নেক্সাস ৭ | |
---|---|
উন্নয়নকারী | গুগল, আসুস |
প্রস্তুতকারক | আসুস |
পণ্য পরিবার | গুগল নেক্সাস |
ধরন | ট্যাবলেট কম্পিউটার |
প্রজন্ম | ১ম প্রজন্ম |
মুক্তির তারিখ | ১৩ জুলাই ২০১২ | (অস্ট্রেলিয়া এবং ইউনাইটেড স্টেটস)
বন্ধ করা হয় | ৮ জিবি: অক্টোবর ২০১২ সব মডেল: ২৪ জুলাই ২০১৩ |
বিক্রির পরিমাণ | সাত মিলিয়ন (জুলাই ২০১৩ পর্যন্ত) |
অপারেটিং সিস্টেম | এনড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম) ৪.১/"এনড্রয়েড জেলিবিন (আপগ্রেড করা যাবে এনড্রয়েড ললিপপ) |
সিপিইউ | ১.২ গিগাহার্টজ কুয়াড-কোর প্রসেসর (১.৩ গিগাহার্টজ সিঙ্গেল-কোর মোড) |
সধারণ ক্ষমতা | ৮,১৬ ও ৩ জিবি |
স্মৃতি | ১ জিবি র্যাম ডিডিআর৩এল |
প্রদর্শন | ৭ ইঞ্চি ৮ঃ৫ এস্পেক্ট রশিও |
গ্রাফিক্স | ৪১৬মেগাহার্টজ টুয়েল্ভ কোর এনভিডিয়া |
শব্দ | এমপিথ্রি, ডব্লিউএভি, ইএএসি+, ডব্লিউএমএ |
ইনপুট | জিপিএস, মাইক্রোফোন,জাইরোস্কোপ, এক্সিলারেটর, ম্যাগনেটোমিটার |
ক্যামেরা | ১.২ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং এইচডি (৭২০ পি) রেজুলেশন |
কানেক্টিভিটি | ৩.৫ মিমি হ্যাডফোন জ্যাক, ব্লুটুথ ৩.০, ওয়াই-ফাই, এনএফসি, ৩জি (এইচএসপিএ+) |
অনলাইন সেবা | গুগল প্লে |
উত্তরসূরী | নেক্সাস ৭ (২০১৩) |
ওয়েবসাইট | www |
প্রথম প্রজন্মের নেক্সাস ৭ একটি মিনি ট্যাবলেট কম্পিউটার যা গুগল ও আসুস দ্বারা নির্মিত। এটা এনড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম) দ্বারা পরিচালিত। এটি গুগল নেক্সাস সিরিজের প্রথম ট্যাবলেট ফোন। এতে রয়েছে ৭ ইঞ্চি (১৮০ মিমি) ডিসপ্লে, এনভিডিয়া ট্যাগরা ৩ কুয়াড-কোর চিপ, ১ জিবি র্যাম, ওয়াই-ফাই, নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন সংযোগ, ৮,১৬ ও ৩ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ।
প্রথমবারের মত বাজারে নিজস্ব ট্যাবলেট আনার ঘোষণা দেই গুগল। `নেক্সাস ৭' নামের এই ট্যাবলেটটির নির্মাতা তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান আসুস। নতুন এই ট্যাবলেটটির সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ `জেলি বিন' ও উন্মুক্ত করছে গুগল। ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্র্যান্সিসকোতে গুগল আই/ও সম্মেলনে এই ট্যাবলেটটির ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ৮ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার ৭ ইঞ্চি মাপের নেক্সাস ৭ বিক্রি করা হবে ১৯৯ ডলারে।
"We've [built] the biggest ebook store and we've got movies in Google Play. We've added TV and magazines. So we really wanted the perfect device to consume all of this and thought the 7-inch tablet was a good size."
