নেপাল অধিরাজ্য

নেপাল অধিরাজ্য
১৭৬৮–২০০৮
নেপালের জাতীয় পতাকা
Pre-1962 Flag of Nepal
উপরের: পতাকা (১৯৬২–২০০৮)
নিচে: পতাকা (১৯৬২ পূর্বে)
নেপালের জাতীয় প্রতীক (১৯৬২–২০০৮)
জাতীয় প্রতীক
(১৯৬২–২০০৮)
নীতিবাক্য: জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী (সংস্কৃত)
মা এবং মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও উঁচু
জাতীয় সঙ্গীত: ১৯৬২–২০০৬:
"শ্রীমান গম্ভীর নেপালি"

২০০৭–২০০৮:
"সয়ৌঁ থুংগা ফূলকা হামী"

১৮০৮ সালে নেপাল অধিরাজ্যর মানচিত্র
১৮০৮ সালে নেপাল অধিরাজ্যর মানচিত্র
২০০৮ সালে নেপাল অধিরাজ্যের অঞ্চল
২০০৮ সালে নেপাল অধিরাজ্যের অঞ্চল
অবস্থা
  • সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
  • ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্য (১৮১৬–১৮৯২)[][]
রাজধানীকাঠমান্ডু
২৭°৪২′ উত্তর ৮৫°১৯′ পূর্ব / ২৭.৭০০° উত্তর ৮৫.৩১৭° পূর্ব / 27.700; 85.317
প্রচলিত ভাষানেপালি (সরকারি)
ধর্ম
হিন্দু ধর্ম (সরকারি)
জাতীয়তাসূচক বিশেষণনেপালি
সরকারএককেন্দ্রিক পূর্ণ রাজতন্ত্র
(১৭৬৮–১৯৯০; ২০০২; ২০০৫–২০০৬)
  • সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে
    (১৭৭৬–১৭৭৯; ১৭৮৫–১৮০৪; ১৮০৬–১৮৩৭; ১৮৩৮–১৮৪৬)
  • রাণা শাসনের অধীনে
    (১৮৪৬–১৯৫১)
  • নির্দলীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অধীনে
    (১৯৬১-১৯৯০)

এককেন্দ্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
(১৯৯০–২০০২; ২০০২–২০০৫; ২০০৬–২০০৮)

  • অস্থায়ী সরকারের অধীনে
    (২০০৭–২০০৮)
মহারাজধিরাজ 
• ১৭৬৮–১৭৭৫
পৃথ্বীনারায়ণ শাহ (প্রথম)
• ২০০১–২০০৮
জ্ঞানেন্দ্র শাহ (শেষ)
প্রধানমন্ত্রী 
• ১৭৯৯–১৮০৪
দামোদর পাঁডে (প্রখম)
• ২০০৬–২০০৮
গিরিজা প্রসাদ কোইরালা (শেষ)
আইন-সভা
মহাসভা
(১৯৫৯-১৯৬১)
রাষ্ট্রীয় সভা
(১৯৯০-২০০২)
প্রতিনিধি সভা
(১৯৫১-১৯৬১; ১৯৯০-১৯৯২)
ইতিহাস 
• পৃথ্বীনারায়ণ শাহের অধীনে নেপালের একীকরণ
২৫ সেপ্টেম্বর ১৭৬৮[]
১৮০৬–১৮৩৭ এবং
১৮৪৩–১৮৪৫
১৭৯৯–১৮০৪ এবং
১৮৩৭–১৮৪০
১৮৪৬–১৯৫১
১৯৬১–১৯৯০
১৯৯০–২০০৮
২৭ মে ২০০৮ ২০০৮
মুদ্রা
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
১৭৬৮:
গোরখা রাজ্য
১৭৬৯:
মল্ল বংশ

চৌবিসী রাজ্য
১৭৭৪:
কিরাঁত রাজ্য
১৭৭৬:
সিক্কিম রাজ্য
১৭৮০-:
বাইসে রাজ্য
১৭৯১:
ডোটী রাজ্য
কুমাউঁ
১৮০৪:
গঢওয়াল অধিরাজ্য
১৮১৬:
গঢওয়াল অধিরাজ্য
সিক্কিম অধিরাজ্য
২০০৮:
সংঘীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল
বর্তমানে যার অংশ   নেপাল
 ভারত

