এই নিবন্ধটির তথ্যছকটি অন্য একটি ভাষা থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুবাদ করা হয়নি। |
নিশ Ниш (সার্বীয়) | |
---|---|
শহর | |
নিশ শহর | |
উপর থেকে, বাম থেকে ডানে: নিশের পরিদৃশ্য, নিশ দুর্গ, বুবানি স্মারক উদ্যান, জেগার স্মৃতিসম্ভ, নিশাভা নদী, বিচার ভবন, পবিত্র সম্রাট কোনস্তানতিন ও সম্রাজ্ঞী হেলেনার গির্জা, নিশ বিশ্ববিদ্যালয় | |
ডাকনাম: "দ্বিতীয় রাজধানী"[১] "Imperial City" | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Serbia" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Serbia" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।Location within Serbia##Location within Europe | |
স্থানাঙ্ক: ৪৩°১৯′১৫″ উত্তর ২১°৫৩′৪৫″ পূর্ব / ৪৩.৩২০৮৩° উত্তর ২১.৮৯৫৮৩° পূর্ব | |
দেশ | সার্বিয়া |
ভৌগোলিক অঞ্চল | Southern Serbia |
Statistical Region | Southern and Eastern |
District | Nišava |
Municipalities | 5 |
First mention | 2nd century AD |
Liberation from Ottomans | 11 January 1878 |
সরকার | |
• Mayor | Dragana Sotirovski (SNS) |
• Ruling parties | SNS/SPS/SRS |
• Legislature | City Assembly of Niš |
আয়তন[২] | |
• শহর | ৫৯৬.৭৩ বর্গকিমি (২৩০.৪০ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৬৬.৭৭ বর্গকিমি (১০৩.০০ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২,৭২৯ বর্গকিমি (১,০৫৪ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | 51st in Serbia |
উচ্চতা | ১৯৫ মিটার (৬৪০ ফুট) |
জনসংখ্যা (2011)[৩] | |
• শহর | ২,৬০,২৩৭ |
• ক্রম | 3rd in Serbia |
• জনঘনত্ব | ৪৩১.১/বর্গকিমি (১,১১৭/বর্গমাইল) |
• মূল শহর | ১,৮২,৭৯৭ |
বিশেষণ | Nišlijka (female) Nišlija (male) |
সময় অঞ্চল | CET (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | CEST (ইউটিসি+২) |
Postal code | 18000 |
এলাকা কোড | +381(0)18 |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | SRB |
Car plates | NI |
Patron Saint | Procopius of Scythopolis[৪] |
ওয়েবসাইট | www |
নিশ (Niš; সার্বীয় সিরিলীয়: Ниш; ) দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের রাষ্ট্র সার্বিয়ার একটি শহর, যা সার্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ভাগে নিশাভা নদীর তীরে অবস্থিত। মোরাভা-ভার্দার নদী ও নিশাভা নদী - এই যে দুইটি প্রধান সংযোগপথ মধ্য ইউরোপ ও এজীয় অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে, নিশ সেই দুই পথের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। মূল শহরে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ও বৃহত্তর শহরে ২ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি অধিবাসীবিশিষ্ট নিশ সার্বিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি দেশটির নিশাভা জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র।
নিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল পরিবহন কেন্দ্র। উত্তর সার্বিয়া ও বেলগ্রেড থেকে আগত মূল রেলপথটি নিশ শহরে এসে বিভক্ত হয়ে গ্রিসের তেসালোনিকি ও বুলগেরিয়ার সফিয়া শহরের দিকে চলে গেছে। এটি অনেকগুলি সড়কপথেরও সঙ্গমস্থল। এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে, যার নাম নিশের মহান কোনস্তানতিন বিমানবন্দর। এখানে রেলগাড়ি মেরামতের সুবন্দোবস্ত আছে। এটি সার্বিয়ার একটি অগ্রগণ্য শিল্পশহর; এখানে বস্ত্র, চামড়াজাত দ্রব্য, তামাকজাত দ্রব্য, ইলেকট্রনীয় দ্রব্য এবং অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদন করা হয়। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত নিশ বিশ্ববিদ্যালয় এখানে অবস্থিত। শহরটি খ্রিস্টধর্মের সনাতনপন্থী (অর্থোডক্স) মণ্ডলীর একটি ধর্মপ্রদেশের কেন্দ্র। এখানে সার্বীয় সেনাবাহিনীর একটি বিভাগ (কমান্ড) অবস্থান করছে।
২য় শতাব্দীতে প্রকাশিত টলেমির ভূগোল নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাচীন রোমান যুগে এখানে নাইসুস নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ লোকালয় ছিল, এবং তারও আগে এখানে সম্ভবত একটি কেল্টীয় বসতি ছিল। নিশাভা নদীর ডান তীরে যে পুরাতন দুর্গটি আছে, সেটি এই প্রাচীন রোমান লোকালয়টিতে নির্মিত হয়েছিল। ঐ দুর্গের প্রাচীরের নিচে রোমান সম্রাট ২য় ক্লাউদিউস গথ জাতির এক সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন।[৫] এখানেই ৪র্থ শতকের রোমান সম্রাট কোনস্তানতিন জন্মগ্রহণ করেন (আনুমানিক ২৮০ খ্রিস্টাব্দে)। এছাড়া ৩য় কোনস্তানতিউস, কোনস্তানস, ভেত্রানিও, ইউলিয়ান, ১ম ভালেন্তিনিয়ান, ভালেন্স ও ১ম ইউস্তিন নামক রোমান সম্রাটরাও হয় এখানে জন্ম নেন বা এটিকে তাদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন।[৬]
রোমানদের পতনের পর এটি পর্যায়ক্রমে হুন (৫ম শতাব্দী), বুলগার (৯ম শতাব্দী), মজিয়ার (হাঙ্গেরীয়, ১১শ শতাব্দী), বাইজেন্টীয় (১১৭৩), সার্বীয় (১২শ শতাব্দীর শেষভাগে) ও উসমানীয় তুর্কিদের (১৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ) করায়ত্ত হয়। এরপর প্রায় ৫ শতাব্দী ধরে, বিশেষ করে ১৫শ শতক থেকে ১৮৭৮ সাল অবধি প্রায় পুরোটা জুড়ে শহরটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল ও ইস্তাম্বুল থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। ১৮০৯ সালে সার্বীয়রা প্রথম বিদ্রোহ করে কিন্তু জেগারের যুদ্ধে তুর্কিদের কাছে পরাজিত হয়। ১৮৭৭ সালে শহরটি সার্বীয় সেনাবাহিনী বিজয় করে নেয় ও ১৮৭৮ সালে বার্লিনের শান্তিচুক্তিতে এটিকে সার্বিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯০১ সাল পর্যন্ত নিশ সার্বিয়ার রাজধানী ছিল। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়েও শহরটি সাময়িকভাবে সার্বিয়ার রাজধানী ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানরা শহরটি দখল করেছিল। যুদ্ধে বোমাবর্ষণে বহু ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধোত্তর নির্মাণকাজে শহরের তুর্কি-বাইজেন্টীয় শৈলীর ভবনগুলির সিংহভাগ হারিয়ে যায়।
নিশে ৫ম শতাব্দীতে নির্মিত একটি বাইজেন্টীয় ভূ-গর্ভস্থ গুপ্তকক্ষ আছে। এখানে একটি জাতীয় জাদুঘর ও একটি জনস্বাস্থ্য জাদুঘর আছে। মেদিয়ানা জাদুঘরে সংরক্ষিত স্থানীয় পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলির প্রদর্শনী আছে। আরো আছে ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নাট্যশালা। শহরের ঠিক পূর্বে নিশকা বানিয়া স্পা (ঔষধি গুণযুক্ত খনিজ পানির ঝর্ণা) অবস্থিত, যেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। ২০১৩ সালে নিশ শহরে সম্রাট কোনস্তানতিনের খ্রিস্টধর্মকে সুরক্ষাদানকারী মিলান অধ্যাদেশটির ১৭০০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।[৭]