নেফেলি | |
---|---|
গ্রিক পুরাণের, নেফেলি (Nephele) ( /ˈnɛfəliː/ ; গ্রিক: Νεφέλη, nephos "মেঘ" থেকে;[১] ল্যাতিনীয় ন্যুবস ) ছিলেন একজন মেঘপরী, যিনি ফ্রিক্সাস ও হেলি এর গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন।[২]
গ্রীক পুরাণে রয়েছে যে নেফেলি হলেন একজন মেঘ, জিউস যাকে তার অতিথি হিসেবে ভোজনের সময় হেরার প্রতি কামবাসনা প্রদর্শনের পর ইক্সায়নের সততার পরীক্ষা নেবার জন্য হেরার মত করে তৈরি করেছিলেন। ইক্সায়ন সেই পরীক্ষায় বিফল হন, তিনি নেফেলির সাথে সঙ্গম করেন এবং সেন্টরদের (ইম্ব্রোস[৩] বা সেন্টরোস[৪] এর মাধ্যমে) জন্ম দেন।
নেফেলি অ্যাথামাসকে বিবাহ করেছিলেন, এবং ফ্রিক্সাস ও হেলি নামক দুই যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এরপর অ্যাথামাস ইনোর জন্য নেফেলিকে ত্যাগ করেন। ফ্রিক্সাস এবং হেলিকে তাদের সৎ মা ইনো ঘৃণা করতেন। ইনো এই যমজদের হাত থেকে রেহাই পেতে একটি ষড়যন্ত্র করে নগরের সমস্ত ফসলের বীজ পুড়িয়ে ফেলেন, যাতে সেগুলি থেকে ফসল না তৈরি হতে পারে।[৫] দুর্ভিক্ষে ভীত হয়ে স্থানীয় কৃষকরা নিকটবর্তী ভবিষ্যৎ-কথকের সহায়তা চেয়েছিলেন। ইনো সেই ভবিষ্যৎ-কথকের কাছে প্রেরিত লোকদের ঘুষ দিয়ে বলে, তারা যেন সবাইকে জানায় ভবিষ্যৎ-কথক বলেছে নগরের সংকট কাটাতে ফ্রিক্সাসের বলি দিতে হবে। অ্যাথামাস অনিচ্ছায় রাজি হন। তবে, ফ্রিক্সাসকে হত্যা করার আগে, তার মা নেফিলি একটি স্বর্ণের ভেড়া পাঠায় আর তাতে চড়ে ফ্রিক্সাস ও হেলি পালিয়ে যায়।[৬] তাদের যাত্রা শুরুর স্থলটি বিভিন্ন স্থানে থেসালির হ্যালোস বা বিওটিয়ার অর্কোমেনাস হিসেবে নথিভূক্ত হয়েছে।
ফ্রিক্সাস ও হেলিকে বলা হয়েছিল উড্ডয়নের সময় নিচের দিকে না তাকাতে। তারপরো হেলি নিচের দিকে তাকায় ও ভয় পেয়ে ভেড়া থেকে পড়ে গিয়ে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী প্রণালীতে ডুবে যায় ও মারা যায়, প্রণালীটির নামকরণ করা হয়েছিল তার নামের সাথে মিলিয়ে হেলিসপন্ট, যার অর্থ হেলির সাগর (এখন দারদানেলিস নামে পরিচিত)। ফ্রিক্সাস কলচিসে পৌঁছে যায় যেখানে সেখানকার রাজা ও সূর্যদেব হেলিয়সের পুত্র ঈটিজ তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান এবং তার সাথে নিজের কন্য ক্যালসিওপির বিবাহ দেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ফ্রিক্সাস ভেড়াটিকে দেবতা জিউসের কাছে উৎসর্গ করেন এবং ঈটিজকে এর স্বর্ণের পশম উপহার দেন। ঈটিজ স্বর্ণের পশমটিকে তার রাজ্যে অবস্থিত দেবতা আরেসের পবিত্র কুঞ্জবনের একটি বৃক্ষে ঝুলিয়ে রাখেন, যা একটি নির্ঘুম ড্রাগন পাহাড়া দেয়।[৭] পরবর্তিতে জ্যাসন ও তার আর্গোনটরা এই স্বর্ণের পশম উদ্ধার করেন।