নেপাল অধিরাজ্য (নেপালি: नेपाल अधिराज्य) ছিল দক্ষিণ এশিয়ার একটি হিন্দু রাজ্য, যা ১৭৬৮ সালে গোর্খা রাজ্যের সম্প্রসারণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল৷ এটি ২০০৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল যখন রাজ্যটি সংঘীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল হয়ে ওঠে। এটি গোর্খা সাম্রাজ্য (নেপালি: गोरखा अधिराज्य) বা কখনও কখনও অসল হিন্দুস্তান (নেপালি: असल हिन्दुस्तान) নামেও পরিচিত ছিল৷ গোর্খা রাজা পৃথ্বীনারায়ণ শাহ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই রাজ্য ২০০৮ সালে নেপালি রাজতন্ত্র বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ২৪০ বছর ধরে বিদ্যমান ছিল। এই সময়কালে, নেপাল আনুষ্ঠানিকভাবে শাহ রাজবংশের শাসনের অধীনে ছিল, যা রাজ্যের অস্তিত্বের সময় বিভিন্ন মাত্রার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল।

১৭৯২ সালে যুবরাজ বাহাদুর শাহের নেতৃত্বে নেপালি সেনাবাহিনী তিব্বত আক্রমণ করে দিগারচা লুট করে। এরপর দালাই লামা ও শীর্ষ চীনা কর্মকর্তারা চীনা প্রশাসনকে সামরিক সহায়তার জন্য অবহিত করেন। ফুতাঙ্গানের নেতৃত্বে চীনা ও তিব্বতীয় সেনাবাহিনী নেপাল আক্রমণ করে কিন্তু নুয়াকোটে ব্যর্থ হয় এবং কথাবার্তায় বসে। চার কাজীর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী মুলকাজী দামোদর পাঁডেকে বাহাদুর শাহের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। মুলকাজি বিক্রম সিং বস্ন্যাত রাজা গীর্বাণযুদ্ধ বিক্রম শাহকে রক্ষা করার এবং প্রাক্তন রাজা রণ বাহাদুর শাহকে নেপাল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। ১৭৯২ সালের মার্চ ৩ এর দিন প্রাক্তন রাজা ফিরে এসে মুখতিয়ার (প্রধানমন্ত্রী) হন এবং দামোদর পাঁডেকে থানকোটে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮৬২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রণ বাহাদুর শাহের মৃত্যুর পর, ভণ্ডারখাল পর্বের মাধ্যমে মুখতিয়ার ভীমসেন থাপার উত্থানকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যিনি ১৮৬২ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত নেপালের মুখতিয়ার হয়েছিলেন।

ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন সম্প্রসারণের ফলে ইংরেজ-নেপাল যুদ্ধ (১ নভেম্বর ১৮১৪ – ৪ মার্চ ১৮১৬) সংঘটিত হয়, যার ফলে নেপাল পরাজিত হয়। সুগৌলি চুক্তির অধীনে, রাজ্যটি তার অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা বজায় রাখে, কিন্তু নেপাল তার অঞ্চল হারায়। মেচি ও মহাকালী নদীকে নেপাল ভূখণ্ডের সীমানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সুগৌলি চুক্তির আগে রাজ্যের অঞ্চলকে কখনও কখনও বিশাল নেপাল বলা হয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুখতিয়ার মাথাবর সিং থাপার মৃত্যু পর থাপার আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে কোত পর্বের পটভূমি তৈরি করেছিল। এর ফলে খস (ক্ষত্রি) রাণা বংশের উত্থান ঘটে এবং বংশগত ১৮৪৩ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত পরবর্তী শতাব্দীর জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ রাণাদের পরিবারে পরিণত হয়। রাণা বংশ এই বংশের প্রথম শাসক জঙ্গবাহাদুর রাণা দ্বারা শুরু হয়েছিল, যিনি রাজাকেও নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। রাণা শাসনের সময়, স্বৈরতন্ত্র, অর্থনৈতিক শোষণ এবং ধর্মীয় নিপীড়ন ঘটেছে বলে মনে করা হয়।

১৯৫০ সালের জুলাই মাসে স্বাধীন ভারত নেপালের সাথে একটি বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে উভয় দেশ একে অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার পাশাপাশি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়। একই বছরে ভারত, রাজা ত্রিভুবনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যাকে রাণা প্রধানমন্ত্রী মোহন শমশের জঙ্গবাহাদুর রাণাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সহায়তা করেছিল। মূলত নেপালি কংগ্রেসের সমন্বয়ে গঠিত একটি নতুন সরকারের জন্য ভারতীয় সমর্থনের সাথে, রাজা ত্রিভুবন ১৯৫১ সালে রাণা শাসনের অবসান ঘটান। সাত বছরের বিপ্লবের মাধ্যমে রাণা শাসনের অবসান ঘটায় এবং নতুন সংবিধান ঘোষণার পরে রাজা ত্রিভুবনের রাজতন্ত্রের কাছে ক্ষমতা ফিরে যায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "History of Kingdom of Nepal"। ১২ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "History of Nepal: A Sovereign Kingdom"Official website of Nepal Army। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Subba, Sanghamitra (২০ ডিসেম্বর ২০১৯)। "A future written in the stars"Nepali Times (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২১