নেল্লোর বিক্রমাসিমহাপুরি | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: নাল্লাউরু | |
নেল্লোর | |
স্থানাঙ্ক: ১৪°২৭′ উত্তর ৭৯°৫৯′ পূর্ব / ১৪.৪৫° উত্তর ৭৯.৯৯° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
অঞ্চল | উপকূলীয় অন্ধ্র |
জেলা | নেল্লোর |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র-কাউন্সিল |
• শাসক | নেল্লোর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন |
• মেয়র | আব্দুল আজিজ |
আয়তন[১][২] | |
• মোট | ১৪৯.০২ বর্গকিমি (৫৭.৫৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১][৩] | |
• মোট | ৬,০০,৮৬৯ |
• ক্রম | ৭৬ তম (ভারত) ৪তম (অন্ধ্রপ্রদেশ) |
• জনঘনত্ব | ৪,০০০/বর্গকিমি (১০,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৫২৪ xxx |
টেলিফোন কোড | +৯১–৮৬১ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি–২৬, এপি-২৮,এপি-২৯ |
ওয়েবসাইট | Official website |
নেল্লোর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যর নেল্লোর জেলার একটি শহর ও জেলা সদর দপ্তর। এটি পেননা নদীর তীরে অবস্থিত [৪] এবং এটি রাজ্যের চতুর্থ বৃহত্তম ও জনবহুল শহর। [৫]
নেল্লোর চোল, পল্লব, পান্ড্য, মৌর্য্য সাম্রাজ্য, চেদি রাজবংশের খারভেলা, সাতবাহন, কাকাতী, কালিঙ্গ সাম্রাজ্যের পূর্বগঙ্গা সাম্রাজ্য, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, কর্ণাটকের নওয়াব ও অন্যান্য রাজবংশের শাসনের অধীনে ছিল।
নেল্লোর তানজভুর মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে প্রথম রাজেন্দ্র চোল শাসিত চোলার সময় থেকে অস্তিত্ব ছিল এবং খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে অশোকের শাসন ছিল। পল্লব রাজবংশের শাসকদের দ্বারা নেল্লোর অধীগ্রহণ করা হয় এবং এটি ৬ ষ্ঠ শতকের শেষের দিকে পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, পরবর্তীকালে চোলার শাসকরা দীর্ঘকাল ধরে নেল্লোরকে শাসন করে। তেলুগু চোল ১৩ শতকের পতনের সাথে মিলিত হয়েছেন। তামিল শিলালিপিতে থেকে জানা যায় ত্রৈয়দশ শতাব্দীর ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পতন না হওয়া পর্যন্ত চোল রাজ্যের অংশ ছিল নেল্লোর। [৬] পরে এটি কাকাতী, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, গোলকুন্ডার সুলতানাত, মুগল সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে এবং আর্কোট নওয়াব ১৮ শতকে ব্রিটিশ কর্তৃক আর্কোট নওয়াব থেকে নেল্লোরকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ব্রিটিশ ভারতে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল।
তেলুগু ভাষার উত্থানে এবং অন্ধ্র প্রদেশের রাজ্যের গঠনে শহরটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত উপস্তিত ছিলেন নেল্লোরের পোট্রি শ্রীরামুলু।
নেল্লোর শহর ১৪.৪৪ ডিগ্রি উত্তর ৭৯.৯৮ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত। [৭][৮] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৮ মিটার (৫৯ ফুট)। [৮]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নেল্লোর শহরের জনসংখ্যা ছিল ৪,৯৯,৫৭৬ জন। গড় সাক্ষরতার হার ৮৩.৫৯% (পুরুষ ৮৭.৫৩%, মহিলা ৭৯.৫২%)যা রাজ্য গড় ৭৩.০০% -এর থেকে বেশি। শহরটিতে সাক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা ৩,৮৭,১৯২। [১০][১১] শহর জনসংখ্যা বিস্তৃত ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে মিলিত হয়ে নেল্লোর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে জনসংখ্যা ৬,০০,৮৬৯ জন। [৫][১২]
বছর | জনসংখ্যা | বৃদ্ধির হার |
---|---|---|
১৯৬১ | ১,০৬,৭৭৬ | --- |
১৯৭১ | ১,৩৩,৫৯০ | ২৫.১ |
১৯৮১ | ২,৩৭,০৬৫ | ৭৭.৫ |
১৯৯১ | ৩,১৬,৬০৬ | ৩৩.৬ |
২০০১ | ৪,০৪,৭৭৫ | ২৭.৮ |
২০১১ | ৬,০০,৮৬৯ | ৪৮.৪ |
এই শহরে কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে, যেমন নিপ্পো ব্যাটারি কারখানা, আপা চামড়া জুতা কারখানার ইত্যাদি। পূর্ব দিকে সমুদ্র ও উর্বর জমির প্রান্তিকতা ও জলবিদ্যুৎ প্রাচুর্যতা কৃষি সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। এই এলাকার সর্বাধিক উৎপাদক শিল্প হল চিংড়ি চাষ। [১৪]
কেপিসিএল কর্তৃক কৃষ্ণাপত্তনাম ইফ্রাটেক প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা বন্দরের নিকটবর্তী ১২,০০০ একর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপন করা হচ্ছে। এসিজেড ₹৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এবং ৩০,০০০ সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা করে। [১৫] এসিজেড মাহিন্দ্র ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা ডিজাইন করা হচ্ছে এবং এটি একটি মাল্টি-প্রোডাক্ট এসিজেড। [১৬]
বার্ষিক রটেলা পান্ডুগা/রতীয়ান কি ঈদ সোনারাল চেরুভু'য়ের তীরে বারো শহীদ দরগাহ (বারো শহীদদের মঠ)-এ বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠান হয়। [১৭] ঘটনাটি রোটস (ফ্ল্যাট ব্রেড) বিনিময় এবং সমস্ত ধর্মীয় পটভূমি থেকে দর্শকদের আকর্ষণ করার ফলে এটি জনসাধারণের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। [১৮]
রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের সরকারি, অনুমোদিত এবং বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রদান করা হয়। [১৯][২০] বিভিন্ন বিদ্যালয় দ্বারা নির্দেশিত শিক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি ও তেলুগু। [২১]
জাহিনিরিট [২২] সংবাদপত্র ও লয়ার উইকলি (আইনজীবী সাপ্তাহিক) নামে দুটি পত্রিকা [২৩] নেল্লোর থেকে প্রকাশিত হয়। উপরন্তু, এনাডু এবং সাকশি নামে দুটি পত্রিকার নেল্লোরের স্থানীয় সংস্করণ মুদ্রণ করা হয়।