দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নেপালে শিশুশ্রমের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি।[১] ২০০৮ সালে লেবার ফোর্সের জরিপ অনুযায়ী নেপালে ৮৬.২% ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতো এবং ১৩.৮% শিশু শুধুমাত্র কাজ করতো।[২]
বছর | মোট | ছেলে | মেয়ে | বসবাসের এলাকা | |
---|---|---|---|---|---|
শহর | গ্রামীণ | ||||
১৯৯৬[৩] | ৪১.৭ | ৩৬.১ | ৪৭.১ | ২৩.০ | ৪৩.৪ |
২০০৪[৪] | ৩২.০ | ৩০.২ | ৩২.৫ | ১২.৪ | ৩৩.৯ |
২০০৮[২] | ৩৩.৯ | ৩০.২ | ৩৭.৪ | ১৪.৪ | ৩৬.৭ |
২০১০[১] | ৪৪.০ | ৪১.০ | 48.0 | ৩১.০ | ৪৬.০ |
ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) এর মতে "শিশুশ্রম এমন কাজ যা শিশুদের শৈশব, তাদের সম্ভাবনা এবং তাদের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে এবং এটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর"।[৫] শিশুশ্রমের শিশুদের স্কুলে পড়াতে হস্তক্ষেপ করে, শিশুদেরকে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে অথবা শিশুদের মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন করে।[৫] আইএলও-র শিশুশ্রমের সংজ্ঞায় "স্কুলের সময়ের বাইরে করা কাজ বা পরিবারকে দেওয়া সহায়তা অন্তর্ভুক্ত নয়।"[৫] তাদের যুক্তি হল এই ক্রিয়াকলাপগুলি শিশুর বিকাশের জন্য উপকারী। [৫] ইউনিসেফ শিশুশ্রমকে সংজ্ঞায়িত করে যে "৫ থেকে ১৪ বছরের শিশু অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বা গৃহকর্মে জড়িত হওয়াই শিশুশ্রম", যদিও বিভিন্ন দেশে শিশুশ্রমকে বিভিন্ন বয়স হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৬]
এনএলএফএস-এর জরীপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৮৮.৭% শ্রমজীবী শিশুদের কৃষি খাতে নিযুক্ত করা হচ্ছে।[৭] ১.৪% শ্রমজীবী শিশু কাজ করে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে, ০.৩% কনস্ট্রাকশন, ১.৬% খুচার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান, ১% হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে, ০.১% গৃহকর্মী, এবং ৬.৯% অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।[৭] প্রায় ৭৮.১% শিশু কৃষি খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা জন্য। [৭]
এডমন্ডসের মতে, ২০০৬ সালে শ্রমশক্তির অধিকাংশ শিশু কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করে।[৮] তারা আরও রিপোর্ট করে যে ৬-১৫ বছর বয়সী শিশুরা সপ্তাহে ৯.২ ঘন্টা কৃষি শিল্পে কাজ করে এবং বাকি সময় অন্যন্য কাজে ব্যয় করে।[৮] কৃষি কাজে ব্যবহ্যিত ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার কারণে কৃষি খাত শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।[৮] ফাফচ্যাম্পস ২০০৬ সালে আরও জানায় যে নেপালে একটি শিশু তার বাবা-মা যদি কৃষি শ্রমিক হয় এবং তারা যদি শহুরে কেন্দ্র থেকে ৩-৭ ঘণ্টা দূরে থাকে তাহলে শিশুর কৃষি খাতে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এই শিশুরা কৃষি ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করার সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শ্রমশক্তি ব্যয় করে, তবুও তারা প্রায়ই অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় হিসাবে জাতীয় পরিসংখ্যানগুলিতে গণনা করা হয় না।[৯] এই সব বলার সাথে সাথে, আবদুলাই ১৯৯৯ সালে এক প্রতিবেদনে বলেন যে কৃষি ক্ষেত্রে কর্মরত শিশুরা নেপালের কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলে না।[১০]