নির্মলকুমার সিদ্ধান্ত (ইংরেজি: Nirmalkumar Sidhanta) (১৩০০ ব - ৩ পৌষ ১৩৬৮ ব) ছিলেন একজন ইংরাজী সাহিত্যের বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি পণ্ডিত। ভারতে ডিরেক্ট মেথড-এ ইংরাজী শিক্ষা প্রবর্তনে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।
নির্মলকুমার সিদ্ধান্তর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। তাঁদের আদি নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে। প্রাথমিক পড়াশোনা আগ্রা ও বাঁকুড়া জেলা স্কুলে। তারপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্ররূপে প্রবেশ করে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পরীক্ষাতেও প্রথম হন। [১] ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।[২][৩] ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই মে হতে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ৯ই অক্টোবর পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। [৪] তার এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হল ভাঙার জন্য 'বিশ্ববিদ্যালয়ের কালাপাহাড় ' এই দুর্নাম পেয়েছিলেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। দেশে ইংরাজী শিক্ষাদানের জন্য ডিরেক্ট মেথড-এর ব্যবহারের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ইউরোপে, আমেরিকা ও দূরপ্রাচ্যের দেশসমূহে শিক্ষক প্রতিনিধিরূপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতের বিভিন্ন শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার রচিত "হিরোইক এজ" প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির উপর এক মূল্যবান গ্রন্থ।[২]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ ও রবীন্দ্রসংগীতের প্রখ্যাত শিল্পী চিত্রলেখা সিদ্ধান্ত (১৮৯৮ - ১৯৭৪) ছিলেন তার স্ত্রী।
১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। [৫] ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি.লিট সম্মানে ভূষিত হন। [৬]