নেফ্রাইটিস | |
---|---|
বর্ধিত বৃক্ক | |
বিশেষত্ব | বৃক্কশল্যবিদ্যা, nephrology |
প্রকারভেদ | গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস[১] এবং ইন্টারস্টিসিয়াল নেফ্রাইটিস[২] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | আল্ট্রাসাউন্ড , রঞ্জণ রশ্মি[৩] |
চিকিৎসা | ধরনের উপর নির্ভর করে |
নেফ্রাইটিস হল বৃক্কের প্রদাহ যার কারণ হিসেবে গ্লোমেরুলি, বৃক্কের নালিকা বা গ্লোমেরুলি এবং বৃক্কের নালিকার চারপাশের টিস্যুগুলো জড়িত থাকতে পারে। [৪]
নেফ্রাইটিস প্রায়শই সংক্রমণ এবং বিষক্রিয়াজনিত কারণে ঘটে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি স্ব-অণাক্রম ব্যাধিগুলোর কারণে হয় যা বৃক্কের মতো প্রধান অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। [৫]
নেফ্রাইটিস প্রদাহজনক কোষের প্রসারণের সাথে গ্লোমেরুলার কাঠামোকে বিঘ্নিত করে গ্লোমেরুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। [১০] গ্লোমেরুলার রক্ত প্রবাহ হ্রাসের ফলে প্রস্রাবের আউটপুটকে হ্রাস করতে পারে যাকে অলিগুরিয়া বলে। [১১] এবং বর্জ্য পণ্য ইউরিয়া ধরে রাখে। [১২] ফলস্বরূপ প্রস্রাবে রক্ত আসতে পারে যাকে হিমাটুরিয়া বলে। [১৩]
বৃক্কের রক্ত প্রবাহ কমে গেলে রেনিন-অ্যাঞ্জিওটেনসিন সিস্টেম অ্যালডোস্টেরন সিস্টেম (আরএএএস) সক্রিয় করে এবং উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি করে । [১৪] এতে বৃক্ক ফুলে যাওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিন বেরিয়ে যায়। এই অবস্থার নাম প্রোটিনিউরিয়া । [১৫]
নেফ্রাইটিসের কারণে প্রয়োজনীয় প্রোটিন নষ্ট হওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নেফ্রাইটিসের সবচেয়ে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে যদি প্রোটিনগুলির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয় যা অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধাকে ত্বরান্বিত করে। এই প্রোটিনগুলির ক্ষতির ফলে রক্ত দ্রুত জমাট বাঁধতে পারে।ফলস্বরুপ হঠাৎ স্ট্রোক হয়। [১৬]
রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে এবং আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে নেফ্রাইটিস শনাক্ত করা যেতে পারে। [৩]
নেফ্রাইটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে বৃক্ক প্রদাহকে কী কী জিনিস উস্কে দিচ্ছিল তার উপর । লুপাস নেফ্রাইটিসের ক্ষেত্রে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা যেতে পারে। [১৮]