ওলিপুরী ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের অন্তর্গত হবিগঞ্জ জেলার ওলীপুর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা আব্দুর রহীম।[১১][১২]
বড় বোন গুলেনূরের নিকট তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। তাঁর নিকট থেকেই আরবি ও বাংলা বর্ণের পরিচিতি লাভ করেন। এরপর দু’বছর বাড়ির পাশে শরীফাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
অতঃপর কিশোরগঞ্জেরজামিয়া ইমদাদিয়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে জামিয়া সাদিয়া রাইধরে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। এখানে তাঁর উস্তাদ ছিলেন মাওলানা মুখলিসুর রহমান। এই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে তিনি জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পাশ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা জেলার মিরপুরেরজামিয়া হুসাইনিয়া আরযাবাদ থেকে তিনি তাফসীরের উপর বিশেষ ডিগ্রী নেন।[১২]
আল্লামা ওলীপুরী শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে, তিনি কয়েক বছর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অধীনে শাহপুর হুসাইনিয়া মাদ্রাসায়হাদিস এবং তাফসীর সহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাদান করেন। এরপর তিনি জামিয়া সাদিয়া রাইধর মাদ্রাসায় আট বছর শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অবস্থিত দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা মনতলার প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। আল্লামা ওলীপুরী ২০০০ সালে শায়েস্তাগঞ্জে মাদ্রাসা নূরে মদিনা প্রতিষ্ঠা করেন, বর্তমানে মাদ্রাসার প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ওলীপুরী দেশে[৮][১৩][১৪][১৫] এবং বিদেশে একজন জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন[১৬][১৭]; এবং জনসমক্ষে বক্তৃতা দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ ভ্রমণ করেছে।
আল্লামা ওলিপুরী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মুখপাত্র হিসেবে কয়েকটি মুনাযারায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রতিটি মুনাযারায় কুরআন ও হাদীসের দলীল দিয়ে আহলে সুন্নাতের বিশুদ্ধ আকিদাসমূহ প্রমাণ করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ[১৮][১৯]
আল্লামা ওলীপুরীর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তৃতাগুলো “মাওয়ায়েজে ওলীপুরী”[২০],“নির্বাচিত বয়ান সমগ্র”[২১] ইত্যাদি নামে বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। তার মৌলিক রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ[২২]
↑শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ৭৮৩–৭৮৪।