—প্যাট্রিক ব্র্যাডি, গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অংশীদার প্রকৌশলের পরিচালক[১]
নেক্সাস ৭ আন্তর্জাতিক বাজারে আসবে এ বছরের জুলাই মাস থেকে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বাজারে একই দামে আমাজনের তৈরি কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নেক্সাস ৭। নেক্সাস ট্যাবলেটে রয়েছে কোয়াড কোর সিপিইউ এবং ১২ কোরের জিপিইউ, যা দ্রুত গতিতে ট্যাবলেটের কাজ করবে ও উন্নত ছবি দেখাবে। ডিভাইসটিতে গুগল ক্রোম ব্রাউজার পূর্বনির্ধারিত হিসেবে থাকবে।
ট্যাবটির সমচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য দিক এর মূল্য হলেও সার্বিক ভাবে এটি একটি মাস্টারপিস। ডিজাইনের দিক দিয়ে এটা সাধারন হাইএন্ড ট্যাবলেটের সমকক্ষের। এর পিছনে আছে রাবারাইজড ব্যাক প্যানেল। যা খুবই সুন্দরভাবে টেক্সার করা। এমনকি রাবারের হলেও কেউ কেউ সেটাকে লেদারের বলে ভুল করে বসতে পারে। ব্যাকপ্যানেলের উপরের দিকে আছে বেশ বড় নেক্সাস-এর লোগো আর একেবারেই নিচে আছে ছোট করে আসুস এর লোগো। লোগোটির নিচেই আছে বেশ লম্বা আকৃতির একটি স্পিকার। ডিভাইসটির চার পাশেই আছে একটি সিলভার রিং যা মাঝে মাঝে প্লাস্টিকের মতও মনে হতে পারে। কিন্তু এর শক্ত এবং মজবুত ডিজাইন একে দারুণ ডিভাইসে পরিনত করেছে।
নেক্সাস ৭ এ আছে এনভিডিয়া ট্যাগরা ৩ কোয়াড কোর প্রসেসর যার ক্লক স্পীড ১.২ গিগাহার্টজ। সাথে আছে ১ গিগাবাইট র্যাম এবং ১৬/৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ । তবে কোন বহিস্ত স্টোরেজ সামর্থ্য নেই যা এর অন্যতম প্রধান একটি দূর্বলতা। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করার একমাত্র উপায় হল Wifi (802.11 b/g/n) অর্থাৎ সিম কার্ড ব্যবহারের কোন সুযোগও নেই। আর ডিভাইসটিতে আরো আছে ব্লুটুথ, জিপিএস, মাইক্রোফোন, জাইরোস্কোপ, এক্সিলারেটর, ম্যাগনেটোমিটার।
নেক্সাস ৭ এর দুইটি মডেলই একই সাথে প্রকাশ পায়। নেক্সাস ৭ এর ৮ জিবি স্টোরেজ সংস্করণের মূল্য ধার্য করা হয় ১৯৯ ডলার বা ১৫৯ ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ১৬ জিবির স্টোরেজ সংস্করণের মুল্য ২৪৯ ডলার বা ১৯৯ ব্রিটিশ পাউন্ড ধার্য করা হয়। পরবর্তীতে নেক্সাস ৭ এর ৮ জিবি সংস্করণ বন্ধ করা হয়ে, ১৬ জিবি সংস্করণের মুল্য কমিয়ে ১৯৯ ডলারে আনা হয়এবং ৩২ জিবি সংস্করণ যোগ করা হয় যার মূল্য ঠিক করা হয় ২৪৯ ডলার। নেক্সাস ৭ এর সুলভ মূল্য কিন্ডের ফায়ারের সাথে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। এছাড়াও বিশ্লেষকরা একে আইপ্যাডের চেয়েও এগিয়ে রেখেছিলেন। এনভিডিয়ার মাইক রেফিল্ড মনে করেছিলেন কেউই এতো কম মূল্যে এতো অসাধারণ ডিভাইস তৈরি করতে পারেন নি।
নেক্সাস ৭ সকল সমালোচকদের কাছ থেকে অনুকূল মতামত পায়। এটি তার উচ্চ কর্মক্ষমতার কারণে সকল প্রযুক্তি পর্যালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পর্যালোচকরা এর কমতিও চিহ্নিত করে। সেগুলো হলো বাহ্যিক স্টোরেজের অনুপস্থিতি, প্রাথমিক পর্যায়ে সেলুলার কানেক্টিভিটি-এর অনুপস্থিতি, পশ্চাৎ ক্যামেরার অনুপস্থিতি, ডিসপ্লেতে কন্ট্রাস্টের ঘাটতি ইত্যাদি।