬০ | বর্জন করা প্রার্থীদের দাবি এটি প্রায় ২৫%। |
২০০০ কোত দিভোয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন | ৩৭.৪ | |
২০০০ যুগোস্লাভিয়া সাধারণ নির্বাচন | ২৮.৮ |