নেপালের ভিসা নীতি অপেক্ষাকৃত উদার, যা সকল দেশের নাগরিকদের আগমনের সময় একটি পর্যটক ভিসা প্রাপ্তির অনুমতি দিয়ে থাকে।
জানুয়ারিতে ২০১৪ সালে নেপাল তাদের দেশের জন্য অনলাইন ভিসা আবেদন পদ্ধতি চালু করেছে।[১][২]
সকল পর্যটকদের এক বছরে সর্বোচ্চ ১৫০ দিনের জন্য নেপালে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।[৩]
নেপালে অনুপ্রবেশের জন্য ভারত এর নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন হয় না এবং নেপালি নাগরিকদের মতোই কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে, কারণ ইন্দো-নেপাল শান্তি ও বন্ধুত্বের চুক্তি ১৯৫০ মোতাবেক একটি পারস্পরিক ভিত্তিতে উভয় দেশের জনগণের স্বাধীন চলাচলের স্বীকৃতি দিয়েছে। নেপালে প্রবেশের জন্য ভারতীয় নাগরিকরা নিচের যেকোনো একটি গ্রহণযোগ্য নথিপত্র ব্যবহার করতে পারে:[৪]
নিম্নোক্ত রাষ্ট্রসমূহের নাগরিকদের এবং শরণার্থী ভ্রমণ পত্রধারীদের বাদ দিয়ে, যেকোনও বিদেশী জাতীয়তার নাগরিকরা আগমনের পর ভ্রমণ ভিসা পেতে পারেন। ১৫, ৩০ অথবা ৯০ দিন সময়ে থাকার জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা পাওয়া যেতে পারে। অস্থায়ী পাসপোর্টধারীরা এরজন্য যোগ্য না, যদিনা তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত একটি অস্থায়ী পাসপোর্ট না পান।[৩]
নেপালে আগমনের পূর্বে নিম্নলিখিত রাষ্ট্রের নাগরিকদের আগাম ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে:[৪]
সার্ক সদস্যভুক্ত দেশগুলির নাগরিকরা ৩০ দিনের জন্য কোনো খরচ ছাড়াই একটি ভ্রমণ ভিসা বিনামূল্যে পেতে পারেন। ঐ দেশগুলি হল:[৫]
১ জানুয়ারী ২০১৬ সাল থেকে, নিম্নলিখিত বিচারাধীন কর্তৃক জারি করা পাসপোর্টধারীরা তাদের ভিসা ফি মৌকুফ করতে পারে যদি তারা পর্যটক হিসেবে ভ্রমণে আসে। বিচারাধীন দেশসমূহ হল:[৬][৭]
কূটনৈতিক বা নিম্নলিখিত দেশগুলির কর্মজীবী পাসপোর্টধারীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না।[৩]
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নেপালে বেশিরভাগ ভ্রমণকারীরা নিম্নোক্ত দেশগুলি (ভারত বাদে) থেকে এসেছে:[৮]
দেশ | ২০১৬ | ২০১৫ |
---|---|---|
চীন | ৬৬৯৮৪ | ১২৩৮০৫ |
শ্রীলঙ্কা | ৪৪৩৬৭ | ৩৭৫৪৬ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪২৬৮৭ | ৪৯৮৩০ |
থাইল্যান্ড | ৩০৯৫৩ | ৩৩৪২২ |
যুক্তরাজ্য | ২৯৭৩০ | ৩৬৭৫৯ |
অস্ট্রেলিয়া | ১৮৬১৯ | ২৪৫১৬ |
দক্ষিণ কোরিয়া | ১৮১১২ | ২৩২০৫ |
জাপান | ১৭৬১৩ | ২৫৮২৯ |
ফ্রান্স | ১৬৪০৫ | ২৪০৯৭ |
জার্মানি | ১৬৪০৫ | ১৮০২০ |
মোট | ৫৩৮৯৭০ | ৭৯০১১৮ |