ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নিল অ্যালান ফস্টার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলচেস্টার, এসেক্স, ইংল্যান্ড | ৬ মে ১৯৬২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফজি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫০২) | ১১ আগস্ট ১৯৮৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ জুন ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭১) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ মে ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫ | নরফোক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮১-১৯৯৩ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৫ অক্টোবর ২০১৭ |
নিল অ্যালান ফস্টার (ইংরেজি: Neil Foster; জন্ম: ৬ মে, ১৯৬২) এসেক্সের কলচেস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে ঊনত্রিশ টেস্ট ও আটচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ সময়কালে এসেক্সের পক্ষে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন।[১] তন্মধ্যে, ১৯৮৩ সালে কাউন্টি ক্যাপ পান। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট বোলার ছিলেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন ‘ফজি’ ডাকনামে পরিচিত নিল ফস্টার।
৬ মে, ১৯৬২ তারিখে এসেক্সের কলচেস্টার এলাকায় ফস্টারের জন্ম।[২] কলচেস্টারের ফিলিপ মর্যান্ট কম্প্রিহেনসিভে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
যে সময়ে তিনি এসেক্সের পক্ষে খেলেন, ঐ সময় এসেক্স তাদের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা সফলতম স্বর্ণালী দিনগুলো অতিবাহিত করছিল। গ্রাহাম গুচ, কিথ ফ্লেচার, জন লিভার ও ডেরেক প্রিঙ্গল সমৃদ্ধ খ্যাতনামা তারকাদের সাথে ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ফাস্ট বোলার ফস্টার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯২ মৌসুমে পাঁচবার দলকে শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।
১৯৮৩ সালে লর্ডসে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। জেরেমি কোনি তার প্রথম শিকারে পরিণত হন ও খেলায় একমাত্র উইকেটটি পেয়েছিলেন তিনি। ফস্টারের সাথে নিক কুক ও ক্রিস স্মিথেরও একযোগে অভিষেক ঘটেছিল। ১৯৫৯ সালের পর ইংল্যান্ড নিজ দেশে একযোগে তিনজন নতুন খেলোয়াড়কে প্রথমবারের মতো মাঠে নামায়।
এসেক্সের দলীয় সঙ্গী ও অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের সাথে তিনিও টেস্ট আঙ্গিনায় সমান প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ফস্টারের ফাস্ট সুইং বোলিং ইংরেজ পরিবেশে মানানসই হলেও সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন বিদেশের মাটিতে। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত খেলায় ভারতের বিপক্ষে এগারো উইকেট পেয়েছিলেন।[২] একমাত্র বোলার হিসেবে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ভিভ রিচার্ডসকে টেস্টে শূন্য রানে আউট করেছিলেন।[৩]
ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি নিজস্ব সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টেস্ট রান করেছেন ৩৯। ১৯৮৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐ রানটি তুলেছিলেন।
১৯৮৯ সালের চতুর্থ টেস্ট চলাকালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ইংল্যান্ডের বিদ্রোহী দলের সফরের কথা ঘোষণা করা হয়। মাইক গ্যাটিংকে অধিনায়ক ও ফস্টার দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।[২] এরফলে সকল বিদ্রোহী খেলোয়াড়কে পরবর্তী তিন বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
১৯৯৩ সালে দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক পুনরায় আহুত হন ও ফিলিপ ডিফ্রিটাসের পরিবর্তে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামেন। এ টেস্টটি গত চার বছরের মধ্যে তার প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। গ্যাটিং, জন এম্বুরি ও পল জার্ভিসের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় গমনকারী চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ড দলে পুণর্বাসিত হয়েছিলেন তিনি। এরফলে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণভাগ আরও শাণিত রূপ ধারণ করে। তবে, ফস্টারের কম সুবিধা প্রদানকারী মাঠের সহজ পিচেও তার এই প্রত্যাবর্তন তেমন সুবিধা বয়ে আনতে পারেনি। অ্যান্ড্রু ক্যাডিকের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। ঐ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দল ৬৩২/৪ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড দল ইনিংস ও ৬২ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল। ঐ বছরে অবসর নেয়ার পূর্বে কাউন্টি ক্রিকেটের আরও একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
পিঠ ও হাঁটুর আঘাতের কারণে এসেক্সের সিম বোলার নিল ফস্টারের খেলোয়াড়ী জীবন থেমে যায়। সর্বমোট নয়বার তার হাঁটুর চিকিৎসা করতে হয়েছে ও তার চমৎকার খেলোয়াড়ী জীবনকে বাঁধাগ্রস্ত করে তুলে। এরপর অ্যালান ক্লার্কের ন্যায় ক্রীড়াতারকাদের সাথে কাজ করেন।[১] শৈলচিকিৎসায় সবিশেষ জ্ঞান রাখতেন। আশ্চর্য হবার কোন কারণ নেই যে, খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর সনদপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট হয়েছিলেন তিনি।[৪] সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৈলবিদ্যা বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেছিলেন।
১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ভারত-পাকিস্তানে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের চতুর্থ আসরে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে জোনাথন অ্যাগ্নিউ, ডেভিড হিউজ, পিটার রোবাক ও পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান সেলিম মালিকের সাথে তিনিও উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[৫]